E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

শাহজাদপুরে আইন না মেনে নদী খননের বালি বিক্রি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ অরুণ খানের বিরুদ্ধে

২০২২ ফেব্রুয়ারি ১২ ১৮:৩৪:১৯
শাহজাদপুরে আইন না মেনে নদী খননের বালি বিক্রি করে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ অরুণ খানের বিরুদ্ধে

সিরাজগঞ্জ প্রদিনিধি : বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বালি ব্যবস্থাপনা আইন অমান্য করে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার করতোয়া নদী খননের লক্ষ লক্ষ সিএফটি বালি অবৈধভাবে বিক্রয়ের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে পরিবহন ব্যাবসায়ী অরুণ খানের বিরুদ্ধে। এতে একদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার অন্যদিকে বালি পরিবহনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তা। তবে অদৃশ্য কারনে নিরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন।

শনিবার সরেজমিন জেলার শাহজাদপুর উপজেলার করতোয়া নদীর তীর ঘেষা গারাদহ ইউনিয়নের চর নবীপুর ও পুরান টেপড়ি এলাকা ঘুড়ে ও ভুক্তভোগি এলঅকাবাসির সাথে কথা বলে জানা যায়, এই দুটি গ্রামের রাস্তা সংলগ্ন প্রায় তিন শতাধিক বিঘা ফসলি জমিজুরে সারি সারি বালি স্তুপ করে রাখা হয়েছে বিক্রির জন্য। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কারিগরি সহায়তায় বেসরকারি বিভিন্ন কোম্পানির বাস্তবায়ন করা নদী খননের এই সমস্ত বালির অবৈধ মালিক শাহজাদপুরের পরিবহন ব্যাবসায়ী পৌর এলাকার মৃত হাফিজ খানের ছেলে অরুন খান। কিছু জমি প্রলোভন দেখিয়ে বাকিটা জোরপূর্বক লিজ নিয়ে জমি মালিকদের নামে আবেদন করে জমি উচুকরনের নামে এই সকল বালি স্তুপ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই বালি বিক্রয় করছে অরুন খান ও তার লোকজন।

এলাকাবাসীকে ধোকা দিয়ে প্রশাসনের চোখের সামনেই অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ সিএফটি বালি বিক্রয় করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই ব্যাবসায়ী। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বালি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ি নদী খননের বালি শুধুমাত্র জমি ভরাট, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে ব্যাবহার করার কথা। বাকিটা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নিলামে বিক্রির বিধান রয়েছে। কিন্তু কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সম্পুর্ন বালি বিক্রি করে সরকারি রাজস্ব ফাকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অরুন খান। এই বালি পরিবহনের ভারি ট্রাক চলাচলের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তা। এ বিষয়ে অীভযোগ করতে গিয়ে অরুন খান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে লাঞ্চিত হয়েছেন বেশ কয়েকজন এলাকাবাসি।

এ বিষয়ে অরুন খান জানান, সেনাবাহিনীর উত্তোলিত বালি রাখার জন্য জায়গা দেওয়ায় উত্তোলিত বালির ৪০ শতাংশের মালিকানা আমার। এই বালি আমি বিক্রি করছি। সরকারিভাবে বালি বিক্রির বিধান রয়েছৈ কিনা বা ৪০ শতাংশ বিক্রির পর বাকি ৬০ শতাংশ বালি কোথায় এমন প্রশ্নের জবাব দেননি ঐ ব্যাবসায়ি।

গারাদহ ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, নদীখননের বালি কিনে নিতে হচ্ছে অরুন খানের নিকট থেকে। তিনি একাই নদী খননের সকল বালি বিক্রি করছেন।

(আই/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test