E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিশু সদনে শিক্ষার্থীর ক্ষতবিক্ষত লাশ, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত গামছা ও টর্চলাইট উদ্ধার

২০২০ ডিসেম্বর ০৬ ১৬:১৯:৫৯
শিশু সদনে শিক্ষার্থীর ক্ষতবিক্ষত লাশ, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত গামছা ও টর্চলাইট উদ্ধার

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নব্বইরশি বাসস্ট্যন্ড সংলগ্ন আলহাজ রহমাতিয়া স্মৃতি শিশু সদনের হেফজোখানার হাসিবুল ইসলাম নামে দশ বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থী মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। রবিবার সকাল ৮টার দিকে শিশু সদনের হেফজোখানা পিছন থেকে হাসিবুরের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত হাসিবুল ওই শিশু সদনে থেকে হেফজোখানায় পবিত্র কোরআন শরীফের নজরানা বিভাগের ছাত্র ছিল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা বারইখালী গ্রামের সোবাহন শেখের ছেলে। 

শিশু সদনের হেফজোখানার ভিতরকার কোন বিষয় নিয়ে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়। প্রাথমিক ভাবে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা হাফেজ মো. হাফিজুর রহমান, বাবুর্চি ও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি গামছা ও টর্চলাইট। দ্রুতই এই ঘটনার রহস্য উম্মোচন হবে বলে আশাবাদী এই পুলিশ কর্মকর্তা।

পুলিশ জানায়, সাবেক সমাজকল্যান প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন তার পিতার নামে মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদরের নব্বইরশি বাসস্ট্যন্ড এলাকায় ১৯৯৫ সালে আলহাজ রহমাতিয়া শিশু সদন ও হেফজোখানা প্রতিষ্ঠা করেন। ওই শিশু সদনের হেফজোখানায় থেকে ৫ বছর ধরে পবিত্র কোরআন শরীফের নজরানা বিভাগে পড়াশুনা করতো মোরেলগঞ্জ উপজেলা বারইখালী গ্রামের সোবাহন শেখের ছেলে হাসিবুল ইসলাম। প্রতিদিনের মতো হাসিবুল শনিবার রাতে পবিত্র কোরআর শরীফ পড়ে খেলাধুলা করে ভাত খেয়ে সহপাঠিদের সাথে নিজ বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ে। রবিবার ফজরের নামাজের শেষে তার দুই সহপাঠি জিহাদী ও কাওছার নিজ কক্ষে ফেরার পথে হেফজোখানার পিছনে বাগানে হাসিবুলের ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে আছে দেখতে পায়। তাদের ডাক চিৎকারে আরো সহপাঠিসহ মাদ্রসা সুপার ছুটে আসেন।

খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ঘটনাস্থল ঘিরে রেখে আলামত সংগ্রহ করছে পুলিশ ক্রাইম সিনের সদস্যরা। লাশের মাথায় আঘাত ও শ^াষরোধ করে হত্যার চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি গামছা ও টর্চলাইট। প্রাথমিক ভাবে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা হাফেজ মো. হাফিজুর রহমান, বাবুর্চি সিদ্দিকুর রহমান জাওলাদারসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিকালে বাগেরহাট হাসপাতালে ময়না তদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

নিহত শিশুটির মা তছলিমা বেগম তার ছেলের হত্যার জন্য সরাসরি শিশু সদনের সুপারসহ শিক্ষার্থীদের দায়ী করে জানান, ‘আমার ছেলেকে পবিত্র কোরআনে হাফেজ বানাতে রহমাতিয়া স্মৃতি শিশু সদনের হেফজোখানার ভর্তি করেছিলাম। সেখানে থেকে ৫ বছর ধরে নজরানা বিভাগে পড়াশুনা করতো। ওরা আমার ছেলেকে হাফেজ হতে না দিয়ে খুনই করলো। আমি এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবী জানাই’।

(এসএকে/এসপি/ডিসেম্বর ০৬, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৫ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test