E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

একটি রূপকথার গল্প

২০২২ ফেব্রুয়ারি ২২ ১৬:২১:০১
একটি রূপকথার গল্প

রণেশ মৈত্র


অবিশ্বাস্য হলেও বিগত ১২ ফেব্রুয়ারি একটি অথ্যন্ত দায়িত্বশীল পত্রিকা তার প্রথম পৃষ্ঠায় “রাজমিস্ত্রীর সহকারি থেকে রাজার হালে” শীর্ষক চার কলাম ব্যাপী সচিত্র একটি চাঞ্চল্যকর খবর অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে।পত্রিকাটির রাজশাহী প্রতিনিধি সৌরভ হাবিব ওই খবর  যেভাবে জানিয়েছেন তা হলো:

তিন দশক আগে বাবার সঙ্গে রাজমিস্ত্রী কাজ করতেন তিনি। ১৯৯৬-৯৭ সালেও তার আয় শূণ্যই ছিল। ছিল না নিজস্ব এক টুকরা জমি। এখন তার বিঘা বিঘা জমি, শত কোটি টাকাও। চমক দেখানো এই ব্যক্তির নাম রমজান আলী। টানা দেড় যুগ ধরে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি পদে রয়েছেন তিনি। ১৯৯৭ সালে মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি হওয়ার পর বদলাতে থাকে তার জীবনের চিত্র। ২০০৪ সালে মহানগর যুব লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয় নি। পঞ্চম শ্রেণী পর্য্যন্ত প ড়া রমজান আলী তখন থেকে এ পর্য্যন্ত সভাপতি পদেই বহাল রয়েছেন। তার বয়স এখন ৬০ বছরের কছাকাছি হলেও তিনি “যুব নেতা”।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, পশ্চিমাঞ্চল রেলের সব ধরণের টে-ার নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। নাম মাত্র মূল্যে ইজারা নিয়ে রমজান আলী ষ্টেশন ভবনের উপর গড়ে তুলেছেন আবাসিক হোটেল ‘সিটি প্লাস’ অনেক জমি ও প্লটের মালিক হয়েছেন তিনি। স্ত্রী, তিন পুত্রের নামেও গড়ে গড়েছেন প্রচুর সম্পদ। তবে তিনি আয়কর দেন মাত্র পৌনে দুই কোটি টাকার সম্পদের।

রমজান আলী ২০২০-২৩ অর্থবছরে মোট সম্পদ দেখিয়েছেন ১ কোটি ৮৮ লাখ ২৮ হাজার টাকা। পরিবারের জন্য এই এক বছরে ব্যয় দেখিয়েছেন ৯লাখ ৪২ হাজার ৬০০ টাকা। তার আগের বছর রমজান আলীর সম্পদ ছিলো এক কোটি ৬৭ লাখ ৯১ হাজার ১১৯ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে যুবলীগ নেতার সম্পদ বেড়েছে ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৪০০ টাকা।

রমজান আলীর প্রদর্শিত সম্পদের মধ্যে রয়েছে সপুরার শুকনাদীঘি কেনায় ৫৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৭ টাকা ক্রয় মূল্যের ২.৯৩১৯ একর জমির ছয় ভঅগের এক ভাগ। ৯টি দেকানঘরের একুশ লাখ ২৫ হাজার ২৮২ টাকার বিনিয়োগ, ৮লাখ ৪১ হাজার ৫০০ টাকার আর একটি জমি, ২৮ লাখ টাকার শিরোইল মৌজায় ০.০১৫৫ একর জমি সহ ্ কেতলা বাড়ি, ৩০ হাজার টাকার ও ১৩ হাজার টাকা ০.০১৫৫ একর পরিমাণের দুটি গৃহ সম্পত্তি। বাস্তবে এসব সম্পদের দাম অত্যন্ত তিনগুণ বেশী। এ ছাড়া দেড় লাখ টাকা ক্রয় মূল্যের অলংকার, এক লাখ টাকা ক্রয়মূল্যের আসবাবপত্র এবং ৮০ হাজার টাকার বৈদ্যুতিক সামগ্রী দেখিয়েছেন।

একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রমজান আলী প্রদর্শিত আয় এক কোটি ৮৮ লাখ দেখালেও বাস্তবে তার সম্পদ রয়েছে অন্তত: ১০০ কোটি টাকার। আর.ডি.এ ভবন দখলঃশিরোইলে ঢাকা বাস টার্মিন্যালে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একটি দুই তলা ভবনের ওপরতলা ইজারা নিয়েছেন রমজান আলী। সেই দুইতলা ভবনটি এখন চার তলা। যুব লীগ নেতা রমজান আলী অবৈধভাবে তিন ও চার তলা নির্মাণ করে ভোগ দখলে রেখেছেন। রমজানের ছেলে তৃতীয় তলায় গার্মেন্টস কারখানা করেছেন।

রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এষ্টেট অফিসার বদরুজ্জামান বলে, ‘রমজান আলীকে শুধু দুই তলা ইজারা দেওয়া হয়েছে। তিনি অবৈধভাবে তিন ও চার তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য রমজান আলীকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁকে উচ্ছেদ করা হয় নি-তিনিও আমাদের ম্যাজিষ্ট্রেট উচ্ছেদ অভিযান চালাবেন। এ বিষয়ে রমজান আলীর ভাষা, দুই তলা-তিন তলা ইজারা নেওয়া হয়েছে-শুধু চার তলায় রান্নাঘর করেছি।

বিস্ময়কর হলেও আরও চমকপ্রদ তথ্য হলোঃরাজশাহী ষ্টেশন ভবনের ওপরে ১৮টি আবাসিক কক্ষ, একটি রেস্তোঁরা এবং একটি সম্মেলন কক্ষ, দৈনিক এক হাজার ২২৫ টাকায় রমজান আলীরেক ইজারা দেয় কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালে চার বছর মেয়াদে বছর মাত্র ৪ লাখ ৪১ হাজার ১৬৮ টাকায় এই ২০ টি কক্ষ ইজারা দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে ২০১৬ সালে আরও কম টাকায় ইজারা পেয়েছিল এই যুবলীগ নেতা। তখন এর জন্য তাঁকে দৈনিক মাত্র ৮৪০ টাকা ৩০ পয়সা ভাড়া দিতে হতো। অভিযোগ রয়েছে, টেন্ডারে কাউকে অংশ দিতে না দিয়ে নামমাত্র মূল্যে বারবার ইজারা নেন রমজান আলী। বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে স্বাভাবিকভাবে এতগুলো কক্ষ ভাড়া নিতে গেলে কমপক্ষে প্রতিদিন ২০ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হতো।

পশ্চিমাঞ্জল রেলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ্ ভূঁইয়া বলেন, প্রতি চার বছর পরপর দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হয়। রমজান আলীর চেয়ে বেশী দাম কেউ দেয় না। এ বিষয়ে রমজান আলী বলেন, রেল ষ্টেশনে প্রচ- শব্দ হয়। ভি.আই.পি কেউ থাকতে চায় না। এ কারণে ভাড়াও কম। বরং আমি ছাড়া কেউই এখানে এত টাকায় ইজার নিবে না।

রেলের ঠিকাদারি : রমজান আলীর প্রধান পেশা রেলের ঠিকাদারি। সব টে-ার কাজের দেন দরবার তার মাধ্যমেই হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। মহানগর যুবলীগের সংগঠনিক সম্পাদক ও রেলের ঠিকদার আশরাফ হোসেন বলেন, রমজান আলী কখনোই টে-ারে অংশ নিয়ে প্রতিযোগিতা করে কাজ পান নি। সব কাজ প্রভাব খাটিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া বহুলোককে রেলে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, রমজানের সঙ্গে ছয় বছর আমার ব্যবসা ছিল। এ সময় আমার এক কোটি ৮৪ লাখ টাকা আত্মশাৎ করেন রমজান আলী। টাকা চাইলে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা সহ নানা হুমকি দেন। এ নিয়ে মহানগর নেতাদের নিয়ে সালিশেও বসেছিলাম।

এ বিষয় যুবলীগ নেতা রমজান আলী বলেন, আমি এ পর্য্যন্ত রেলে মাত্র সা কোটি টাকার টে-ার পেয়েছি। অনেকে টে-ার নিয়ে বিভিন্ন কারণে কাজ করতে পারে নি। তদখন তারা সেই টেন্ডার বিক্রী করে দিলে আমি কিনে নিয়েছি এবং কাজ করেছি। আশরাফ হোসেন বাবুর অভিযোগের বিষয়য়ে তিনি বলেন, ‘সে আমার কর্মচারী ছিল। আমার ব্যবসা দেখভাল করতো। সে আমার কাছে টাকা পায় না। তার বাড়ীঘর বিক্রি করেও তো ২৫ লাখ টাকা হবে না। তাহলে এত টাকা কীভাবে পায়?

