নতুন স্বপ্ন নিয়ে এবারের বিজয় দিবস

চৌধুরী আবদুল হান্নান
বিজয়ের ৪৬ বছর পার করলো বাংলাদেশ। যে ঘোষণায় স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাক ছিল, মুক্তির ডাক ছিল ,বঙ্গবন্ধুর সেই ৭ মার্চের ভাষণ এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। অমর মহাকাব্যিক সেই ভাষণ এতদিনে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে আন্তজার্তিক অঙ্গনে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিল। ইউনেস্কোর স্বীকৃতির মাধ্যমে ভাষনটি এখন বিশ্ব সম্পদ এবং বিশ্বের নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের কাছে সতত এক অনুপেরণার উৎস হয়েই থাকবে।
১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় তথা বাঙালির বিজয়। এ বিজয় আমাদের কাছে একই সাথে আনন্দ ও বেদনার। ধর্মের নামে পাকিস্তানীদের ২৫ বছরের শোষণ ও বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে বীর বাঙালি-মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। এ দিনটি একদিকে যেমন আমাদের আনন্দ-উল্লাসের দিন, একই সাথে ৩০ লক্ষাধিক মানুষকে হত্যা ও কয়েক লাখ মা বোনের নির্যাতন, সম্ভ্রমহানির সীমাহীন বেদনার স্মৃতি বহন করবার দিন। আরও একটি স্মৃতি আছে বাঙালির, সেটা মধুর স্মৃতি, তা হলো , আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত ৯৩ হাজার পাকিস্তানি কাপুরুষ সেনার প্রায় নিরস্ত্র বাঙালির কাছে নতজানু হয়ে আত্মসমর্পন।
আজকের এই দিনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তথা মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে হবে। এককোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া এবং তাদের সম্মানের সাথে দেশে ফেরত পাঠানোর কাজটি সহজ ছিল না। কাজটি সুসম্পন্ন করার কৃতিত্ব মূলত ইন্দিরা গান্ধীর। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান ছিলেন জেনারেল মানেক শ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে তাকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন সেই কৃতী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সে কারণেই আবহাওয়াগত ও ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনা করে তিনি যুদ্ধটা ডিসেম্বরের দিকে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন। যুদ্ধ জয়ের জন্য জেনারেল মানেক শ’কে ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কাছে পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশের ভৌগলিক স্বাধীনতা এসেছে; কিন্তু প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধ আজও শেষ হয়নি। শক্তিশালী দেশ চীন, মার্কিন যুক্তরাট্র ও মুসলিম দেশগুলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেনি, এমন কি নৈতিক সমর্থন পর্যন্ত দেয়নি। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দেশ পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরে য়ায়।
২১ বছরের অন্ধকার যুগের আপাত সমাপ্তি ঘটে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতার গ্রহণের মধ্য দিয়ে। কিন্তু সেই জয়রথ থেমে যায় ২০০১ সালের ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর কূট-জালে; ক্ষমতা দখল করে নেয় বিএনপি-জামায়াত। বিএনপি-জামায়াতের ওই আমলেই নৃশংস গ্রেনেড হামলা করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে; কেননা তিনি যে বিজয়ী বাঙালির মূর্ত প্রতীক।
বাঙালির ঐতিহাসিক এক অনিবার্য প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের আওয়ামীলীগ তথা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি ফের ২০০৯ সালে দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার ইতোমধ্যে বাঙালিকে বিশ্বসভায় এক মর্যাদাশীল জাতি হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত করেছে।
জাতির পিতা হত্যার বিচার, জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে শেখ হাসিনা মানুষের হৃদয়ে চিরস্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। এ কারণে তিনি অমর হয়ে থাকবেন । দেশে দায়হীনতার কাল শেষ হয়েছে, আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার পথ সুগম হয়েছে। শেখ হাসিনা এখন বিশ্বসমাজে নন্দিত নেতা।
