E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

উল্লাপাড়ায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় নদী খননের বালি বিক্রি, নিরব প্রশাসন

২০২২ ফেব্রুয়ারি ০৮ ১৭:১৭:২৭
উল্লাপাড়ায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় নদী খননের বালি বিক্রি, নিরব প্রশাসন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে উত্তোলিত নদী খননের কোটি কোটি টাকা মুল্যের লক্ষ লক্ষ সিএফটি বালি অনিয়মের মাধ্যমে রেলওয়ের সম্পত্তি, নদী শিখস্তির সম্পত্তি ও জোরপূর্বক ব্যাক্তি মালিকানাধিন জমিতে স্তুপ করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালি চক্রের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ঐ চক্রটি প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে করতোয়া নদী থেকে ভেকু মেশিনের মাধ্যমে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। এ বিষয়ে গণস্বাক্ষরসহ একাধিক লিখিত অভিযোগ জমা হলেও দেদারসে চলছে বালি বিক্রি। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সরকারি বালিমহালের ইজারা নিয়ে বালি উত্তোলন করা ব্যাবসায়ীরা।

সরেজমিন উল্লপাড়া উপজেলার ঘাটিনা ও সোনতলা এলাকা ঘুড়ে, প্রশাসন ও ভুক্তভোগিদের সাথে কথা বলে, লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা যায়, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের আওতায় সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে উল্লাপাড়ার করতোয়া ও ফুলঝোড় নদী খনন করা হচ্ছে। বালি ব্যাবস্থাপনা আইন অনুযায়ি সরকারি ড্রেজিংয়ের বালি বিক্রি করার বিধান নেই। বালি ব্যাবস্থাপনা আইন অনুযায়ি শুধমাত্র সরকারি সম্পত্তি ভরাট, স্কুল, কলেজ, মসজিদ মন্দির বা খেলার মাঠে ভরাটের জন্য ড্রেজিংয়ের বালি ব্যাবহার করা যাবে। কিন্তু উল্লপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ ও উল্লাপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর আবুল কালাম আযাদের তত্বাবধানে শক্তিশালি একটি চক্র ঘাটিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় প্রায়৩০ বিঘা রেলওয়ের জায়গা, চর ঘাটিনায় ৩২ বিঘা কৃষিজমি জোরপূর্বক জবরদখল করে লক্ষ লক্ষ সিএফটি বালি স্তুপ করেছে। ৩ থেকে ৪ টাকা সিএফটি হিসেবে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার বালি বিক্রি করছে এই চক্রটি। একই সাথে সোনতলা সেতু এলাকা থেকে নদীর মাটি ভেকু মেশিনের মাধ্যমে কেটে তাও বিক্রি করছে এই চক্রটি।

এ বিষয়ে ঘাটিনা ও চর ঘাটিনা এলাকাবাসি জেলা প্রশাসক বরাবর গণস্বাক্ষরসহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এই অভিযোগের অনুলিপি দেয়া হয়েছে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার ভূমি বরাবরেও। কিন্তু কিছুতেই থামছে না সরকারি বালি বিক্রির ধুম। স্বল্প টাকায় সরকারি বালি বিক্রি করায় আর্থিকভাবে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে বালুমহাল ইজারা নিয়ে বালি উত্তোলন করা বৈধ ব্যাবসায়িদের।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর আবুল কালাম আযাদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমার প্রতিষ্ঠান ও নিজের নাম ব্যাবহার হচ্ছে, বালুর ব্যাবসা করছে উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতারা। প্রতিদিন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সম্পাদক হাফিজের নিকট বালু বিক্রির টাকা জমা দেয়া হয়। বৈধ-অবৈধের বিষয়টি তারাই ভালো বলতে পারবে।

এ বিষয়ে সলপ ইউপি চেয়ারম্যান ও ব্যাবসায়ি ইঞ্জিনিয়ার শওকত ওসমান বলেন, অবৈধ পন্থায় সরকারি বালি কমমুল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে আমরা যারা রাজস্ব দিয়ে বালুর ব্যাবসা করি তাদের ব্যাপক লোকসান গুনতে হচ্ছে। অবৈধ বালি বিক্রি বন্ধ করতে দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।

এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান মওদুদ আহমদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সেনাবাহিনী উত্তোলিত বালু বিক্রির বিষয়ে আমি অবগত নই।

(আই/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test