E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

মহম্মদপুরে গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও এস.ইউ.এস এনজিও 

২০২৩ জুন ১৪ ১৬:৩৪:৫৯
মহম্মদপুরে গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও এস.ইউ.এস এনজিও 

বিশ্বজিৎ সিংহ রায়, মহম্মদপুর : মাগুরার মহম্মদপুরে এস.ইউ.এস আত্মকর্মসংস্থান ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান নামের বেসরকারি একটি এনজিও সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অত্র সংস্থার দুই কর্মকর্তা গ্রাহকদের প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে। সংস্থাটির নাম সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (এসইউএস)।

মহম্মদপুর সদরের কানাইনগর এলাকায় ব্রাক অফিসের পেছনে একটি ভাড়া বাড়ির সামনে এনজিওর সাইনবোর্ড টানানো রয়েছে। তাতে লেখা আছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত। সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (এসইউএস)। আত্মকর্মসংস্থান ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। স্থাপিত ১৯৯৫। শাখা মহম্মদপুর।
ভুক্তভোগী নারী সদরের বসুরধুলজুড়ি গ্রামের তাহমিনা, জান্নাতি,চরপাচুড়িয়া গ্রামের ফুলমতি ও অন্তরা বেগম জানান, তাদের গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে নারীদের নিয়ে সমিতি গঠন করেন। সমিতির প্রতিটি নারী সদস্যকে দুই বছর মেয়াদে কম সুদ ও সহজ শর্তে এক লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হবে জানায়। ঋণের বিপরীতে সঞ্চয় হিসেবে দশ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।

গত মঙ্গলবার সকালে ঋণের টাকা নেওয়ার জন্য তাদেরকে সদরের কার্যালয়ে আসতে বলেন। কার্যালয়ে এসে তারা দেখতে পান অফিস তালাবদ্ধ। বাড়ির মালিক স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক গাজী কামাল তাদের পরিচয় ও অবস্থান সম্পর্কে কিছু বলতে পারেন নি। এনজিওর দুইজন কর্মকর্তা ছিলেন। এক জনের নাম রানা, অন্য জনের নাম জানাতে পারেননি ভুক্তভোগীরা। রানা নামের ওই ব্যক্তির মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর পটুয়াখালী হ-১১-১৫০৬। তাঁর মোবাইল নম্বর ০১৮৭১৮১৮৫০৭
চরপাচুড়িয়া গ্রামের ওবাদুল্লাহ মোল্যা, জাহিদুল ইসলামসহ পাঁচজন অভিযোগ করে বলেন, তাদের স্ত্রী ছাগল বিক্রি করে ঋনের আশায় ১০ হাজার টাকা করে জমা দেন। ওই ভুয়া সংস্থাটি সদরের ব্রাক অফিসের পেছনে সমাজ উন্নয়ন সংস্থার (এসইউএস) প্রধান কার্যালয় গড়ে তোলেন। সেই কার্যালয় থেকে তাঁরা এলাকার মানুষদের অধিক লাভ দেওয়ার কথা বলে নামে গ্রাহকদের বিনিয়োগ করাতে থাকেন। প্রায় এক হাজার গ্রাহক তাঁদের অর্থ ওই এনজিওতে জমা করেন। অনেকে অধিক সুদের আসায় টাকা জমা করেন। অনেকে ঋণের টাকার বিপরীতে শতকরা ১০ ভাগ জামানত জমা রাখেন। টাকা হারিয়ে গরিব এসব গ্রাহক পথে বসে গেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সমাজ উন্নয়ন সংস্থার (এসইউএস) কথিত চেয়ারম্যান রানার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

ভাড়া নেওয়া বাড়ির মালিক গাজী কামাল জানান, কয়েকদিন আগে দুই জন তাঁর বাড়ি ভাড়া নিয়ে সাইনবোর্ড টানিয়েছে। কাগজপত্র দেখিয়ে চুক্তি করার কথা বলে তাঁদের কোনো খোজ পাওয়া যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল জানান, সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (এসইউএস) নামের কোনো এনজিওর নাম তাদের তালিকায় নেই। অল্পদিন কার্যক্রম চালিয়েছে এই এনজিওটি। বিষয়টি উর্দ্ধতন মহলকে জানানো হবে।

(বিএস/এসপি/জুন ১৪, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

১৭ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test