আওয়ামীলীগ ১৯৫৫ সালে ঘোর ধর্মান্ধতার যুগে প্রকাশ্যে আসপ্রদায়িক আদর্শ গ্রহণ করে সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছিল। কিন্তু আজও সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প সম্পূর্ন নির্বাপিত হয়নি । সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরও উচ্চপর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে আশ্রয় করে এগিয়ে যেতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা থাকতে হবে, যাতে শুধু উন্নয়নের ধারাই শুধু নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারা অব্যাহত থাকে এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিতদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ ত্বরান্বিত হয়।
আজকের এই মহান বিজয়ের দিনে আমাদের সকলের প্রত্যাশা হোক, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক উন্নত দেশ হিসেবে চিরকাল বিশ্বসভায় দাঁড়িয়ে থাকবে এবং প্রজন্ম পরম্পরায় শহীদদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দিয়ে যাবে।
লেখক : সাবেক ব্যাংকার।
(ওএস/অ/ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭)
পাঠকের মতামত:
- ‘জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন হতে হবে’
- একদিনে ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু
- ‘নির্বাচনে অবহেলা করলে জবাবদিহি ও শাস্তি’
- জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই অধ্যাদেশ অনুমোদন
- অর্থনীতি ও সমাজের প্রেক্ষাপটে উদ্যোক্তার ধারণার ঐতিহাসিক বিবর্তন
- কোটালীপাড়া পৌরসভার সাবেক মেয়রের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী তৌকির গ্রেফতার
- মাদারীপুরে ৬টি অসচ্ছল দরিদ্র পরিবারকে ৬টি গাভী বিতরণ
- বাগেরহাটে পুকুরে ডুবে দাদা নাতির মৃত্যু
- কাপ্তাই বিএসপিআই’র শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
- বাগেরহাটে তৃতীয় দিনেও ১০টি নির্বাচন অফিসে অবস্থান ধর্মঘট
- ‘আমার ভোট আমি নিজেই দেব’
- ছাত্রছাত্রীদের এআই শেখাতে এগিয়ে আসলো রবি ও টেন মিনিট স্কুল
- মাদারীপুরে দেড়মাস পর কবর থেকে ঠিকাদারের লাশ উত্তোলন
- সোনারগাঁয়ে ডাকাত সর্দার ও মাদক ব্যবসায়ী মনির মেম্বারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
- কাপাসিয়ায় ৭১টি দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে
- ঈশ্বরদীতে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা
- প্রাণসায়ের খাল বাঁচাতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন সমাবেশ
- বরিশাল শহর রক্ষা বাঁধের ব্লক লুট, ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে আটক ১
- গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
- বাংলাদেশে সমান পারিশ্রমিকের বাস্তবতা ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট
- লিবিয়ার জেলে আটক গৌরনদী-আগৈলঝাড়ার ৩৮ যুবক
- বাসদ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামরুন নাহার বেবী মারা গেছেন
- তিস্তা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এক ব্যক্তি নিখোঁজ
- টাইমস স্কয়ারে দুর্গাপূজা
- গানের শিক্ষক নিয়োগে বাধা হচ্ছে উগ্রবাদীরা
- দুঃসাহসী এক কিশোর মুক্তিযোদ্ধা ও কয়েকটি ভয়াবহ যুদ্ধের কথা
- রাজবাড়ীতে ৯ মাস নয় ৩ মাসেই পচছে পেঁয়াজ
- রাজধানীতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬
- চীন সফরে বাংলাদেশ সিডস ফর দ্য ফিউচার বিজয়ীরা
- কুমিল্লার নতুন মেয়র নৌকার রিফাত
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু
- সালথায় সাদা শাপলার সৌন্দর্যে মন কেড়েছে সবার
- ‘ক্ষমতা ছেড়ে দিন, এক বছরের মধ্যে পরিবর্তন করে দেবো’
- একাত্তরের কথা
- আটলান্টায় ফোবানা সম্মেলন পরিণত হলো পারিবারিক অনুষ্ঠানে
- রাহুল রাজের প্রেমের কবিতা
- মে দিবসের কবিতা
- মজাদার তালের বড়া বানাবেন যেভাবে
- বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস : লক্ষণ ও প্রতিরোধে করণীয়
- বানভাসিদের পাশে দাঁড়ালেন শাহরুখ খান
- গোলমরিচ ও তেজপাতার গল্প
- বাংলাদেশের এশিয়া কাপ মিশন শুরু আজ
- ‘দলের নির্দেশ অমান্য করে প্রভাব বিস্তার করার ঘটনা ইসির বোধগম্য নয়’
- আগুনে পুড়ে গেলে তাৎক্ষণিক যা করবেন
- অবশেষে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ ফুটবল দল