বিএনপির ইশতেহারে যা আছে
স্টাফ রিপোর্টার : ক্ষমতায় গেলে কারো ওপরই কোনো প্রকার প্রতিশোধ নেয়া হবে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টসহ সকল প্রকার আলোচিত আইন বাতিল করা হবে। বর্তমান বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করা হবে। জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ১১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে সকল ধরনের ভ্যাট বাতিল করা হবে। এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে।
ইশতেহারে এমন অঙ্গীকার করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মূল শরিক দল বিএনপি। দলটি মঙ্গলবার তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে। ইশতেহার ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির ইশতেহারে যা যা থাকছে
গলতন্ত্র ও আইনের শাসন
বিএনপি বলেছে, তারা ক্ষমতায় গেলে সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে। একাধারে পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিধান করা হবে। এ ছাড়া-
১. মন্ত্রীসভাসহ প্রধানমন্ত্রীকে সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা হবে। ২. বিরোধীদল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ দেয়া হবে। ৩. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে শর্তসাপেক্ষে সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করা হবে।৪. বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে ‘জাতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। সংবিধানে ‘গণভোট’ ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃস্থাপন করা হবে।৫. সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে উল্লেখসংখ্যক নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে।৬. প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সংবিধান অনুযায়ী ‘ন্যায়পাল’ নিয়োগ দেয়া হবে।৭. র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। র্যাবের বর্তমান কাঠামো পরিবর্তন করে অতিরিক্ত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন গঠন করা হবে। এই ব্যাটালিয়ন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে। রাষ্ট্রের সকল সামরিক ও বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা স্ব স্ব চার্টার অনুযায়ী পরিচালিত হবে।৮. চাকরি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সকল ধরনের তদবির ও চাঁদাবাজি নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। দেশরক্ষা, পুলিশ ও আনসার ব্যতীত শর্তসাপেক্ষে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা থাকবে না। ৯. বিডিআর হত্যাকাণ্ডের এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি-সংক্রান্ত সকল অনুসন্ধান রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে এবং অধিকতর তদন্তের উদ্যোগ নেয়া হবে। ১০. রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের সময় যেন সাধারণ মানুষের কোন ভোগান্তি না হয় সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ১১. প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব প্রতিবছর প্রকাশ করা হবে।
বিচার বিভাগ
১. সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে নিম্ন আদালতের নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সুপ্রিম কোর্টের হাতে ন্যস্ত করা হবে। ২. মামলার জট দূর করার জন্য যোগ্য বিচারক নিয়োগ দেয়া হবে এবং এর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।৩. বর্তমান বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করা হবে।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা
১. মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। সরকারে সঙ্গে কোনো বিষয়ে মতভিন্নতা থাকলেও কারো কণ্ঠরোধ করা হবে না। অনলাইন মনিটরিং তুলে দিয়ে জনগণকে অবাধে কথা বলার ও মত প্রকাশের সুযোগ দেয়া হবে।২. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টসহ সকল প্রকার কালা-কানুন বাতিল করা হবে। তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তি দ্রুততর করার জন্য বিদ্যমান বাধা পুরোপুরি দূর করা হবে। ৩. বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ বাতিল করা হবে।
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ
১. দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের দায়িত্ব থাকবে নির্বাচিত স্থানীয় সরকারের হাতে। ২. বর্তমানে কমবেশি ৫ শতাংশ বাজেট স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে ব্যয়ের পরিবর্তে প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে বাড়িয়ে পাঁচ বছরে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বাজেট স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে ব্যয়ের বিধান করা হবে।৩. জেলা পরিষদ জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবে। ৪. পৌর এলাকাগুলোতে সব সেবাসংস্থা মেয়রের অধীনে রেখে সিটি গভর্নমেন্ট চালু করা হবে।
অর্থনীতি
১. জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ১১ শতাংশে উন্নীত করা হবে। ২. রফতানি প্রবৃদ্ধির হার তিনগুণ বাড়ানো হবে। রফতানিপণ্যের বহুমুখীকরণ করা হবে। ৩. ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ডিভিশন বিলুপ্ত করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক পরিচালনা ও তদারকির ভার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে ন্যস্ত করা হবে।৪. বর্তমান সরকারের শেষ দুই বছরে তড়িঘড়ি করে নেয়া প্রকল্পগুলো পুনঃবিবেচনা করার জন্য কমিটি গঠন করা হবে। ৫. দেশে কর্মরত সকল বিদেশিদের ওয়ার্ক পারমিটের আওতায় এনে মুদ্রাপাচার রোধ করা হবে এবং তাদেরকে করের আওতায় আনা হবে।৬. একটি টাস্কফোর্স রেন্টাল পাওয়ার প্রজেক্টের উচ্চ ব্যয়ের কারণ তদন্ত করে দেখবে।
মুক্তিযোদ্ধা
১. সকল মুক্তিযোদ্ধাকে ‘রাষ্ট্রের সম্মানিত নাগরিক’ হিসেবে ঘোষণা করা এবং মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রণয়নের নামে দুর্নীতির অবসান ঘটানো হবে। মূল্যস্ফীতির নিরিখে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতা বৃদ্ধি করা হবে।২. দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিরক্ষা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বধ্যভূমি ও গণকবর চিহ্নিত করে সেসব স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিবিড় জরিপের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের একটি সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা হবে এবং তাদের যথাযথ মর্যাদা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করা হবে।
যুব, নারী ও শিশু
১. জাতীয় উন্নয়নে যুব, নারী ও শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। ২. ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত তরুণদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ইয়ুথ পার্লামেন্ট গঠন করা হবে।৩. শিশু সন্তান রেখে নারীরা যাতে নিশ্চিন্তে কাজে মনোনিবেশ করতে পারে সেই লক্ষ্যে অধিক সংখ্যক দিবাযত্ন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।৪. নারী উদ্যোক্তাদের অধিকতর উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়নে প্রয়োজনীয় সমর্থন, স্বল্পসুদে ব্যাংক ঋণ এবং কর-ছাড় দেয়া হবে। ৫. এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে। এদের যৌক্তিক অর্থনৈতিক উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।৬. নারীদেরকে ন্যায়সঙ্গত সম্পত্তির উত্তরাধিকার প্রদান করা হবে। এই লক্ষ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিদ্যমান আইন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।
শিক্ষা ও কর্মসংস্থান
১. শিক্ষাখাতে জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা হবে। ২. শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য জাতীয় টিভিতে একটি পৃথক শিক্ষা চ্যানেল চালু করা হবে। ৩. স্বল্পআয়ের পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্বল্পসুদের শিক্ষাঋণ চালু করা হবে। ৪. বিদেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জনের সুবিধার্থে মেধাবীদের বৃত্তি প্রদানের জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হবে।৫. মাদরাসা শিক্ষাকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হবে। তাদের কারিকুলামে পেশাভিত্তিক ও বৃত্তিমূলক বিভিন্ন বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।