রাস্তায় পচছে চামড়া, বিনামূল্যেও নিচ্ছে না
স্টাফ রিপোর্টার : কোরবানির পশুর চামড়া রাস্তায় পচে নষ্ট হচ্ছে। বিনামূল্যেও নিচ্ছে না কেউ। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। সিন্ডিকেট করে ফায়দা লুটছেন পোস্তার আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা।
রাজধানীর পুরান ঢাকার লালবাগের পোস্তার আড়তদাররা বলছেন, ৯০ ভাগ ট্যানারির মালিক পোস্তার পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি। তাই নগদ টাকার সংকটে চামড়া কিনতে পারছেন না।
অন্যদিকে ট্যানারির মালিকরা বলছেন, ঢালাওভাবে অভিযোগ করা ঠিক নয়। কয়েকটি বাদে বেশিরভাগ ট্যানারি পাওনা অর্থ পরিশোধ করেছে।
আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে লোকসানে পড়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। বঞ্চিত হচ্ছে গরিব, এতিমরা।
কাঁচা চামড়ার খুচরা ব্যবসায়ী, আড়তদার ও ট্যানারির মালিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকালের তুলনায় আজ চামড়ার দাম আরও কম। আড়তদাররা চামড়া কিনতে চাচ্ছেন না। যত বড় গরুই হোক সর্বোচ্চ ২০০ থেকে ৩০০ টাকার বেশি দাম বলছে না।
চামড়ার মৌসুমী ব্যবসায়ী হাজী আরফান বলেন, পোস্তায় গতকাল রাতে চামড়া নিয়ে এসেছিলাম। বিক্রি করেছি ৪০৫ টাকা করে। কিন্তু গড়ে চামড়া কিনেছি ৫০০ টাকা ধরে। আজ আরও কিছু চামড়া এনেছি দাম বলছে ২১০-২২০ টাকা। যে দাম গাড়ি ভাড়ার খরচও উঠবে না। উল্টো চার-পাঁচ লাখ টাকা লোকসান।
মৌসুমী এ ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, আমি ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবসা করি। চামড়ার এত কম দাম কোনো সময় দেখিনি। ট্যানারি ও আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমিয়েছে। তাদের কাছে সবাই এখন জিম্মি। নগদপুঁজি দিয়ে ব্যবসা করি। যদি বছর বছর লোকসান গুনতে হয় তাহলে ব্যবসা করার দরকার কী? এ ব্যবসা আর করব না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালবাগ পোস্তায় ‘বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ)’ সেক্রেটারি হাজী মো. টিপু সুলতান জাগো নিউজকে বলেন, টাকা নেই। ট্যানারি মালিকরা আমাদের পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি। টাকা আটকে রেখেছে। টাকা না থাকলে আমরা চামড়া কিনব কীভাবে? তাই দাম পড়ে গেছে। আজ চামড়া দেড় থেকে ২০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ট্যানারিগুলো আমাদের পাওনা আটকে রেখেছে। আবার ব্যাংক থেকেও ঋণ পাচ্ছে। আমরা তো ঋণও পাই না, কেউ টাকা ধারও দেয় না। তাই চামড়া কিনতে পারছি না।
ঢাকার বাইরে থেকে অনেকে চামড়া নিয়ে আসছে, আবার অনেক চামড়া পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এখন করণীয় কী- জানতে চাইলে টিপু সুলতান বলেন, পোস্তার ব্যবসায়ীরা সাধ্যমতো চামড়া কিনেছে। এখন আড়তে চামড়া না এনে যে যেখানে চামড়া কিনছেন সেখানেই লবণ দিয়ে তা সংরক্ষণ করতে হবে। তা ছাড়া কোনো কিছু করার নেই।
চামড়ার দরপতনের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সালমা ট্যানারির মালিক সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, ট্যানারির মালিকরা পাওনা অর্থ পরিশোধ করছে না, এ কথা ঠিক নয়। ঢালাওভাবে অভিযোগ করাও ঠিক হচ্ছে না। কারণ বেশিরভাগ ট্যানারি আড়তদারদের টাকা দিয়েছে। তারা কম দামে চামড়া কিনছে। আমাদের কাছে বেশি দামেই চামড়া বিক্রি করবে। লবণযুক্ত চামড়া আমাদের এক হাজার টাকার উপরে কিনতে হবে।
তিনি বলেন, পচা চামড়ার দাম পাবে না এটাই স্বাভাবিক। কারণ এ চামড়া কোনো কাজে আসবে না। গরু জবাইয়ের ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার মধ্যে যারা চামড়া সংরক্ষণ করলে চামড়া ভালো থাকে। ১৫ থেকে ২০ দিন পর ট্যানারিগুলো চামড়া কেনা শুরু করবে। যেসব চামড়া ভালো থাকবে তা সরকার নির্ধারিত দামে কিনব।
তিনি আরও বলেন, এবার ৮৫ লাখ কাঁচা চামড়ার সংগ্রহের লক্ষ্য ঠিক করেছি। তবে এবার কোরবানি বেশি হয়েছে। তাই লক্ষ্য অনুযায়ী চামড়া সংগ্রহের কোনো সমস্যা হবে না।
এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকার ও ব্যবসায়ীরা মিলে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এবার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৪৫-৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা। গত বছর প্রতি বর্গফুটের দাম একই ছিল।