দুর্বল মালিকানার জমি : ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ কলোনীতে ছোট বনগ্রাম মৌজার দীঘলকান্দি ঝিল আড়াই বছর আগে দখল করেন যুব লীগ সভাপতি। এরপর ভরাট করে বিক্রী করেন তিনি। পুকুর বা বিল ভরাট করা বে-আইনী হলেও তিনি তা ভারাট করে প্লট আকারে বিক্রী করেছেন। ১০ লাখ টাকা কাঠা দরে চার বিঘা জমি প্রায় ৮ কোটি টাকা দরে বিক্রী ক রেছেন।

স্থানীয় অনেকে জানালেন, জিতেন্দ্র নারায়ন জমিদার ছিলেন। তিদনি জমিটি কাউকে দান বা বিক্রী ক রেন নি। বরং দখলদারা জাল দলিল করে বিক্রী করেছেন। ছোট বনগ্রাম নিউ ক লোনীর সেই ঝিলে গিয়ে দেখা গেছে, ঝিল বা পুকুরের কোন অস্তিত্ব নেই। বালূ ভরাট করে প্লট আকারে ইটের গাঁথনি দিয়ে ভাগ করে রাখা হয়েছে। সেখানে বাগমারার মকবুল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে দেখা গেল, দুই কাঠার একটি প্লটে শ্রমিক দিয়ে ভবন নির্মাণের ভিত দিচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে ইব্রাহিম ঢাকায় চাকরি করে রমজান ও ইসমাইলের মাধ্যমে দুই কাঠা জামি ৯ লাখ টাকা দরে কিনেছে। পাঁচ তলা বাড়ী বানানো হবে। স্থানীয় রিকসা চালক নয়ন বলেন যুবলীগ নেতা রমজান দাদা এখানকার পুকুরটি ভরাট করেছেন। এখন প্লট আকারে বিক্রী করছেন।

জায়গাটির পাশের বাড়ীর বাসিন্দা-আনিসুর রহমান বলেন, ‘এখানে অনেক পুরোনো পুকুর ছিল। খাস জমি। কাশেম মিয়ার দখলে ছিল। পরে রমজান ভরাট করে বিক্রী করে দিয়েছেন। আমার ঘরের পাশে দুই কাঠা জমি আমি নিতে চেয়েছিলাম কিন্তু ১০ লাখ টাকা দাম চায়। এত টাকা দেব কোত্থেকে? গৃহবধূ নিপা বলেন, রমজানকে বিক্রী করতে আসতে দেখেছি-কারা কিনেছে জানি না। এ বিষয়ে রমজান আলী বলেন, ‘এই জমি আমি কমিশনের বিনিময়ে ভরাট করে বিক্রী করতে সহযোগিতা করেছি মাত্র। আমি মালিক না-আর নিজে বিক্রীও করিনি। সাইদুর রশিদ ও খলিল চৌধুরীর ওয়ারিশেরা জমির রেজিষ্ট্রী দিয়েছেন। সিটি কর্পোরেশনের ভেতর পুকুর ভরাট নিষিদ্ধ হওয়ার পরও কেন ভরাট করা হলো জানতে চাইলে রমজান বলেন, “এটা ঠিক পুকুর না, লেটাপুকুর। সামান্য গর্ত ছিল। ময়লা আবর্জনার ভাগাড় হিসেবে সবাই ব্যবহার করতো। ভরাট করায় এলাকার পরিবেশ সুন্দর হয়েছে।

শুকনাদীঘি : নামে শুকনাদীঘি হলেও পনি অথৈ। সপুরায় অবস্থিত এই পুকুরটিও যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী সহ ছয়জন কিনে নিয়েছেন। এখন এটি ভরাট করার চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে কিছু অংশে মাটি, ময়লা ফেলে ভরাট করেছেন। এই দীঘি ক্রয়ে ছয় ভঅগের এক অংশ বাবদ ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকা আয়কর বিভাগকে দেখিয়েছেন তিনি। রমজা আলী বলেন, ভরাট প্লট বিক্রী করার জন্য ছয় জন মিলে ভাগে কিনেছিলাম। কিন্তু মেয়র সাহেব এই পুকুর সৌন্দর্য্যবর্ধন কারা জন্য সংরক্ষিত করেছেন। তাই কয়েকজন নিজের অংশ বিক্রী করে দিয়েছেন। আমার অংশটাও বিক্রী করে দেব।”

