E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

টার্কি পালনে লাভ বেশি

২০১৭ মে ১২ ১১:৪০:২১
টার্কি পালনে লাভ বেশি

শেকৃবি প্রতিনিধি : গৃহপালিত পাখির মধ্যে টার্কি আমাদের দেশে এখন ব্যাপক সম্ভাবনাময়। কারণ টার্কি পালনে তুলনামূলক লাভ অনেক বেশি। মুরগীর চেয়ে টার্কি আকারে বেশ বড়।

সাধারণত বিশ্বের সর্বত্রই টার্কি পালন করা হয়ে থাকে। টার্কি পালনে উন্নত অবকাঠামো না হলেও চলে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হওয়ায় এরা দ্রুতই পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এদের খাবারের ৫০-৬০ ভাগ নরম ঘাস, ফলে খাবারের খরচ কম হয়। এর মাংস কম চর্বিযুক্ত ও মজাদার। মাত্র ৬ মাস বয়সে ৫-৬ কেজি ওজন হয়।

আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রাণিজ প্রোটিনের একটি উপাদেয় উৎস হতে পারে টার্কি। বর্তমানে গরু, খাসি বা ব্রয়লারের বিকল্প হিসেবে টার্কির মাংসের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

টার্কি বেশ নিরীহ প্রকৃতির পাখি। আমাদের দেশের অনুকূল পরিবেশে সহজেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। মুক্ত অবস্থায় বা খাঁচায় উভয় পদ্ধতিতে টার্কি পালন করা যায়। এদের বয়স যখন ৬-৭ মাস তখন থেকেই এরা ডিম দেওয়া শুরু করে। সাধারণত এক বছরে ২-৩ বার ১০-১২ টি ডিম দিয়ে থাকে।

টার্কি যদিও সাধারণ খাবার যেমন ঘাস, পোকামাকড় ইত্যাদি খেতে অভ্যস্ত। তবুও মানসম্মত পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করলে মাংস ও ডিমের উৎপাদন বাড়ে। একটি মেয়ে টার্কির ওজন সাধারণত ৫-৬ কেজি আর পুরুষ টার্কির ওজন ৮-১০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

বর্তমানে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে টার্কির খামার করছেন। আবার কেউ কেউ বাড়িতে শখ করেও টার্কি পোষেন। টার্কি পালনে ৪-৫ মাস বয়সের বাচ্চা কেনা উচিত, যাতে সহজেই লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়। এ ছাড়া রোগ-ব্যাধির ঝুঁকিও কম থাকে।

যদিও টার্কির রোগ-ব্যাধির সংক্রমণ খুবই কম, তবুও অত্যধিক ঠাণ্ডা বা বৃষ্টিতে রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত টীকা দেওয়া অত্যাবশ্যক। যেমন, এক মাসের বাচ্চাকে এনডি-বি ১ স্ট্রেইন, ৪ থেকে ও ৫ সপ্তাহের বাচ্চাকে ফাউল পক্স, ৬ষ্ঠ সপ্তাহের বাচ্চাকে এনডি (আর২ বি) এবং ৮-১০ সপ্তাহের বাচ্চাকে কলেরা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।।

টার্কি পালনে খরচের তুলনায় লাভ অনেক বেশি, ব্রয়লার মুরগির চেয়েও দ্রুত বাড়ে। পরিবেশ থেকে খাবার সংগ্রহের প্রবণতা থাকায় খাবার খরচও অনেক কম। এ ছাড়া দেখতে সুন্দর হওয়ায় বাড়ির শোভা বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।

মাংসে চর্বি কম, প্রোটিনের পরিমাণ বেশি, তাই খাদ্য হিসেবেও টার্কির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এর মাংসে রয়েছে ফসফরাস, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ই, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, লৌহ ইত্যাদি উপাদান যা মানুষের শরীরের জন্য যথেষ্ট উপকারী এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এর মাংস রোগ প্রতিরোধেও বেশ কার্যকর, কারণ এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ট্রিপটোফেন ও এমাইনো এসিড।

মুক্ত চারণ ও নিবিড় উভয় পদ্ধতিতেই টার্কি পালন করা যায়। মুক্ত চারণ পদ্ধতিতে খরচ কম। অপরদিকে নিবিড় পালন পদ্ধতিতে বেশি যত্ন নিতে ও নিয়মিত খাবার সরবরাহ করতে হয়। তবে উৎপাদনও বাড়ে।

(ওএস/এসপি/মে ১২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test