২০১৭ সালে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ছিল ঢাকায় ৪৫-৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪০-৪৫ টাকা।
এছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৮-২০ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকায় সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে ব্যবসায়ীদের। গতবার খাসির চামড়ার দামও ছিল একই। তবে ২০১৭ সালে খাসির চামড়ার দাম ছিল প্রতি বর্গফুট ২০-২২ এবং বকরির চামড়া ১৫-১৭।
সাভারে ট্যানারি স্থানান্তর, রফতানি আদেশ কমে যাওয়া ও অর্থ সংকটের কারণে এ বছর চামড়ার দাম কমানোর সুপারিশ করেছিল কাচা চামড়ার ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকরা। এসব বিবেচনায় সরকার দাম না বাড়িয়ে আগের মূল্য নির্ধারণ করেছে।
(ওএস/পিএস/আগস্ট ১৩, ২০১৯)
পাঠকের মতামত:
- ঈদের দিনও থেমে নেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- কোরবানির মাংস গলায় আটকে যুবকের মৃত্যু
- দেশ ছেড়েছেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়লেন তানজিম সাকিব
- ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ৫ সিনেমা
- ধামরাইয়ে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
- মাগুরায় বিভিন্নস্থানে গঙ্গা পূজা ও স্নান উৎসব
- ঈদের দিন জলে ভাসছে সিলেট
- বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত
- বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
- দিনাজপুরে ৩ লাখ মুসল্লির সমাগমে সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত
- কোরবানির গরু নিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না দোহার
- ‘কাদেরের কথার জবাব দিতে রুচিতে বাধে’
- রাজধানীতে কোরবানি দিতে গিয়ে ৫৫ জন আহত
- কুড়িগ্রামে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বন্যার আশঙ্কা
- দেশবাসীকে ভয় ভীতি কোরবানি দেওয়ার আহ্বান মির্জা আব্বাসের
- গোপালগঞ্জে ঈদুল আযহার প্রধান জামাত
- দার্জিলিংয়ে ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৮
- ইতিহাস গড়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ
- গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
- ত্যাগের আহ্বানে এলো ঈদুল আজহা
- বেলোনিয়ায় মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটিতে পাকবাহিনীর অতর্কিত হামলা
- পাংশা মডেল থানা পুলিশের অভিযানে হত্যাচেষ্টা মামলার এক আসামি গ্রেফতার
- চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: পরিবর্তনের পথে আমাদের প্রস্তুতি কেমন?
- ফরিদপুরে অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত আল আমীন টিম্বার হাউজ পরিদর্শনে এ কে আজাদ
- ঝিনাইদহে সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ
- সাভারের ২৩ কিলোমিটার সড়কে থেমে থেমে যানজট
- শনিবার খুলে দেয়া হচ্ছে বেনজীরের সাভানা পার্ক
- ঈদে আগৈলঝাড়ায় খাদ্য সহায়তা পাবেন ১৩ হাজার ২৩৫ পরিবার
- বঙ্গবন্ধু সেতুতে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় তিন কোটি টাকার টোল আদায়
- নওগাঁয় পাকসেনাবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড সংঘর্ষ হয়
- নড়াইলে চিত্রা নদীতে গোসল করতে গিয়ে স্কুলছাত্র নিখোঁজ
- মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে নয়
- বান্দরবানে ডায়রিয়ায় পাঁচদিনে ১০ জনের মৃত্যু
- সফলতার পথ
- ‘ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড গর্বিত বাবা অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন ২৫ বাবা
- বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রশ্নে আমৃত্যু আপসহীন ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম
- পাংশায় মাদক ব্যবসায়ীসহ ২ আসামি গ্রেফতার
- ‘দেশে চালের উৎপাদন ৪ গুণের বেশি বেড়েছে’
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- তিস্তায় পানি বেড়েছে, বন্যার আশঙ্কা
- ফুলপুরে কোরবানির পশুর গাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগ
- নিষিদ্ধ জাল জব্দ, গ্রাম পুলিশের ছেলেকে মারধর
- ‘বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ৬ দফা ছিল স্বাধীনতার প্রথম ভিত্তি’