E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

খানজাহান আলী বিমান বন্দর চালুর দাবিতে মানববন্ধন

২০১৪ আগস্ট ১৭ ১৬:৪৮:০৫
খানজাহান আলী বিমান বন্দর চালুর দাবিতে মানববন্ধন

বাগেরহাট  প্রতিনিধি : বাগেরহাটে রামপাল উপজেলার ফয়রায় খানজাহান আলী বিমান বন্দর অবিলম্বে চালু করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাগেরহাট ডেভালপমেন্ট সোসাইটি (বিডিএস)।

রবিবার দুপুরে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে বিডিএস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন, সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম,কৃষিবিদ শামীমুর রহমান, রিাজনীতিবিদ এডভোকেট খান জিয়াউর রহমান, সেন্টার ফর হিউম্যান রাইট্স মুভমেন্টের মহাসচিব এম মোজাহেদুল ইসলাম, বাড্ডা ল কলেজ অধ্যক্ষ শেখ সিদ্দিক আহম্মেদ, ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. গোলাম রেজা প্রমূখ।
বক্তরা বলেন, ১৯৬১ সাল থেকে অদ্যাবধি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রানের দাবী খানজাহান আলী বিমান বন্দর। বিশ্ব ঐতিহ্যর প্রতীক সুন্দরবন ও তার অপরূপ জীব-বৈচিত্র্য, বিশ্ব ঐতিহ্য ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ, হযরত খানজাহান আলী (রহ:) মাজারসহ ৬২ পীর আউলিয়ার মাজার। পার্শ্ববর্তী টুঙ্গিপাড়ায়বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্র ঘিরে অপারসম্ভবনাময় পর্যটন শিল্পের বিকাশে এবং বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমূদ্রবন্দর মোংলা বন্দরের পূর্নাঙ্গ বিকাশ, শিল্পনগরী খুলনার সার্বিক উন্নয়নে বৃহত্তর খুলনার মানুষের দীঘ অর্ধ শতাব্দীর দাবি এই বিমানবন্দর প্রতিষ্ঠা করা।
১৯৯৬ সালের ২৭ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাগেরহাটে রামপাল উপজেলার ফয়রায় অধিগ্রহণকৃত ৯৩ দশমিক ৫৭ একর জমি উপর এই খানজাহান আলী বিমানবন্দরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। একই বছরের জুন মাসে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে বিমান বন্দরের জমি হস্তান্তর করে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বিমান বন্দরের মাটি ভরাটের কাজ শুরু করে। এতে বরাদ্ধ দেয়া হয় ৩২ কোটি টাকা। সর্বশেষ বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তার নির্বাচনী অঙ্গিকারের অংশ হিসেবে পর্যটকদের সুবিধার জন্য বাগেরহাট খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খানজাহান আলী বিমান বন্দর নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে। দায়িত্ব পাওয়ার পরই গত বছর জানুয়ারি মাসে সমীক্ষা শেষে তারা ফেব্রুয়ারিতে ইতিবাচক রিপোর্ট জমা দিয়েছে বিমান মন্ত্রণালয়ে। অথচ হযরত খানজাহান আলী বিমানবন্ধন চালুর নেই কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ। কৃষকদের কাছ থেকে অধিগ্রহণকৃত ৯৩ দশমিক ৫৭ একর জমি এখন গোচারন ভূমি ও ক্ষমতাশীন দলের নেতাদের মৎস্য চাষের স্থান হিসেবে দীঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
বিমান বন্দরের অভাবে দিন দিন এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এক্ষেত্রে খানজাহান আলী বিমান বন্দর চালু করার দাবিতে বাগেরহাট ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিডিএস)-তাদের ৭ দফা দাবির অন্যতম হিসেবে খানজাহান আলী বিমান বন্দর অবিলম্বে চালু করার দাবি জানায়।
(একে/এএস/আগস্ট ১৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ আগস্ট ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test