৬. সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মসজিদের খতিব, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানজনক ‘সম্মানীভাতা’ চালু করা হবে। ৭. শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে সকল ধরনের ভ্যাট বাতিল করা হবে। ভ্যাটবিরোধী, কোটা সংস্কার এবং নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে আনীত সকল মামলা প্রত্যাহার এবং এসব আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। ৮. সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গবির ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হবে। পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা ব্যবস্থা বিলোপ করা হবে।৯. প্রথম ৩ বছরে দুর্নীতি মুক্ত ব্যবস্থায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে ২ লাখ মানুষকে চাকরি দেয়া হবে। ১০. তরুণ দম্পতি ও উদ্যোক্তাদের সাবলম্বী হওয়ার জন্য ২০ বছর মেয়াদী ঋণ চালু করা হবে।১১. আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ১২. এক বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটাই আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকারভাতা প্রদান করা হবে। এদের যৌক্তিক অর্থনৈতিক উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।
জ্বালানি
১. অদক্ষ পুরনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো অতি জরুরি ভিত্তিতে আধুনিকায়ন এবং পুনর্বাসনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। দেশীয় গ্যাস এবং ফার্নেস-অয়েল-এর ওপর নির্ভলশীলতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস করা হবে। বিদ্যুৎ সংকট স্থায়ীভাবে নিরসন এবং কার্বন নিঃস্বরণ হ্রাস করার লক্ষ্যে ছোট, মাঝারি ও বৃহদাকার পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি আহরণ বিশেষ করে সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জিও-থারমাল, সমুদ্র তরঙ্গ, বায়োগ্যাস, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।২. বড় বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র, জলাধার, গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ শিল্প সরকারি খাত এবং প্রয়োজনবোধে সরকারি/বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে স্থাপন করা হবে।৩. ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম বছরে বিদ্যুৎ ও আবাসিক গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হবে না। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যে সকল প্রকার অসঙ্গতি দূর করা হবে।
তথ্য ও প্রযুক্তি
১. তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে বিদেশ থেকে অর্জিত অর্থ দেশে আনয়নের ক্ষেত্রে সকল প্রকার অযৌক্তিক বাধা দূর করা হবে। ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং-এর সঙ্গে জড়িত সকলকে সুবিধা দেয়ার উদ্দেশ্যে স্বল্প চার্জে গ্লোবাল গেটওয়ে পেইমেন্ট সুবিধা দেয়া হবে।২. পাঁচ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে ই-গভর্নমেন্ট চালু করার জন্য ক্লাউডভিত্তিক এন্টারপ্রাইজ অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করতে সরকার দেশি প্রযুক্তি ব্যবহারে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেবে। ৩. ভিওআইপি ব্যবস্থা উন্মুক্ত করে এই খাতে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে।৪. সৃজনশীল ব্যক্তির মেধাস্বত্বের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। শুধু সাব-কন্ট্রাক্ট নয়, আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদনে স্থানীয় কোম্পানিগুলোকে সহায়তা দেয়া হবে। একইসঙ্গে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত সফটওয়ার ব্যবহারে স্থানীয় কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করা হবে। প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্বরান্বিতকরণ তহবিলসহ আইটি ইনকিউবেটর এবং ল্যাবরেটরি ব্যবস্থা সংযোজিত হবে।৫. ইন্টারনেট অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মোবাইল ডাটার জন্য এবং ব্রডব্যান্ডের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী মূল্যে সময়োপযোগী সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করা হবে। ৬. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত সকল প্রকার উপকরণ সামগ্রীর ওপর শূন্য শুল্ক সুবিধা বজায় রাখা হবে।৭. মেট্রোপলিটন এলাকা, পৌরসভা, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য প্রশাসনিক কেন্দ্রগুলোকে ক্রমান্বয়ে স্মার্ট সিটি, স্মার্ট পৌরসভা, স্মার্ট গ্রাম ও স্মার্ট ক্যাম্পাসে রূপান্তরিত করা হবে।
ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
