E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

কুমিল্লা থেকে অপহৃত শিশু উদ্ধার,  আটক ৩

২০১৭ আগস্ট ০৪ ২০:৪৩:৫৮
কুমিল্লা থেকে অপহৃত শিশু উদ্ধার,  আটক ৩

মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ : কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে আলোচিত অপহৃত পাঁচ বছরের শিশু নয়নকে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছে চক্রের মূল হোতা বোরহান উদ্দিন ওরফে রাকিবুল হাসান ওরফে রানা (২৭) ও তার স্ত্রী শরীফা (২০) এবং সোহেল আহমেদ ওরফে সোহাগ (২৪)।

র‌্যাব জানায়, শিশু নয়ন কুমিল্লার মুরাদনগরে তার নানী রোসিয়া বেগমের কাছে থাকতো। গত ৩১ জুলাই অপহরণচক্রের সদস্য শরীফা ও তার কথিত শিশু কন্যাসহ শিশু নয়নের নানীর কাছে রাত্রি যাপনের জন্য আশ্রয় চায়। তিনি সরল বিশ্বাসে তাদের আশ্রয় দেয়। পরের দিন শরীফা শিশু নয়নকে খাবার কিনে দেবার লোভ দেখিয়ে অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় নিয়ে আসে।

পরে অপহরণ চক্রের হোতা রাকিবুল তাদের মোবাইল থেকে নয়নের চাচাতো নানা আক্কাস মিয়াকে ফোন করে জানায়, নয়ন তাদের কাছে রয়েছে। তাকে পেতে হলে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। মুক্তিপণের টাকা না দিলে ভিকটিমকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়।

পরে এ ঘটনায় ২ আগস্ট আক্কাস মিয়া কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এবং মামলার কপি নিয়ে র‌্যাবের শরনাপন্ন হন।

র‌্যাব-১১ এর একটি দল প্রথমে ঢাকার মোহাম্মদপুর আসাদ গেইট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চক্রের মূল হোতা বোরহান উদ্দি ওরফে রাকিবুল হাসান ওরফে রানা (২৭) ও তার সহযোগী সোহেল আহমেদ ওরফে সোহাগকে (২৪) আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যে নারায়ণগঞ্জের ভুলতা থেকে রাকিবুলের স্ত্রী শরীফাকে আটক করে। এবং তার হেফাজত থেকে শিশু নয়নকে উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, এ সংঘবদ্ধ চক্রটি বিভিন্ন এলাকায় শিশু অপহরণের সাথে জড়িত। রাকিবুল শিশু অপহরণ মামলায় দেড় বছর জেল খেটে বেরিয়ে আবারও এ কাজে লিপ্ত রয়েছে। ইতোপূর্বে রাকিবুলের প্রথম স্ত্রী তামান্না ওরফে সাবিনা নরসিংদীতে ৭ মাসের একটি শিশু চুরির মামলায় আটক হয়।

র‌্যাব জানায়, এ চক্রের সদস্যরা শিশু অপহরণ ও বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল। দীর্ঘদিন যাবত শিশু অপরহণ করে মুক্তিপণ দাবী ও আদায়করে আসছিল। চক্রটি কুমিল্লা, নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জসহ ঢাকার আশপাশ এলাকা হতে শিশু অপহরণ করে তাদের বিভিন্ন ভাড়া করা বাসায় রেখে দিত। তাদের অপরাধমুলক কর্মকান্ড যেন স্থানীয় লোকজন এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট প্রকাশিত না হয় সে জন্য প্রয়োজনবোধে তারা অপহৃত শিশুদের শরীরে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে প্রায় অচেতন করে রাখত।

(এনইউ/এএস/আগস্ট ০৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০১ নভেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test