E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

মহম্মদপুরে নিম্নমানের উপকরণে রাস্তার কাজ, হাত লাগালে উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ

২০২৩ জুন ১৯ ১৯:৩১:৩৮
মহম্মদপুরে নিম্নমানের উপকরণে রাস্তার কাজ, হাত লাগালে উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ

মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি : মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলায় নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ। স্থানীয়রা কাজে বাঁধা দিলেও রাতের আধারে তড়িঘড়ি করে সড়ক মেরামতের কাজ শেষ করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। হাতের লাগালে উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ।

জানা গেছে,, মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর জামে মসজিদ থেকে নারিকেলবাড়ীয়া পর্যন্ত প্রায় ৮০০ মিটার সড়কের ২৪ লাখ টাকার রাস্তা সংষ্কারের কাজ করছে ঝিনাইদহের সালেক এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যার মালিক মো: স্বপন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ কোনো ধরনের নিয়মনীতি অনুসরণ না করে নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী দিয়ে সড়কের মেরামত কাজ করা হয়েছে। সড়কের কার্পেটিংয়ের আগে বিটুমিনের তরল একটি স্তর দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা না করেই সরাসরি কার্পেটিং কাজ করেন ঠিকাদার।

এছাড়া বিটুমিনের পরিবর্তে পোড়া মবেল ঢেলে পিচের কাজ শেষ করেছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এক সপ্তাহ আগে স্থানীয়রা কাজে বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দিলেও পরে বাঁধা উপেক্ষা করে রাতের আধারে তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করে স্থান ত্যাগ করেন ঠিকাদার ও তার লোকজন। রবিবার সকালে সড়কে চলাচলের সময় স্থানীয়রা দেখতে পান যানবাহনের চাকার সাথে উঠে যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং পিচ। খবর পেয়ে সংঘবদ্ধ হন স্থানীয় সাধারণ জনতা এবং তারা দেখতে পায় হাতের সাথেই উঠে আসছে রাস্তার পিচ। নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে করা রাস্তার পিচ উঠে যাওয়ার বিষয়টির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। এরইমধ্যে সড়কে শেষ করা কার্পেটিং অনেক অংশে হাত দিয়েই তুলে ফেলছেন সাধারন জনতা।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইউনুস বিশ্বাস সহ স্থানীয় ও পথচারীরা বলেন, সড়কের স্থায়িত্বকাল খুবই কম হবে। ফলে সরকারের লাখ লাখ টাকা গচ্ছা যাচ্ছে। এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তারা ঠিকাদারদের নিকট থেকে ঘুষ নিয়ে তারা এসব নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেন। এছাড়া কোন ধরনের মান রক্ষা না করে পরিমাণ মত বিটুমিন না দিয়ে পোড়া মবিল দিয়েই সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। তাই রাস্তা করতে না করতেই বেশিরভাগ রাস্তার পিচ উঠে যাচ্ছে ।

পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ সিকান্দার আলী জানান, সব থেকে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে এ রাস্তার কাজ করা হয়েছে। স্থানীয়রা বাঁধা দিলে সাময়িক কাজ বন্ধ রাখলেও পরে তড়িঘড়ি করে রাতের অধারে কাজ শেষ করে স্থান ত্যাগ করেন ঠিকাদার ও তার লোকজন।

এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো: স্বপনের কল ঢুকলেও তিনি কোন সাংবাদিকের- ফোন কল রিসিভ করেনি।

মহম্মদপুর উপজেলা প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেনের নিকট রাস্তার নিম্নমানের মানের উপকরণ দিয়ে কাজ করা হচ্ছে এমন অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানালে মাগুরার জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল হকের বক্তব্য নেয়া হয়।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, মাগুরা থেকে ল্যাবরেটরি টিম রাস্তায় পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষ-নিরীক্ষা করার পরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(বিএসআর/এএস/জুন ১৯, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

১৭ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test