E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

লংমার্চে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় নাগরিক সমাবেশ

২০১৪ আগস্ট ১৭ ১৫:৫৪:৩৩
লংমার্চে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় নাগরিক সমাবেশ

বাগেরহাট প্রতিনিধি : সুন্দরবনের পাশে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র র্নিমাণ বন্ধের দাবিতে  মৌলিক বাংলা সাংস্কৃতিক জনপদ নামের সংগঠনের  লংমার্চে বাগেরহাটের রামপালে শাষক দলের সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে রবিবার সকালে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক সমাবেশ করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার ও পরিবেশবাদি সংগঠন।

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটসের মহাসচিব এম. মোজাহেদুল ইসলাম মুজাহিদের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে অনান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. আব্দুল মতিন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি রূহিন হোসেন প্রিন্স, সেভ দ্যা সুন্দরবনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, বিডিএসএর চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সিএইচআরএম পরিচালক আব্দুল শামীম সেরনিয়াবাত, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট খান জিয়াউর রহমান, মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক মিল্লাত হোসেন প্রমূখ।বক্তারা এঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, মৌলিক বাংলা সাংস্কৃতিক জনপদ নামের সংগঠনের সদস্যরা ১৫ আগষ্ট বাগেরহাটের রামপালে প্রকল্প এলাকায় গেলে সরকারদলীয় পেটোয়া বাহিনীর সন্ত্রাসীদের হতে তারা বেধড়ক মারপিটের শিকার হন। যা অনভিতপ্রেত, অমানবিক ও দুঃখজনক। ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ৮ আগষ্ট পায়ে হেটে বাগেরহাটের রামপালের উদ্দেশ্যে মৌলিক বাংলা সাংস্কৃতিক জনপদ নামের সংগঠনের সদস্যরা লংমার্চ শুরু করে।
নাগরিক সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, হাজার বছর পরিপূর্নতায় গড়া পৃথিবীর বৃহত্তম জোয়ার বিধৌত ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন। ইচ্ছা করলে কিংবা হাজার হাজার বৎসর চেষ্টা করলে এমন একটি বন তৈরি করা যায় না আদৌ তৈরি করা যাবে না। বিগত শতকেও এর আয়তন ছিল ১৭ হাজার ৭০০ বর্গকিলো মিটারেরও বেশী। কিন্তু এই বনের বর্তমান আয়তন প্রায় ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার। কারণ মানুষের আগ্রাসনে সুন্দরবন সংকুচিত হয়ে এসেছে। সুন্দরবনের নাম সারা বিশ্বে ইন্ডিয়ার নামে বেশী পরিচিত। সে কারণে হয়ত ইন্ডিয়া সুন্দরবন সংরক্ষণে বেশী যতœবান। ইন্ডিয়ার অংশে রয়েছে ন্যাশনাল পার্ক, সুন্দরবনের সৌন্দর্য বিট্রিশ আমলে খেতাবপ্রাপ্ত রয়েল বেঙ্গল টাইগার সহ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সুন্দরবনের পরিচিতির যে কয়টি আইকোন দরকার সব কয়টিই ইন্ডিয়া কেন্দ্রিক। এ সব কারণে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সুন্দরবন সুরক্ষা, সুন্দরবনের প্রতি যা করণীয় সে সব বিষয়ে আইনগত, প্রশাসনিক দপ্তর, অধিদপ্তর এমন কি সুন্দরবন বিষয়ক আলাদা মন্ত্রক তারা গঠন করে সুন্দরবনের স্বার্থ রক্ষার সবাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ ভৌগলিকভাবে সুন্দরবনের দুই-তৃতীয়ংশ বাংলাদেশের, বাকিটা ইন্ডিয়া অর্থাৎ ভারতের। অথচ এই জাতিসংঘ কর্তৃক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সুন্দরবনের বাংলাদেশের অংশে কাছে সরকার ও ভারতের এনটিপিসি কর্তৃক রামপালে কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। দেশী-বিদেশী পরিবেশবাদী সংগঠন, পরিবেশবাদী কর্মী, পরিবেশ বিজ্ঞানী, আইনজ্ঞ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের জোর আপত্তি সত্ত্বেও সুন্দরবন ধ্বংসের খেলায় মত্ত্ব রয়েছে।
(একে/এএস/আগস্ট ১৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ আগস্ট ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test