বাশার রোড : বাশার রোডে মালিকানার জটিলতা থাকা দুই বিঘা জমি কিনেছেন রমজান আলী। এই জমি কেনার কয়েক কোটি টাকা আয়কর ফাইলে ওঠান নি তিনি। এ বিষয়ে রমজান বলেন, জমিটি মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাচ্চু ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার সহ তিনজন মিলে সোয়া কোটি টাকায় কোর জন্য ৫৭ লাখ টাকা বয়না করেছিলাম কিন্তু আর ডি এ ছাড়পত্র দিচ্ছে না। পরে জানতে পারি এখানে আর ডিএ কর্তৃপক্ষ খোলা স্থান হিসেবে নকশায় দেখিয়েছে। এ কারণে জমির মালিক উচ্চ আদালতে আমমলা করেছেন। তাই রেজিষ্ট্রী হয় নি। এ কারণে আয়কর বিভাগে দেখানো হয় নি।

রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নগর পরিকল্পনাবিদ আজমেরী আশরাফী বলেন, আমাদের মাষ্টার প্লানে ওপেন ষ্টোস থাকে। কিন্তু জমির মালিকানা নিয়ে সরাসরি আমাদের মালিককে কিছু বলতে পারি না। পরে জানতে পারি আর ডি এ কর্তৃপক্ষ ওপেন স্পেস হিসেব নকশায় দেখিয়েছেন এ কারণে জমির মালিক উচ্চ আদালতে মামলা করেছেন। ওপেন স্পেসের ভবন করার জন্য কেউ আবেদন করলে অনুমোদন দেই না। তবে বাসার রোডে এত বড় ওপেন স্পেস আমাদের পরিকল্পনায় নাই।

রমজান আলীর তিন ছেলের নামেও রয়েছেন অনেক সম্পদ। বড় ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার সোহেল রানা। তানোরে কয়েক বিঘা জমি কিনে সেখানে করেছেন পুকুর, খামার ও বাগান। তার রয়েছে দুটি প্রাইভেট কার। মেজছেলে মীজানুর জুয়েল করেছেন পোষাক কারখানা। তারও একটি প্রাইভেট কার রয়েছে।

রমজান আলী বলেন, তানোরে বড় ছেলে তিন বিঘা জমি কিনে পুকুর করেছে। আরও ১০ বিঘা ইজারা নিয়েছে রেসখানে জমির দাম কম। গাড়ীগুলো পুরোনো। এক দেড় লাখ টাকা দাম হবে। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যারা এসব তথ্য দেয় তারা হাইব্রিড। দীর্ঘদিন থেকে যুবলীগের নেতৃত্ব দিচ্ছি। এ কারণে শত্রুতা করে এসব তথ দেয়।”
পুরো কাহিনী পড়লে প্রিয় পাঠক-পাঠিকাদের অবশ্যই মনে হবে যেন রূপকথার কাহিনী এবং তার নায়ক যুবলীগ নেতা রমজান আলী। আরও দেখা যায় তাঁর এইসব অপকর্ম প্রতিরোধে এগিয়ে আসছেন না যুবলীগ, আওয়ামী লীগ, প্রশাসন, পুলিশ বা দুদক বা রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। সবাই কি তাহলে বেনিফিশিয়ারী? অথবা শংকিত?

যে বিশাল উন্নতি অবৈধভঅবে করতে পেরেছেন রমজান আলী-তেমন, তেমনের কাছাকাছি বা ততোধিক অসংখ্য রমজানের ছেয়ে গেছে বাংলাদেশ। বাড়ী, গাড়ি, সয়-সম্পত্তি, ব্যাংক ব্যালান্স অঢেল। আমাদের “গড় আয়” রমজানদের পেটে ঢুকেছে-আমাদের “উন্নয়ন মহাসড়ক” তাদেরকেই সমৃদ্ধ করে চলছে।

লেখক : সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ, সাংবাদিকতায় একুশে পদক প্রাপ্ত।

পাঠকের মতামত:

১৫ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test