E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

১০বাড়ী ডাকাতির ঘটনা সাংবাদিকদের সাজানো বলে এলাকাবাসীর দাবী

২০১৫ জুন ২৮ ২৩:৫৪:১২
১০বাড়ী ডাকাতির ঘটনা সাংবাদিকদের সাজানো বলে এলাকাবাসীর দাবী

কাপাসিয়া(গাজীপুর)প্রতিনিধি :গত ২৪ জুন রাতে কাপাসিয়া উপজেলায় টোক ইউনিয়নে ১০ বাড়ীতে ডাকাতি সংঘঠিত হওয়ার ঘটনাটি  সাজানো বলে অভিহিত করেছে টোক এলাকার সাধারন মানুষ।

ডাকাতের ঘটনার ২৬ জুন এক শ্রেণীর অতিউৎসাহী সাংবাদিকরা পত্রিকায় ফলাও করে সংবাদ ছাপিয়ে এখন বিপাকে পড়েছে। গত ২৬ জুন সকালে গাজীপুর ও কাপাসিয়ার সকলস্থানীয় প্রতিনিধিরা ডাকাতি হওয়া ১০ বাড়ীতে গেলে ঘটনাটি উল্টো হয়ে যায়। ১০ বাড়ীতে না ৯ বাড়ী ডাকাত হানা দিয়েছিল বলে জানা গেলেও অতি উৎসাহী কিছু সাংবাদিক ডাকাতি হওয়ার বাড়ী নাম ঠিকানা বিকৃতি করে ১০বাড়ী ডাকাতি হয়েছে বলে সংবাদ পাঠিয়েছিল তা যে সত্য নয় তা গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে ধরা পড়ে।

ওই্ সব সাংবাদিকদের নিজের কোন পত্রিকা না থাকলেও বনোয়াট ও উসকানী মুলক নিউজ লিখে বিভিন্ন সাংবাদিকদের ই-মেইল করে পাঠিয়ে দেয় । তাদের লক্ষ হলো মিথ্যা সংবাদ পরিবেশ করে কাপাসিয়াকে অশান্ত করে তোলা এর সাথে যোগ হয়েছে কিছু হলুদ সাংবাদিক।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর কাপাসিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বরাস্ট্রপ্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজের বিরুদ্ধে মিথ্যা বনোয়াট সংবাদ পরিবেশ করে কাপাসিয়ার সাধারন মানুষের মধ্যে বিবেদ সৃষ্ঠির করেছিল। সেই ব্যক্তিরা আবার সিমির হোসেন রিমির এম পি হওয়ার পর থেকে নিজে অসত্য নিউজ লিখে বিভিন্ন গনমাধ্যমকে সরবরাহ করে থাকেন। এবং সেই সব সাংবাদিক কাপাসিয়া জঙ্গী সংগঠন (নিউজে) তৈরী করে কাপাসিয়ায় প্রতিষ্ঠা করার চেষ্ঠায় লিপ্ত রয়েছে বলে কাপাসিয়ার সচেতন সমাজ মনে করেন। জঙ্গী সংগঠনের সংবাদ উপজেলার কর্মরত অন্য কোন সাংবাদিকরা না জানলে ও শুধু তfরাই জানে কোথায় জঙ্গীরা মিছিল করছে বা বোমা মেরেছে।

ওই সব সাংবাদিকের বিরুদ্ধে জোট সরকারের আমলে সাধারন মানুষকে হয়রানী,থানায় দালালী, পি আ্ইও অফিস ও প্রকৌশলী অফিসে টেন্ডার বাজী , ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ফরদা লুটার অভিযোগ ,কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের কয়েকজন অধ্যাপককে নাজেহালের অভিযোগ রয়েছে। তারা জোট সরকারের আমলে ক্যাডার হিনাবে পরিচিত ছিল কিন্তু বর্তমানে ভো পান্টে সাংবাদিক বনে গেছেন। বিগত দিনে কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদে সোহেল তাজের উপর হামলার নেপথে কাজ করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কাপাসিয়া উপজেলা বিভিন্ন সময়ে আইন শৃংখলা অবনতি ঘটনোর জন্য কাপাসিয়া থারার ওসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল সহ নানা অপকৌশল এটছে বলে ও অভিযোগ রয়েছে। এসব বেকার সাংবাদিক কি ভাবে সংসার চালায় তা নিয়ে কাপাসিয়া বাসী প্রশ্ন তুলেছে।

