E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

আদমদীঘিতে পাড়ায় পাড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গোশ্ত সমিতি

২০২১ মে ১২ ১৭:০৬:২৩
আদমদীঘিতে পাড়ায় পাড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গোশ্ত সমিতি

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘিতে পাড়ায় পাড়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গোশ্ত সমিতি। উপজেলার সান্তাহার পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নসহ দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এ সমিতির। বছর জুড়ে অল্প সঞ্চয়ের মাধ্যমে ঈদের আগে পশু কিনে জবাইয়ের পর গোশ্ত ভাগ করে নেন সমিতির সদস্যরা।

জানা যায়, প্রায় এক যুগ আগে থেকে ঈদ উল ফিতরকে কেন্দ্র করে কিছু জায়গায় এ ধরনের গোশ্ত সমিতির প্রচলন শুরু হয়। পরে আস্তে আস্তে বিভিন্ন গ্রাম ও পাড়ায় এ সমিতির গঠন করা হয়। প্রতি বছরে সমিতির সংখ্যা বাড়তে থাকে। এ ধরনের সমিতিতে সদস্য সংখ্যা কোন নিদিষ্ট নেই ৩০ থেকে ১০০ জন বা তারও বেশি হতে পারে। এ বছর আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সমিতির সংখ্যা দুই থেকে তিন সহস্রাধিক হবে বলে বিভিন্ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া যায়। তারা প্রত্যেকে প্রতি সপ্তাহে বা মাসে নির্ধারিত হারে চাঁদা বা সঞ্চয় জমা দেন। পরে জমা করা টাকায় ঈদের সপ্তাহ খানেক থেকে শুরু করেন গরু, ছাগল-খাসি ও ভেড়া কিনে এনে জবাই করে গোস্ত ভাগ করে নেয়। এসব পশুর চামড়া বিক্রির টাকা দিয়ে প্রাথমিক তহবিল করে শুরু হয় পরের বছরের জন্য সমিতির কার্যক্রম। শুরুতে শুধু নিম্নবিত্তের লোকেরা এ ধরনের সমিতি করলেও এখন মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরাও সমিতি করছেন।

উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার পাথরকুটা গ্রামের গোস্ত সমিতির সদস্য এমরান আলী হিরা জানান, তাদের সমিতিতে সদস্য সংখ্যা ২২ জন। প্রত্যেকে সপ্তাহে ১০০শত টাকা করে জমা দিতেন। ঐ সমিতির পক্ষ থেকে এবার ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দিয়ে একটি ষাঁড় গরু কিনে জবাই করে প্রত্যেকেই গোস্ত ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি জানান, এ এলাকায় আরও অন্তত ৩০/৩৫টি এরকম সমিতি রয়েছে।

ঈদের আগে থেকেই অনেক এলাকার সমিতির সদস্যরা গরু, ছাগল কিনে এনে জবাই করে গোস্ত ভাগ করে নিয়েছেন। উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার মিজান জানান, সমিতি করলে নিজেরা গরু কিনে এনে ভালো গোস্ত পাওয়া যায়। তাছাড়া খরচের চাপটাও অনেক কমে।

বিভিন্ন গ্রামের গোস্ত সমিতির একাধিক সদস্য জানান, ঈদে গোস্ত কিনতে অনেক টাকা লেগে যায়। তাদের মতো কম আয়ের লোকের পক্ষে তা সম্ভব হয় না। তাই তারা কয়েক বছর ধরে তাদের গ্রামে গোশ্ত সমিতি গঠন করেছেন। এতে সপ্তাহে ১০০/১৫০ ও মাসে ২০০/২৫০ টাকা করে জমা করেন। এতে তারা প্রতি ঈদে আট-দশ কেজি করে গোস্ত পেয়ে এখন তারা অনেক খুশিতে আছেন।

(এস/এসপি/মে ১২, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

০১ নভেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test