E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

পৌলী নদীতে চলছে অবাধ ড্রেজিং

২০১৫ এপ্রিল ২০ ১৩:৪৯:২৭
পৌলী নদীতে চলছে অবাধ ড্রেজিং

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি  : টাঙ্গাইলের পৌলী ঝিনাই নদীতে অবাধে চলছে ড্রেজিং করে মাটি উত্তোলনের মহোৎসব। পার্শ্ববর্তী বাড়ি ঘর, ব্রীজ ও রাস্তা হুমকির মুখে।

জানা যায়, পৌলী থেকে শুরু করে সল্লা পর্যন্ত প্রায় ২০/২৫টি বাংলা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে একটি মহল দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ পন্থায় মাটি উত্তোলন করে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের এসব অবৈধ কাজে কেউ বাঁধা দেয়ার সাহস পায়না। এসব মাটি ব্যবসায়ীরা এলাকায় খুবই প্রভাবশালী বিধায় স্থানীয় লোকজন ভোগান্তির শিকার হয়েও নীরবতা পালন করে। দীর্ঘদিন যাবত মাটি ভর্তি ট্রাক চলাচলের ফলে পৌলী বড়বাশালিয়া পাকা রাস্তাটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। ধুলা-বালির কারণে এলাকার লোকজনের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের পৌলীর নব নির্মিত ব্রীজ ও রেলব্রীজের ক্ষতির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা এসব দেখেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। স্থানীয় কতিপয় সচেতন মহল প্রতিবাদ করলে প্রশাসন এসে লোক দেখানো অভিযান করে। পরদিন মাটি ব্যবসায়ীরা নব উদ্দমে আবার ব্যবসা শুরু করে। এছাড়া নদীর তলদেশে পাইপ বসিয়ে বোরিং করে বালি উত্তোলন করেও একটি মহল কোটি কোটি টাকা লুফে নিচ্ছে। এসব অবৈধ ড্রেজিং ব্যবসায়ীদের মধ্যে কালিহাতী উপজেলার মহেলা গ্রামের হাবেল (৪০), জলিল মোল্লা (৪৫), তোফাজ্জল, পৌলী গ্রামের লিটন (৩০), নবা (৪৫), সুজন (২৫), মাসুম (৩২), কবীর (৩৮) সাইফুল (৪০), তোফাজ্জল (২৮), সুখরঞ্জন (৩২) সহ বাঁশি, এলেঙ্গা, পাথাইলকান্দি, ধলাটেঙ্গর, আনালিয়াবাড়ী, হাতিয়া ও সল্লার কতিপয় মাটি ব্যবসায়ি অন্যতম। এ ব্যাপারে মাটি ব্যবসায়ী নবা ও সুজনের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই আমরা এ ব্যবসা করছি। এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি কোন কিছু জানেন না তবে অবৈধ ড্রেজিং চললে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(আরকেপি/পিবি/ এপ্রিল ২০,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০১ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test