E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

সখীপুরে প্রধান শিক্ষক-সহকারী শিক্ষকদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

২০১৮ মার্চ ১৯ ১৮:৩৩:২২
সখীপুরে প্রধান শিক্ষক-সহকারী শিক্ষকদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের সখীপুুরে শালগ্রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপের টাকা, পরীক্ষার ফি’র টাকা আত্মসাৎ, নিয়মিত বিদ্যালয়ে না আসা, বছরের পর বছর এক শিক্ষিকাকে ছুটি দিয়ে মাস মাস বেতন তুলার কাজে সহযোগিতা করাসহ নানা বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল হকের বিরুদ্ধে। 

অপরদিকে আবু ইদ্রিস, লাকি আক্তার ও তানিয়া আক্তার তনু নামের তিন সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়মিত ক্লাসে না যাওয়া, প্রধান শিক্ষকের কথা না শুনাসহ কয়েকটি অভিযোগ তুলেছেন ওই প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার শালগ্রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

এ ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর দুই পক্ষের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সোমবার সকালে স্কুল চলাকালীন সময়ে তা তদন্ত করতে আসেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ রানা ও আশিশ কুমার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী শিক্ষকদের অভিযোগের এক বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন, স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হায়দার আলী, ইউপি সদস্য এসএম জয়নাল, অভিভাবক সদস্য আ. জলিল, লিপি আক্তার প্রমুখ। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত তদন্ত যাচাই বাছাইয়ের সঠিক কোন খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য এসএম জয়না বলেন, বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়ার চেষ্টা চলছে।

সরেজমিনে ওই স্কুলে গিয়ে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী তিন শিক্ষকের রেশারেশি ও পাল্টা পাল্টি অভিযোগের ফলে গত পনের দিন ধরে স্কুলে ভালো ভাবে কোন ক্লাস হয়না। শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে ফিরে যাচ্ছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর, অভিভাবকরা ও স্কুলের অভিভাবক সদস্যরা ক্ষুব্ধ।

আরো জানা যায়, র্দীঘদিন ধরে ওই স্কুলের ওম্মে আফরিন নামের এক শিক্ষিকা মেডিকেল ছুটির নাম করে স্কুলে আসেন না। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের সহযোগীতায় সে শিক্ষিকা নিয়মিত বেতন তুলে যাচ্ছেন। এ ঘটনায়ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি, অভিভাবক সদস্য, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বেশ ক্ষুব্ধ।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাশ পাল্টা পাল্টি অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় দুইজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছি।

সহকারী শিক্ষক আবু ইদ্রিস আলী বলেন, গত ২৬ তারিখে আমরা তিন সহকারী শিক্ষক মিলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি তারই প্রেক্ষিতে সোমবার সকালে তদন্ত করতে আসেন দই জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা।

প্রধান শিক্ষক শামসুল হক বলেন, সহকারী শিক্ষকদের অভিযোগের চার পাঁচ দিন পরে আমিও একটি লিখিত অভিযোগ করি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১৯, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০১ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test