১. আগামী ৫ বছরের মধ্যে খেলাধুলার কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ যাতে একটি গ্রহণযোগ্য স্থান করে নিতে পারে সে লক্ষ্যে পরিকল্পিত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। খেলাধুলায় আন্তর্জাতিকমান অর্জনের জন্য প্রতি জেলায় একটি আধুনিক প্রযুক্তি-নির্ভর ক্রীড়া একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে।২. জাতীয় ভাবধারার পরিপন্থী অপসংস্কৃতি চর্চাকে নিরুৎসাহিত করা হবে। সংস্কৃতির মাধ্যমে স্বাধীন চিন্তাধারা ও মতাদর্শের যেন সুষ্ঠু প্রতিফলন হয় তার জন্য গণতান্ত্রিক রীতি পদ্ধতির অনুসরণ করা হবে।
বৈদেশিক ও প্রবাসী কল্যাণ
১. বৈদেশিক কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ, ঝূকিমুক্ত অভিবাসন নিশ্চিতকরণ ও অভিবাসন ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রবাসীরা যাতে তাদের কষ্টার্জিত আয় বৈধ পথে বাংলাদেশে প্রেরণ করতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক এক্সচেঞ্জ হাউস/ব্যাংকের সঙ্গে প্রণোদনা সুবিধাসহ রেমিট্যান্স প্রেরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলো যাতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিশেষ করে প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণে যথাযোগ্য ভূমিকা পালন করে তা নিশ্চিত করা হবে। ২. বিদেশফেরত প্রবাসীদের বিমানবন্দরে বিদ্যমান হয়রানি বন্ধ করা হবে। বিদেশ থেকে ফেরত আসা প্রবাসীদের যথাযথ তালিকা প্রস্তুত করে তাদের কল্যাণে নানামুখী প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। ৩. প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় নির্বাচনে ভোট প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেশ পরিচালনায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। বিদেশে বিপদগ্রস্ত বা আটকে পড়া নাগরিকদের রক্ষা ও ফিরিয়ে আনতে যথোপযুক্ত কনস্যুলার সহায়তা ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।
কৃষি ও শিল্প
১. কৃষিতে নানা ধরনের ঝূকি মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও শস্যবীমা, পশুবীমা, মৎস্যবীমা এবং পোল্ট্রিবীমা চালু করা হবে। ২. গরিব এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত কৃষকের কৃষি ঋণের সুদ মওকুফ করা হবে।৩. দুবছরের মধ্যেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি ১২ হাজার টাকা করা হবে। গার্মেন্টসসহ অন্যান্য সকল শিল্পএলাকায় শ্রমিকদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। ৪. সকল খাতের শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি নির্ধারণ করা হবে। ৫. শ্রমিক ও ক্ষেত মজুরসহ গ্রাম ও শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সুলভ মূল্যে রেশনিং চালু করা হবে। ৬. কৃষি ভর্তুকি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বাড়িয়ে সার, বীজ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করা হবে। ৭. জলমহাল এবং হাওড়ের ইজারা সম্পূর্ণ বাতিল করে মৎসজীবী ও দরিদ্র জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। ৮. পুনর্বাসন ছাড়া শহরের বস্তিবাসী ও হকারদের উচ্ছেদ করা হবে না। ৯. স্বাস্থ্যবীমার মাধ্যমে শ্রমিকরা মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রিমিয়ামের মাধ্যমে সকল চিকিৎসা সুবিধা পাবেন। ১০. ১ বছরের মধ্যে মানুষকে ভেজাল ও রাসায়নিকমুক্ত নিরাপদ খাদ্য পাবার নিশ্চয়তা দেয়া হবে।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
১. জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করা হবে। উৎপাদনকারী, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার যুক্তিসঙ্গত মুনাফা নিশ্চিত করে ওষুধের মূল্য যুক্তিসঙ্গত হারে হ্রাস করা হবে।২. বিশিষ্ট চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে চিকিৎসা শিক্ষার মান উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জাতীয় এক্রেডিটেশন কাউন্সিল গঠন করা হবে।৩. মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং বয়োবৃদ্ধদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা নেয়া হবে।৪. চিকিৎসার ক্ষেত্রে সিংহভাগ খরচ হয় ডায়াগনস্টিক পরীক্ষায়। এক্ষেত্রে জনদুর্ভোগ কমানোর জন্য সরকারি উদ্যোগে পর্যাপ্ত ডায়াগনস্টিক বুথ স্থাপন করা হবে।৫. শিশুদের ডায়াবেটিস ও বেড়ে ওঠার সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
প্রতিরক্ষা ও পুলিশ