কাপাসিয়ার গন মাধ্যামে ভুয়া খবর দেখে টোক এলাকার মাণুষ সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সকাল থেকে বিকেল পযন্ত কাপাসিয়া প্রায় ১০জন জাতীয় পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধিরা ও গাজীপুরের একাধিক বেসরকারী টিভির প্রতিনিধিরা টোক এলাকার ডাকাতি হওয়া কেন্দুয়াব.উলুসরা গ্রামের ৯ বাড়ী সরেজমিনে পরিদশর্ন করেন। দেখা যায় ডাকাতির ঘটনা পুর্ব পরিকল্পিত। ডাকাতরা দরজা না ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ডাকাতি করেন বলে যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা সঠিক কিন্তু কিভাবে ঘরে প্রবেশ করল তা আড়ালে থেকে জট বেধেছে। ডাকাতি হওয়া বাড়ীর কোন ব্যক্তি বলতে পারে না ডাকাতরা কি ভাবে ঘরে প্রবেশ করল। এ নিয়ে রহস্যেআরো ঘনিভুতহয়। তাছাড়া প্রতিবাড়ীতেই দরজা খুলে ডাকাতি করছে? যে সব বাড়ীতে ডাকাতি হয়েছে তারা সবায় একজনের বা অপর জনের আত্বীয়। ডাকাতরা প্রতি বাড়ী থেকে ডাকাতি করে মাত্র ১ হাজার টাকা,আর মোবাইল সেট ছাড়া অন্য কিছু নেয়নি। এ নিয়ে আরো সন্দেহ বাড়ছে এলাকাবাসীরও।

এলাকার অনেকে অভিযোগ করেন, ডাকাতি ঘটনা সাজানো এলাকার আইন শৃংখলা অবনতি ঘটানোর জন্য এলাকার চিহ্নত ব্যক্তি ও কাপাসিয়ার কয়েকজন জাতীয়তাদী সাংবাদিক এতে জড়িত।
কেন্দুয়াব গ্রামের সফিকুল ইসলাম কবীর জানান, যাদের বাড়ীতে কথিত ডাকাতি হয়েছে তারা সবায় ইউপি চেয়ারম্যান আ: জলিলএর আত্বীয়। এক রাতে সব আত্বীয় বাড়ীতে ডাকাতি হওয়া এটা রহস্য জনক। একই গ্রামের গ্রামের মঞ্জুর হোসেন জানান এ এলাকায় দীর্ঘ ১০বছর ধরে ডাকাতি হয় না। কিন্তু একরাতে ৯ বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা সত্য নয়। এ টা সাজানো নাটক।

ডাকাতি হওয়ার পর এলাকার চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব ডাকাতি হওয়া বাড়ীতে গিয়ে শ্বান্তনা দেয়া কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান সে কাজটি করেনি। টোক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, কাপাসিয়া উপজেলার আইন শৃংখলা অবনতি ঘটানোর ও কাপাসিয়ার সংসদ সিমিন হোসেন রিমির উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ডকে প্রশ্ন বিদ্ধ করার জন্য এলাকার কিছু চিহ্নত ব্যক্তি ও কাপাসিয়ার কিছু জাতীয়তাবাদী সাংবাদিকরা বিভ্রন্তি মুলক সংবাদ পরিবেশ করে কাপাসিয়াকে অশান্ত করার পায়তারা করছে বলে দাবী করেন। এ ব্যাপারে টোক ইউপ চেয়ারম্যান এম এ জলিলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফোনে পাওয়া যায়নি।

কাপাসিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মো: আহসান উল্লাহ জানান,১০বাড়ী ডাকাতি হওয়ার ঘটনা শুনার পর রাতেই আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ডাকাতি ঘটনার কোন আলামত আমি পাইনি। কেউ মামলা করতে আসেনি। এটা সাজানো ডাকাতি কিনা তা তদন্ত করে বের করার কথা তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন।

(এসডি/এসসি/জুন২৮,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test