E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

আগৈলঝাড়ায় পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন

২০১৫ ফেব্রুয়ারি ১১ ১৪:১২:১৬
আগৈলঝাড়ায় পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন

বরিশাল প্রতিনিধি : বিএনপি জামাতসহ ২০ দলের সারা দেশে ডাকা চলমান হরতার অবরোধে দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতায় হিংস্র ভয়াবহতার মধ্যেও বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে পেট্রোল দিয়ে বিআরটিসি বাস পোড়ানো ও পেট্রোল বোমা মেরে ট্রাক পোড়ানোর ঘটনায় অশান্ত হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা।

প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের নাশকতা প্রতিরোধ কার্যক্রম ও আসামী গ্রেফতার নিয়ে। এঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপিত আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ-এমপিসহ এলাকার সাধারণ জনগন। নাশকতা প্রতিরোধ ও আসামী গ্রেফতার নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
সূত্র মতে, ১৩ জানুয়ারী রাতে পুলিশী ডিউটি চলাকালে সদর ডিগ্রী কলেজের সামনে পার্কিং করা একটি বিআরটিসি বাসে পেট্রোল দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এসআই মনোরঞ্জন মিস্ত্রী বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধানায় ২৮জন নেতা কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামী করে মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয় এসআই মোস্তাফিজুর রহমানকে।
৮ ফেব্রুয়ারি রাতে অপর ঘটনায় ওসির নেতৃত্বে পুলিশী টহলের মধ্যেই রাত দেড়টার দিকে শহরের বাই পাস রোডের জাহান্দার বেকারীর পশ্চিম পার্শ্বে ফলবাহী একটি মিনি ট্রাকে পেট্রোল বোমা মেরে পুড়িয়ে দেয়া হয়। চালকের সাহসিকতা ও বুদ্ধিমত্তার কারনে বেচে যায় ট্রাকে অবস্থান করা তিনটি প্রান। পুলিশের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হয় চালক হাবিবকে। ঘটনায় এসআই অসীম কুমার সিকদার বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লে¬খসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০/৩৫ জনকে আসামী করে সমন্বয়হীনতার কারণে পরদিন রাতে মামলা দায়ের করেন, যার নং-১। ওই মামলায় যুবদল কর্মী নগরবাড়ি গ্রামের আকিউল হাওলাদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই মামলার তদন্তভার দেয়া হয় এসআই নজরুল ইসলামকে। তবে দুই মামলার সংখ্যাধিক্য আসামী গ্রেফতার করেন এএসআই রাজু। দুই মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ১১ জন।
পুলিশের দাবি বিআরটিসি বাস পোড়ানো মামলায় ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের তারা সনাক্ত করেছেন। তবে সনাক্তকারীদের গ্রেফতারে সম্পূর্ন ব্যার্থ হয়েছে পুলিশ। মামলায় এজাহারভুক্ত বা ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত কোন গুরুত্বপূর্ন আসামী গ্রেফতার হয়নি। সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ চাঁদ ত্রিশিরা গ্রামের যুবদল কর্মী শাহীন বক্তিয়ার, গৈলা গ্রামের আজাদ মোল্লা, বাকাল গ্রামের কবির ফকির, যবসেন গ্রামের শিবির কর্মী আবুল কালাম আজাদ, গৈলা ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আবুল হোসেন লাল্টু, বেলুহার গ্রামের আলী হোসেন ভূইয়া স্বপন, সুজনকাঠী গ্রামের সাহাদাৎ বেপারী, অমিও কর, রাজিহার গ্রামের শাহীন ফকির, ও রাংতা গ্রামের জামাত নেতা সরোয়ার জামিলকে গ্রেফতার করে। তবে ওই সকল গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি গ্রহন করতে পারেনি পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, অজ্ঞাত কারণে তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন আসামীর রিমান্ড আবেদনও করছেনা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে ওসি মনিরুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে থানার চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পরেছে। জানা গেছে, ওসি ও এসআইদের সমন্বয়হীনতা, কয়েকজন পুলিশ সদস্যর বিএনপি প্রীতির কারণে অভিযানের খবর আগাম ফাঁস হওয়া, বিশেষ শাখার ব্যর্থতা, অর্থ বানিজ্য, জ্বালানী স্বল্পতা, পুরনো গাড়ী, সোর্স মানি অভাব, আ’লীগ দলীয় নেতাদের ব্যক্তি বিশেষের মনোতুষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে মামলার মুল কার্যক্রম। অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আদালতে প্রত্যেক গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আদালত শুনানীর জন্য রেখেছেন। আসামীদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চলছে।
(টিবি/পিবি/ফেব্রুয়ারি ১১,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test