E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

কালিহাতীতে মাদ্রাসার জমি জোরপূর্বক দখল

২০২৩ জুন ০৫ ১৮:৪১:১৪
কালিহাতীতে মাদ্রাসার জমি জোরপূর্বক দখল

মোঃ সিরাজ আল মাসুদ, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার হিন্নাইপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ২৫ শতাংশ ওয়াক্ফকৃত ভূমি উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, এলেঙ্গা পৌরসভার হিন্নাইপাড়া মৌজার ৩৯৬ খতিয়ানের ৪৫৬ নম্বর দাগের ওয়াক্ফ মূলে পাওয়া ২৫ শতাংশ ভূমি হিন্নাইপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার। ২০০৪ সালের ২৯ মার্চ দক্ষিণ মশাজান গ্রামের নুর হোসেনের স্ত্রী মোছা. করিমন নেছা পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ২৫ শতাংশ ভূমি হিন্নাইপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার নামে ওয়াক্ফ করে দেন। সে মোতাবেক মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ওই ভূমির নামজারী পূর্বক খাজনা পরিশোধ করে।

কিন্তু ওই ভূমি হিন্নইপাড়া গ্রামের আ. সালামের ছেলে মো. হানিফ জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। ফলে মাদ্রাসার তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর একাধারে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। শিক্ষকরা এক ক্লাস ছুটি দিয়ে অন্য ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশী বৈঠকে মো. হানিফকে ওই ২৫ শতাংশ ভূমি মাদ্রাসাকে বুঝিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু মো. হানিফ ওই ভূমি ছেড়ে না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকেন।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জানায়, জায়গা সঙ্কুলান না হওয়ায় তাদের পাঠদান ও গ্রহনে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। জবরদখলকৃত ভূমি ছেড়ে দিলে তারা ওই স্থানে নয়া ক্লাস রুম করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

অভিযুক্ত মো. হানিফ জানান, আত্মীয়তার সূত্রে তিনি ওই ভূমির ওয়ারিশদার। তাই তিনি ও ভূমি ব্যবহার করছেন। তবে ভূমিটির স্বপক্ষে তিনি কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি। এ বিষয়ে তিনি জানান, মাদ্রাসা চাইলে তিনি টাকা দিতে পারেন। কিন্তু ভূমি কিছুতেই ছেড়ে দেবেন না।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ আব্দুল বারী জানান, ১৯৯৮ সালে মাদ্রাসাটি তিনি এলাকার হিতৈষি লোকজনের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৪ সালে মশাজানের করিমন নেছা ২৫ শতাংশ ভূমি মাদ্রাসার নামে ওয়াক্ফ করে দেন। ওই ভূমি মো. হানিফ জোর করে দখলে রেখেছেন। এ নিয়ে গ্রাম্য সালিশ হলেও সমাধান হয়নি। পরে তারা ভূমি ফেরত পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেছেন।

স্থানীয় কাউন্সিলর ও সাবেক প্যানেল মেয়র সুকুমার ঘোষ জানান, সম্পত্তিটি মূলত: মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশে মো. হানিফকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি সালিশী বৈঠক করেছেন। সালিশে সুন্দর একটা সমাধান করা হয়েছিল। মো. হানিফ সালিশী বৈঠকের সিদ্ধান্ত প্রথমে মেনে নিলেও পরে অগ্রাহ্য করে ভুল করেছে।

কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসাইন জানান, মাদ্রাসা কর্র্তৃপক্ষের আবেদন পেয়ে তিনি উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)কে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।

(এসএম/এসপি/জুন ০৫, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

৩১ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test