E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

বে-দখল সম্পত্তি ফিরে পেতে বগুড়ায় সাংবাদিকের স্ত্রী-কন্যার সংবাদ সম্মেলন

২০১৫ এপ্রিল ১৯ ২১:৫৯:০০
বে-দখল সম্পত্তি ফিরে পেতে বগুড়ায় সাংবাদিকের স্ত্রী-কন্যার সংবাদ সম্মেলন

বগুড়া  প্রতিনিধি: বে-দখল সম্পত্তি ফিরে পেতে সাংবাদিকের স্ত্রী-কন্যা সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রী ও জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের কাছে সহযোগীতা চাইলেন। রোববার বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রয়াত সাংবাদিক আরিফ রহমানের স্ত্রী শামীমা আক্তার কণা ও কন্যা অহনা এই আকুতি জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে শামীমা আক্তার কণা বলেন, আমার স্বামী সাংবাদিক আরিফ রহমান। তিনি বগুড়া স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় কাজ করেছেন। তিনি ঢাকা ক্রাইম রিপোর্টার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বেশ কয়েক বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুর পর তার একমাত্র কন্যা অহনাকে রেখে যান। অহনাকে নিয়ে’ই আরিফের স্মৃতি বহন করে আসছি এখনও। আরিফ ও অহনাই আমার শেষ পরিচয়। শ্বশুর বাড়ির সম্পত্তি ও বাবার সম্পত্তি থেকে মা-মেয়েকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার বাবা আব্দুল¬াহ হেল কাফি মারা যাওয়ার পর তার প্রথম পক্ষ ও দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সন্তান রেখে গেছেন। আমরা ১ম পক্ষের ৪ বোন। বাবা মারা যাওয়ার পর আমার মা সহ আমরা সম্পত্তির অংশিদার। কিন্তু ২য় পক্ষের মা ও ভাই বোন পৌরসভা থেকে ভূয়া ওয়ারিশান সার্টিফিকেট নিয়ে জমি তাদের নামে খারিজ করে নেয়। এমনকি রাজা বাজারের আর কে ভ্যারাইটি ষ্টোর নামে দোকান ১০ শতাংশ দুই তলা ভিপি সম্পত্তিও তাদের নামে করে নেয়। পরবর্তীতে পৌরসভায় আপিল করি। সেই আপিলের প্রেক্ষিতে ওয়ারিশান সার্টিফিকেটে আমাদের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ভিপি সম্পত্তিতে আমাদের অন্তর্ভূক্তির জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সহ অন্যান্য জমি আমাদের অংশ হিসেবে খারিজের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) বগুড়া সদরে আবেদন করেছি। আমার বাবা বগুড়া শহর এলাকা প্রায় ১০ বিঘা এবং সুখানপুকুর এলাকায় প্রায় ২৬ বিঘা জমি রয়েছে। এছাড়াও আমার বাবার ২য় স্ত্রী এবং তার সন্তানরা কৈচর, পালশা, মালগ্রাম, নিশিন্দারা এই কয়েকটি এলাকার সাড়ে ৯ বিঘা জমি তাদের মধ্যে ভূয়া ওয়ারিশানের দেখিয়ে বাটোয়ারা করে। ঐ সব দলিলে তারিখ ও দাগ নং গত ০২/১১/২০১৪ ইং দলিল নং- ১৩৪৬৮, ০৩/১১/২০১৪ইং দলিল নং- ১৩৫৩৯, ০২/১১/২০১৪ইং দলিল নং- ১৩৪৬৯।
শামীমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, নিশিন্দারা, চারমাথা, কৈচর, পালশা, মালগ্রাম, সুখানপুকু এলাকা সহ অন্যান্য জায়গায় প্রায় ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। বর্তমানে আমার বৈমাত্রিক ভাই রাশেদুল হাসান, রাকিবুল হাসান, রাফিউল হাসান, হাসিবুল হাসান, কন্যা- কানিশ ফাতেমা সহ ২য় স্ত্রী জোরপূর্বক দখল করে ভোগ করছে। বাবার সন্তান হিসেবে আমরা এবং আমার মা জমির অংশ পেয়ে থাকি, এটা আমাদের বৈধ দাবি। নিশিন্দারায় ৭ শতাংশ জমি বিক্রর জন্য বায়না নেই। জমি মাপতে গেলে জোরপূর্বক বৈমাত্রিক ভাইয়েরা ভাড়া করা মাস্তান নিয়ে এসে ভয়-ভিতি দেখিয়ে আমদের তাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে আমারা আমাদের বাবার জমিতে যেন না যাই সেজন্য জীবন নাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। আমি এবং আমার সন্তান, মা-বোনেরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।

(এএসবি/এসসি/এপ্রিল১৯,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০১ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test