শৈত্য প্রবাহে ঈশ্বরদীর জনজীবন বিপর্যস্ত

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : উত্তরের হিমেল বাতাস শরীরে কাঁটার মতো বিঁধছে। রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। আবারও শৈত্য প্রবাহে ঈশ্বরদীর জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা আবারো নেমে গেছে।

রবিবার ছিল ৮.৬ ডিগ্রী। শৈত্য প্রবাহে সর্বত্র নেমে এসেছে স্থবিরতা। শীতে কাঁপছে ঈশ্বরদীর নিন্ম আয়ের মানুষ।

‘ক্যাতার তলায় শুইয়া থাহি, তবু ওম ধরে না, ওরে বাব্বা, শীতে হাড্ডি গুড্ডি ভাইংগা লয়”। ‘খাইতে দেয় অনেকেই, শীতে মরি গেলেও কম্বল দিতি আসতিছে না কেউ’। রবিবার দুপুরে শহরে ভিক্ষা করার সময় শীতে কাতর পাতানি বেগম তার কষ্টের কথা জানালেন।

পিয়ারাখালী গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধা পাতানি বেগমের স্বামী, সন্তান, ঘরবাড়ি কিছুই নেই। অন্যের আশ্রয়ে থাকেন। থাকা-খাওয়া একরকম ভাবে চললেও শীতের তীব্রতা হতে রক্ষার কোন উপায় নেই।

শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় শীতজনিত রোগে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভীড় করতে দেখা গেছে। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক মানুষের সংখ্যাই বেশী। শৈত্য প্রবাহ ও ঘনকুয়াশার পাশাপাশি বইছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। দুপুরের দিকে কিছু সময়ের জন্য সূর্য্যের মুখ দেখা গেলেও বিকেল ৩ টার পর আবারো নেমে আসে কুয়াশাচ্ছন্নতা।

শীতের তীব্রতায় দরিদ্র ও ছিন্নমুল মানুষদের গরম কাপড় কেনার জন্য পুরাতন মার্কেটে হিড়িক পড়ে গেছে। শনিবার রাতে ষ্টেশনে ছিন্নমূল মানুষেরা শীত নিবারণের জন্য চটের বস্তার মধ্যে ঢুকে খড় বিছিয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।

(এসকেকে/এটিআর/জানুয়ারি ১১, ২০১৫)