E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

স্বাক্ষর জাল করে অন্যের জমি নিজের নামে করার অভিযোগ

২০২৩ নভেম্বর ১৫ ১৮:৪৫:৪৮
স্বাক্ষর জাল করে অন্যের জমি নিজের নামে করার অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর পাংশায় জাল-জালিয়াতি চক্রের সদস্য বিদেশ প্রবাসী মো: মনিরুজ্জামানের (৩৮) বিরুদ্ধে দাতার নাম ও সাক্ষর জাল করে ভুয়া মালিক সাজিয়ে পৌর সভার মূল্যবান ৪ শতক জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা ভূমি অফিসের দারস্ত হয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের বড় খামার মাজাইল এলাকার আব্দুল মান্নান সিকদারের ছেলে মো: মনিরুজ্জামান পাংশা পৌর সভার কুলটিয়া এলাকার বাহাদুর মন্ডলের ছেলে সোলেমান মন্ডলের ৩১৪-নং দাগের ৪ শতক জমি ভূয়া মালিক সাজিয়ে লিখে নেন।তার এই জাল-জালিয়াতি কাজে সহযোগিতা করেন পাংশা পৌর এলাকার মৃত সাদেমান মোল্লার ছেলে চাঁদ আলী মোল্লা।

চলতি বছরে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের মাধ্যমে নামজারি ও সম্পূর্ণ করেন মো: মনিরুজ্জামান। যদিও ওই জমির ভোগ দখল তার নেই।যে দলিল মূলে নামজারি করা হয়েছে তার জাল দাবী করে উপজেলা ভূমি অফিসে অভিযোগ দিয়েছেন প্রকৃত মালিক সোলেমান মন্ডল।

পাংশা উপজেলা ভূমি অফিসে নামজারির জন্য দেওয়া মো: মনিরুজ্জামানের দলিলে দেখা যায় দাতার ভোটার আইডি কার্ডের স্থানে কসবামাজাইল এলাকার মকবুল সরদারের ছেলে আশরাফুল ইসলামের ভোটার আইডি কার্ড।এছাড়াও দলিলে দাতার স্থানে প্রকৃত মালিক সোলেমান মন্ডলের স্থানে মো: সালমান মন্ডল রয়েছে। পিতার নাম বাহাদুর মন্ডল হলেও দলিলে মৃত মো: বাকাই মন্ডল দেওয়া আছে। যদিও বাহাদুর মন্ডল এখনো জীবিত।

মো: মনিরুজ্জামান প্রবাসে থাকায় কথা হয় তার পিতা আব্দুল মান্নান সিকদার বলেন, আমার ছেলের সাথে চাঁদ আলী মোলার ভালো সম্পর্ক থাকায় সেই এই জমি ৩ লক্ষ টাকায় কিনে দিছেন। কে টাকা নিয়েছিলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন চাঁদ আলী মোলার কাছেই টাকা দিছি।মনিরুজ্জামান কে চেনেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন একদিন শুধু দেখছিলাম তাই এখন আর চিনতে পারবো না।জমি কার দখলে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমাদের দখলে কিছু দিন ছিলো তবে এখন আমাদের দখলে নাই।

ভুক্তভোগী সোলেমান মন্ডল বলেন, আমি আমার ওই জমির দলিল ২০১১ সালে ব্রাক ব্যংকের কাছে রেখে ৬ লক্ষ টাকা লোন নেই।চলতি চলছে ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করি।অথচ ২০১৪ সালে আমার নাম সাক্ষর জাল করে জমি লিখে নিলো কিভাবে। আবার নামজারি হয়ে গেলো আমি কিছুই জানতে পারলাম না! আমার জমি আমি শুরু শেষ ভোগদখল করে আসছি তারা এতো দিন জমির কাছে আসেন নাই।অথচ গোপন কাগজ ঠিক করে চলছে। আমি ভূমি অফিসে অভিযোগ দিয়েছি। তারা এসেছিলো। সবকিছু দেখে গেছে। এখানে সঠিক বিচার না পেলে আদালতে মামলা করবো।

সহকারী কমিশনার ভূমি মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান রুবেল বলেন, নামজারি বাতিলের আবেদন করেছেন সোলেমান মন্ডল নামের এক ব্যক্তি। আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(একে/এসপি/নভেম্বর ১৫, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৯ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test