E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

শরীয়তপুরে বিচারকের বিরুদ্ধে মামলা ও সংবাদ সম্মেলন

২০১৬ এপ্রিল ২৫ ১৬:৩৪:০১
শরীয়তপুরে বিচারকের বিরুদ্ধে মামলা ও সংবাদ সম্মেলন

শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুর সদর উপজেলার বিনোদপুরে নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতার নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগে একজন জজের বিরুদ্ধে থানা ও কোর্টে মামলা দায়ের ও সাংবাদিক সম্মেলন করে  তার বিচার দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। সোমবার দুপুরে  শরীয়তপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনরে  মাধ্যমে এ বিচার দাবি করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যসহ শরীয়তপুর জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ এপ্রিল তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে বিনোদপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড নির্বাচনে মেম্বার ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড মেম্বার পদে নির্বাচন করেন বাকাউল মুন্সি ও রওশন আরা আক্তার। তাদের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দিতা করে বিজয়ী হন লিটন মুন্সি ও কল্পনা আক্তার। নির্বাচনে কল্পনা আক্তার ও আসাদুজ্জামান লিটন বিজয়ী হওয়ার পর পরাজিত দুই প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা ও আক্রমন করে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এ হামলা ও লুটপাটের নেতৃত্ব ও আদেশ প্রদান করেন একজন বিচারক। তিনি চট্টগ্রাম মহানগরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনারের বিচার মো, সেলিম মিয়া। সেলিম মিয়ার বাড়ি বিনোদপুর ইউনিয়নের মুন্সিকান্দি গ্রামে। তিনি নির্বাচনের সময় ছুটিতে দেশে এসে উল্লেখিত বিজয়ী প্রার্থীদের পক্ষ অবলম্বন করে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, ক্ষতিগ্রস্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক মুন্সি, পরাজিত প্রার্থী বাকাউল মুন্সি, নুরুল ইসলাম সরদার, ইলিয়াস কাঞ্চন, আলী হোসেন তালুকদার, লিটন বেপারী, মিন্টু বেপারী, আনসার মোল্যা, দাদন মুন্সি প্রমূখ। তারা অভিযোগ করেন, ২৩ এপ্রিল নির্বাচনে আমরা জজ সেলিমের সমর্থিতদের ভোট না দেয়ার অপরাধে তার নির্দেশে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অন্তত দেড় শতাধিক লোক আমদের বাড়ি ঘরে হামলা করে । এসময় তারা ১৪টি ঘর কুপিয়ে ও ভাংচুর করে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তারা আমাদের ঘরে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

মুন্সিকান্দি গ্রামের বাসিন্দা এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, পরাজিত ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থী রওশন আরা ও বাকাউল মুন্সি বাদী হয়ে জজ সেলিমের বিচার প্রার্থনা করে শরীয়তপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ও পালং থানায় আলাদা দুইটি মামলা দায়ের করেছেন। আমি আশা প্রকাশ করছি আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত জজ সেলিম মিয়ার যথাযথ শাস্তি প্রদান করবেন।

বিচারক মো. সেলিম মিয়াকে তার মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ফোনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।

(কেএনআই/এএস/এপ্রিল ২৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test