শিবচরে মেয়ের বাড়ির গোয়ালঘরে মিলল বাবার মরদেহ 

বিশেষ প্রতিনিধি, মাদারীপুর : মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের মফিতুল্লাহ্ হাওলাদার কান্দি গ্রামে বুধবার (১০ মে) সকালে মেয়ের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় বাবা মো. হাকিম মাতুব্বরের (৮০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত হাকিম মাতুব্বর ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরনাছিরপুরের বাসিন্দা। গত ৩ বছর আগে পদ্মা নদীতে বাড়ি বিলীন হলে সে তার মেয়ে ফাহিমার বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের মফিতুল্লাহ্ হাওলাদার কান্দী গ্রামে বসবাস করতেন।

স্থানীয় ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের মফিতুল্লাহ্ হাওলাদার কান্দী গ্রামে থাকেন ফাহিমা বেগম। গত তিন বছর আগে ফাহিমার বাবা হাকিম মাতুব্বর ও মা সোনাবান বিবিও মেয়ের সাথে থাকা শুরু করেন।

গত ঈদুল-উল-ফিতরের তিনদিন পর হাকিম মাত্ব্বুর মেয়ের বাড়ি থেকে ফরিদপুর সদরপুরের নাজির মামুদ হাজির কান্দিতে বসবাসরত দুই ছেলে লাক্ষু মাতুব্বর ও বাবুল মাতুব্বরের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে মঙ্গলবার (৯ মে) সকালে কাউকে কিছু না বলে চলে আসেন। বুধবার (১০ মে) সকালে বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠে ফাহিমার বাড়ির গরু রাখার একচালা টিনসেড ছাপরার ঘরে গলায় রশি পেচাঁনো অবস্থায় হাকিম মাতুব্বরের মরদেহ দেখতে পান।

নিহতের মেয়ে ফাহিমা বেগম বলেন, গত তিন বছর ধরে বাবা আমার বাড়িতেই ঘর নির্মাণ করে থাকতেন। ঈদের তিনদিন পর বাবা আমার ভাইদের বাড়িতে বেড়াতে যান। সকালে আমার ছেলে টয়লেটে যাওয়ার সময় দেখতে পায় আব্বা গলায় রশি দিয়ে ঝুলে মাটিতে হামাগুরি অবস্থায় পরে আছেন। পরে আমরা রশি কেটে দ্রুত ঘরে নিয়ে যাই। তখন বুঝতে পারি বাবার দেহ শক্ত হয়ে গেছে, বাবা মারা গেছে।

নিহতের বড় ছেলে লাক্ষু মাতুব্বর বলেন, আমার বাবা আমার বোনের বাড়িতেই থাকতেন। ঈদের পর আমাদের বাড়ি গিয়েছিলেন। গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে আমাদের বাড়ি থেকে চলে আসেন। আমি আজ সকালে মাছ ধরতে নদীতে গিয়েছিলাম। পরে শুনলাম আব্বা মারা গেছেন। শুনে এখানে আসলাম।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এএসএ/এসপি/মে ১০, ২০২৩)