E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

বালিয়াকান্দিতে নিঃসন্তান বিধবার বসতবাড়ি ইট-কাটার বেড়ায় অবরুদ্ধ

২০২১ মে ২৪ ১৮:৫২:৪৫
বালিয়াকান্দিতে নিঃসন্তান বিধবার বসতবাড়ি ইট-কাটার বেড়ায় অবরুদ্ধ

স্টাফ রিপোর্টার : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের সোনাকান্দর গ্রামে এক নিঃসন্তান বিধবার বাড়ীর চারপাশে ইট ও কাটার বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে চলাচলে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদ করায় বিধবার পালিত সন্তানের মেয়েদেরকে মারধোর করা হয়েছে বলেও প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের সোনাকান্দর গ্রামের মৃত ফিকির খানের স্ত্রী করিমন বিবি (৯০) কান্না জড়িত কন্ঠে অভিযোগ করে বলেন, আমার কোন সন্তান না থাকার কারণে আমার বোনের শিশু সন্তান মঞ্জুরুল ইসলামকে এনে পিতা-মাতার স্নেহে মানুষ করি। এরই মধ্যে আমার স্বামীর মৃত্যু হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে প্রতিবেশী সিরাজুল ইসলাম খান, রহমান খান, রনি খান মিলে আমাকে ভিটে ছাড়া করতে মামলা-মোকর্দ্দমা করে হয়রানী করছে। এতেও ক্ষ্যান্ত না হয়ে আমার বসতবাড়ীর চারপাশে বাঁশের ও ইটের বেড়া দিয়ে যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করছে। তাদের বেড়ার কারণে আমি ও আমার পালিত ছেলে ও নাতি-নাতনীদের চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আমার পরিবারটিকে তারা বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমি একজন অসহায় বৃদ্ধ মহিলা। প্রশাসনের নিকট আমাকে হয়রানীর হাত থেকে রক্ষার দাবী জানাচ্ছি।

পালিত পুত্র মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমাকে খালা-খালু ছোট বেলায় এনে মানুষ করেছে। আমি তাদের দেখাশুনা করে আসছি। খালুর মৃত্যুর আগে আমাকে জমি লিখে দিয়েছেন। আমি ওই বাড়ীতেই বসবাস করে আসছি। দীর্ঘদিন ধরে আমাকে তাড়ানোর জন্য আমার মেয়ে মুন্নী খাতুন ও মিতু খাতুনকে মারধোর করাসহ বসতবাড়ীর চারপাশে বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। থানায় ও আদালতে মামলাও দায়ের করে। আমি প্রশাসনের নিকট সুষ্টু তদন্ত পুর্বক দোষীদের শাস্তির দাবীসহ আমি যাতে সুষ্টুভাবে বসবাস করতে পারি তাহার সু-ব্যস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।

প্রতিবেশী আদেল উদ্দিন খান বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ সিরাজ খান গংরা এ পরিবারটিকে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে। এখন তার বাড়ীর চারপাশে বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।

অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম খান বলেন, রাতের অন্ধকারে মঞ্জুরুল আমার চাচা-চাচির কাছ থেকে জমি লিখে নিছে। আমাদের ব্রাদারী অংশ ফাঁকি দিয়েছে। বসতবাড়ীর চারপাশে আমার জমি হওয়ার কারণে আমি বেড়া দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা বলেন, আমার কাছে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি বা মৌখিকভাবেও অবগত করেনি। তারপরও বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।

(একে/এসপি/মে ২৪, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

১৭ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test