১. একটি দক্ষ, স্বচ্ছ, গতিশীল, মেধাবী, জবাবদিহিমূলক যুগোপযোগী ও গণমুখী জনপ্রশাসন গড়ে তোলা হবে। মেধার মূল্যায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যথাযথ সংস্কার করা হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নারী ও প্রান্তিক জাতি-গোষ্ঠী কোটা ব্যতীত কোটাপদ্ধতি বাতিল করা হবে। গতিশীল বিশ্বায়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংবিধানের আলোকে একটি যথোপযুক্ত সিভিল সার্ভিস আইন প্রণয়ন করা হবে। প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য প্রয়োজনীয় যুদ্ধাস্ত্র এবং অন্যান্য সব সরঞ্জাম অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কেনা হবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য কল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। ২. পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্রবাহিনীতে কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আবাসন সমস্যার সমাধান করা হবে। সশস্ত্রবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের জন্য যৌক্তিক রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হবে।৩. পুলিশ বাহিনীর ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধি করা হবে। পুলিশ বাহিনীর পেশাদারিত্ব বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নেয়া হবে। জাতিসংঘ বাহিনীতে পুলিশের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশের জন্য কল্যালমূলক প্রকল্প গৃহীত হবে। ৪. ইন্সপেক্টর ও সাব-ইন্সপেক্টরদের বেতন ৬ মাসের মধ্যে আপগ্রেড করা হবে এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অবসরে গেলেও তাদেরকে রেশন সুবিধা প্রদান করা হবে।
আবাসন, পেনশন ফান্ড ও রেশনিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা
১.দুস্থ, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারী এবং অসহায় বয়স্কদের ভাতার পরিমাণ মূল্যস্ফীতির নিরিখে বৃদ্ধি করা হবে। বেসরকারি ও স্বনিয়োজিত খাতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য বার্ধক্যের দুর্দশা লাঘবের উদ্দেশ্যে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে একটি ‘পেনশন ফান্ড’ গঠন করা হবে। গরিব ও নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা হবে।
পররাষ্ট্র
১. বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া হবে। ২. বিএনপি অন্য কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না এবং অন্য কোনো রাষ্ট্রের জন্য নিরাপত্তা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে-এমন কোনো কর্মকাণ্ডকে কোনো স্পেস দেবে না। একইভাবে অন্য কোনো রাষ্ট্রও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় হুমকি সৃষ্টি করলে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। ৩. মুসলিম ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিশেষ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করা হবে। বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ বাসভূমিতে নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য শক্তিশালী দ্বি-পাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক উদ্যোগ নেয়া হবে। ৪. জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সংস্থা যেমন : সার্ক, বিমসটেক, বিসিআইএম, বিবিআইএন প্রভৃতি সংস্থাগুলোকে সুসংহত করা এবং কার্যকরভাবে গড়ে তোলার জন্য সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ৫. বিআরআই, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেসিক ইনসিয়েটিভসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ৬. বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যান্য দেশের সংযোগ বৃদ্ধি করা হবে এবং বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ত্রিপুরা, মেঘালয়, নেপাল, ভুটানের জনগণের সংযোগ সহজতর করা হবে। ৭. আন্তর্জাতিক নদী আইন অনুযায়ী বাংলাদেশে বহমান আন্তর্জাতিক নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে আঞ্চলিক ও পারস্পারিক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে আলাপ-আলোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়
