E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

‘সারের ঘাটতি নেই, দাম একটু এদিক-সেদিক থাকতে পারে’

২০২২ মার্চ ০৭ ১৫:৪৯:৪৭
‘সারের ঘাটতি নেই, দাম একটু এদিক-সেদিক থাকতে পারে’

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে সারের কোনো ঘাটতি নেই দাবি করে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘তবে কোনো কারণে দাম একটু এদিক-সেদিক থাকতে পারে।’

সোমবার (৭ মার্চ) সচিবালয়ে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৬তম এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

গণমাধ্যমে সারের সংকট নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে— এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এ মুহূর্তে সারের কোনো ঘাটতি নেই। কোনো কারণে দাম একটু এদিক-সেদিক থাকতে পারে। আমি বলতে পারি আমাদের সারের কোনো ঘাটতি নেই।’

‘আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশকে কয়েকগুণ বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। তবে স্থানীয় বাজারে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা সারের দাম বাড়াতে পারছে না সরকার। ফলে ভর্তুকির পরিমাণ যাচ্ছে বেড়ে। এরই মধ্যে এ পরিস্থিতিতে ‘উভয় সংকট’ বলে বর্ণনা করছে কৃষিমন্ত্রী।

এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সারের মজুদ, দাম, ভর্তুকিসহ সার্বিক বিষয়ে নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী বলেছিলেন, কোভিড পরিস্থিতির প্রভাবে বিশ্বব্যাপী সারের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে, যা গত বছরের তুলনায় তিনগুণ। সেইসঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় জাহাজ ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। ফলে সারের আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে।

তিনি আরও বলে, সারের জন্য ভর্তুকি দিতে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৮ হাজার কোটি টাকা লাগবে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ভর্তুকি লেগেছিল ৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি খাতে বাজেট ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আরও প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত প্রয়োজন।

‘এতো বিশাল অংকের ভর্তুকি কোথা থেকে আসবে এ বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দয়ে কাজ করছে। একদিকে এত ভর্তুকি দিলে অন্যান্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবে, অন্যদিকে সারের দাম বাড়ালে কৃষকের কষ্ট বাড়বে, উৎপাদন খরচ বাড়বে, খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং খাদ্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে’ ওইদিন বলেছিলেন কৃষিমন্ত্রী।

(ওএস/এসপি/মার্চ ০৭, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test