E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

অবশেষে রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের দুর্নীতির খোঁজে দুদক

২০১৪ জুন ১৯ ১৮:১৭:৩২
অবশেষে রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের দুর্নীতির খোঁজে দুদক

স্টাফ রিপোর্টার : অবশেষে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান মো. নূরুল হুদার অবৈধ সম্পদ ও নানা দুর্নীতির খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সম্প্রতি কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য দুদকের উপ পরিচালক যতন কুমার রায়কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

নূরুল হুদার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ: পূর্বাচল ৯ নম্বর সেক্টরের ১০৩ নম্বর রোডে ১০ কাঠা আয়তনের ১৯ নম্বর প্লটটি নিজ নামে নেয়ার পর তার স্ত্রীর নামেও আরেকটি প্লট নিয়েছেন তিনি। প্লট কোড নম্বর (৫৪২১৬)। নিয়ম অনুযায়ী স্বামীর নামে সরকারি প্লট থাকার পর আবার স্ত্রীর নামে প্লট নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে নূরুল হুদা সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে প্রভাব বিস্তার করে এ কাজটি করেছেন বলে দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে। গুলশান ৯৩ নম্বর রোডের সিইএন (এ) ১৫/বি প্লটটি রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল হুদা নিয়মনীতি না মেনে নিজের একক ক্ষমতা খাটিয়ে আবাসিক থেকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের অনুমতি দেন। নিজেকে সরকারের প্রভাবশালীদের আস্থাভাজন ব্যক্তি উল্লেখ করে নূরুল হুদা রাজউকে অনেকটা একক প্রভাব খাটিয়ে বড় বড় প্রকল্প পছন্দের ব্যবসায়ীদের ভাগ করে দিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ ৩ নম্বর বোর্ডসভাটি ছিল নূরুল হুদার দায়িত্বে থাকাকালীন সর্বশেষ বোর্ডসভা। সে সভার সভাপতি হিসেবে তিনি গুলশান ও পূর্বাচল প্রকল্পে একাধিক প্লট বরাদ্দ দিয়েছেন।

বোর্ডসভায় বেশ কয়েকটি প্লট ও খ- জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। গুলশান আবাসিক এলাকার ৭১ নম্বর রাস্তা ও ১৫ নম্বর প্লটটির পূর্বপাশে ওয়াকওয়ে সংলগ্ন ১ বিঘা ৩ কাঠা ৩ ছটাক পতিত জমি কন্টিনেন্টাল হাসপাতাল লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেন তিনি। উত্তরা আবাসিক এলাকার ১১ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের ৫ কাঠা আয়তনের ১৮ নম্বর প্লটের অতিরিক্ত আরো ২ কাঠা ৬ ছটাক খ- জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। ফেরদৌস আরা নামের এক নারীর অনুকূলে উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প আবাসিক এলাকার ১৬/এইচ নম্বর সেক্টর ১/বি ৩ কাঠার পরিবর্তে ৫ কাঠা বরাদ্দ দেয়া হয়।

অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, মিসেস রেহেনা নামের একজনের উত্তরা তৃতীয় প্রকল্পের ১৭/এফ সেক্টর ৪/এ তিন কাঠার পরিবর্তে বসবাসযোগ্য উত্তরা ১ম/২য় নিকুঞ্জ (দক্ষিণ) বিকল্প বরাদ্দ দেয়া হয়। উত্তরা আবাসিক এলাকার ৯ নম্বর সেক্টরে ৫ ও ৬ নম্বর রাস্তাসংলগ্ন খালি জায়গায় ৪ কাঠার প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়া গুলশান আবাসিক এলাকার গুলশান অ্যাভিনিউ সি ডব্লিউ এস (এ) ১০ এর ২৪ নম্বর রাস্তাসংলগ্ন সি ডব্লিউ এস (এ) ২০ নম্বর প্লটটি একত্রীকরণ করা হয়েছে। শুধু একটি বোর্ডসভায় এসব প্লট ও খ- জমি বরাদ্দ দিয়ে নূরুল হুদা কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

(ওএস/এটিআর/জুন ১৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test