১. পাহাড়ি ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবন, সম্পদ, সম্ভ্রম ও মর্যাদা সুরক্ষা করা হবে। অনগ্রসর পাহাড়ি ও সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে সকল সুবিধা এবং পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদার করা হবে।২. দল-মত-জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ক্ষুদ্র-বৃহৎ সকল জাতি গোষ্ঠীর সংবিধান প্রদত্ত সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মকর্মের অধিকার এবং জীবন, সম্ভ্রম ও সম্পদের পূর্ণ নিরাপত্তা বিধান করা হবে। এই লক্ষ্যে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে।
(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮)
পাঠকের মতামত:
- চ্যালেঞ্জ আছে, তবু জনবান্ধব বাজেট প্রস্তুতের চেষ্টা
- ‘সংসদ ক্ষমতাসীন দলের একচ্ছত্র ভুবন’
- সনি আইএমএক্স ৬৮২ ক্যামেরার নতুন স্মার্টফোন বাজারে ছাড়লো ওয়ালটন
- জাতির পিতার সমাধিতে এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশনের সেক্রেটারী জেনারেলের শ্রদ্ধা
- ছেলের চাকরির জন্য স্ট্যাম্প-চেক দিয়ে প্রতারণার শিকার কৃষক বকুল
- রাজবাড়ীতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
- কোটালীপাড়ায় শিক্ষকদের গালাগালির প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন
- ‘চোরাই পথে গরু প্রবেশের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার’
- কোরবানির হাট কাঁপাতে আসছে ‘দিনাজপুরের রাজা’
- সাতক্ষীরায় রাস্তা পুনঃনির্মাণের দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালন
- নদীতে ভাসছিল ট্রলি ব্যাগ, মিলল পা-মাথা বিচ্ছিন্ন লাশ
- বগুড়ায় স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে হত্যায় স্বামী আটক
- কোম্পানীগঞ্জে নারাইনপুর সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার
- সাতক্ষীরায় সেমাই ও চানাচুর ফ্যাক্টরীতে টাস্কফোর্সের অভিযান
- ঈদে ‘জংলি’ আসছে না
- নার্সেস এসোসিয়েশন সিওমেক’র নির্বাচন সম্পন্ন
- ‘বঙ্গবন্ধুর কৃষি নীতির পথ ধরেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল’
- মুকসুদপুর প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি
- কামবালা হচ্ছেন ‘ভোটার অব দ্যা ইলেকশন’ : খালিদ মাহমুদ
- ‘দুর্যোগ-দুর্বিপাকে আ.লীগই মানুষের পাশে থাকে’
- সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর জন্মদিনে কেক কাটা, প্রার্থনা ও শিরনি বিতরণ
- সিলেট নগরীতে জলাবদ্ধ এলাকায় খাবার পানির সংকট
- কোটালীপাড়ায় অজ্ঞাত পরিচয় নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
- সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক জান্নাতের বিরুদ্ধে মনগড়া রিপোর্ট তৈরির অভিযোগ
- সালথার গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা
- শৈলকুপায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগে মানববন্ধন
- লোহাগড়া পৌরসভার বাজেট ঘোষণা
- ঈশ্বরদী ইপিজেড গেটে স্বামীর ছুরিকাঘাতে নারী কর্মী খুন
- প্রচন্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত, প্রয়োজন স্বাস্থ্য সচেতনতা
- ঘুষ বাণিজ্যের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন শিক্ষা অফিসার শামছুল
- আবার ফিরে আসছে সেই অন্ধকারময় দিনগুলি
- বিজ্ঞান শিক্ষায় প্রথাগত ধর্ম চর্চা সাংঘর্ষিক
- দুই সপ্তাহে রিজার্ভ আরও বেড়েছে; ডলারের বাজার দ্রুত স্বাভাবিক হবে, আশা অর্থনীতিবিদের
- স্মার্ট ফোনে ভূমিকম্পের অ্যালার্ট চালু করবেন যেভাবে
- বিদ্যার মাহাত্ম্য
- ‘নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে নির্বাচনকে সুষ্ঠু করা সম্ভব নয়’
- ‘বেনজীর দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে দেশে ফিরতেই হবে’
- সালথায় জন্ম-মৃত্যু টাস্কফোর্স ও ইউনিয়ন আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা
- মহম্মদপুরের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে গণ সংবর্ধনা প্রদান ও আলোচনা সভা
- বরগুনায় রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক সহায়তা ও খাদ্য সমাগ্রী বিতরণ
- টুঙ্গিপাড়ায় স্কুলের ২০০ শিশুকে খাওয়ানো হলো দুধ
- বাসায় বানান পটেটো ক্র্যাকার
- ‘বেনজীরকে দেশ ত্যাগে সুযোগ দিয়েছেন সরকার’
- ঈদুল আজহায় মুক্তি পাচ্ছে না ‘জংলি’
- ‘বেনজীরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ লোক-দেখানো’
- আগামী মৌসুমে রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে চান আনচেলত্তি
- যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলে পদত্যাগ করবেন ইসরায়েলি মন্ত্রীরা
- মোদির হ্যাটট্রিক বিজয়ের ইঙ্গিত
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত, আহত শতাধিক
- স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !