E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

আবারো বিয়ের দাবিতে স্বামীর বাড়িতে জোরপূর্বক তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর অবস্থান

২০২১ নভেম্বর ১৫ ১৫:০৩:৫১
আবারো বিয়ের দাবিতে স্বামীর বাড়িতে জোরপূর্বক তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর অবস্থান

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : রানীশংকৈলে গাছে বেঁধে চাঞ্চল্যকর নাসিরুল নির্যাতনের ঘটনায়  "জোরপূর্বক তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী কেয়ামনি ফের স্বামী নাসিরুলের বাড়িতে এসে অবস্থান নিয়েছেন। ২ মাস পর গত শনিবার ১৩ নভেম্বর কেয়ামনি স্বেচ্ছায় বাপের বাড়ি থেকে নাসিরুলের বাড়িতে চলে আসেন। এ নিয়ে আবারো এলাকায় তোলপাড় চলছে।

প্রসঙ্গতঃ রানীশংকৈল উপজেলার ভাংবাড়ী গ্রামের করিমুল ইসলামের মেয়ে কেয়া মনি'র সাথে একই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে নাসিরুল ইসলামের সাথে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ‌‌। একপর্যায়ে তারা গোপনে বাড়ি থেকে পালিয়ে গত ৯/৯/২১ ইং তারিখে ঠাকুরগাঁও নোটারি পাবলিক অব বাংলাদেশ কার্যালয়ে বিয়ে করেন । এরপর তারা নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করে । কয়েকদিন পর উভয় পরিবারের উদ্যোগে তাদেরকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয় । ছেলে মেয়ে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করে । এ অবস্থায় গত ২০/৯/২১ ইং তারিখে করিমুল ও তার পরিবারের লোকজন নাসিরুলকে ভাংবাড়ি স্কুল মাঠ থেকে আটক করে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করে । পরদিন এ নিয়ে নাসিরুলের বাবা রানীশংকৈল থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন ।গুরুতর অসুস্থ নাসিরুলকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রানীশংকৈল থানা পুলিশ এজাহারের ভিত্তিতে গত ২৪ / ৯/২১ ইং মেয়ের মা সেলিনাকে গ্রেফতার করে । ঐ দিনই নাসিরুলের বাবা ৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন । এর প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ গত ২৭/৯/২১ ইং মূল আসামি করিমুলকে গ্রেফতার করে ।

এ বিষয়ে নাসিরুলের স্ত্রী কেয়া মনি সাক্ষাতকারে বলেন,আমাকে এত দিন ধরে আমার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে আটকে রেখেছিল।আমাকে দিয়ে মিথ্যা বলিয়েছিল। চাপ দিয়ে নাসিরুলকে তালাক দেওয়া হয়েছিল। আমি সুযোগ পেয়ে স্বেচ্ছায় বাসা থেকে চলে এসেছি। আমাকে কেউ জোর করে নিয়ে আসেনি। আমি নাসিরুলকে বিয়ে করেছি। কেউ আমাকে অপহরণ করেনি। নাসিরুলসহ পাঁচজনের নামে আমার বাবা যে মামলা করেছে তা মিথ্যা। আমি নাসিরুলের স্ত্রী হিসাবে পূর্ণ মর্যাদা পেতে চাই।

এদিকে বাড়ির বাইরে থাকা নাসিরুল ফোনে বলেন, কেয়ামনিকে আমি ভালোবেসে বিয়ে করেছি। অনেক অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছি।আমি তালাকের কোনো কাগজপত্র পাইনি।কেয়ামনি এখনো আমার স্ত্রী।

(এফআর/এসপি/নভেম্বর ১৫, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

০১ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test