এবারের বই মেলা : ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল
এক
এবারের বইমেলাটা অন্যরকম। আগে কখনো টানা অবরোধ হরতালে বইমেলা হয়নি। প্রথম প্রথম আমার একটু সন্দেহ ছিলো মানুষজন বইমেলায় আসবে কী না। অবরোধ কিংবা হরতাল পালন করার জন্য মানুষজন বইমেলা বয়কট করবে সেটা কখনোই ভাবিনি। কিন্তু পেট্রোলবোমা ককটেলের ভয়ে লোকজন মেলায় এসে স্বস্তি পাবে না সেটা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ ছিল।
দেখা গেল এ দেশের মানুষের পেট্রোলবোমা আর ককটেলের জন্যে যেটুকু ভয়, বইয়ের জন্যে ভালোবাসা তার থেকে অনেক বেশি। আমি সিলেট থাকি, শুক্রবার ও শনিবার বইমেলায় আসতে পারি। এবারে ছুটি নিয়ে পুরো সপ্তাহের জন্যে ঢাকা চলে এসেছিলাম বইমেলায় যাওয়ার জন্যে। কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে এই বইমেলার কোন জিনিসটি আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে, আমার উত্তরটি হবে খুব সহজ। আমি বলব, সেটি হচ্ছে বইমেলায় উপস্থিত এই দেশের অতি বিচিত্র মানুষ।
মেলায় থাকা অবস্থায় ঘড়ির কাঁটা যখন রাত আটটার কাছাকাছি পৌঁছায় তখন আমি কাউকে জিজ্ঞেস করি, ‘কী হলো ৮টা বেজে যাচ্ছে এখনো কিছু ঘটলো না? আমার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিটি আমাকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘ঘটবে! নিশ্চয় ঘটবে।’ এবং সত্যি সত্যি ব্যাপারটি ঘটে, আশেপাশে কোনো জায়গায় বিকট শব্দ করে একটা ককটেল ফোটে। আমি মেলায় শিশু কিশোর তরুণ-তরুণী কিংবা মধ্যবয়স্ক মানুষের দিকে তাকাই এবং সবিস্ময়ে আবিষ্কার করি একটি মানুষও একটু ভুরু পর্যন্ত কুঞ্চিত করে না। দেখে মনে হয় তারা বিকট শব্দ শুনতে পায়নি! যে যার মতো মেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, কথা বলছে, বই দেখছে। ভয় পাওয়ার জন্য বোমা ফাটানোর পরও যদি কেউ বিন্দুমাত্র ভয় না পায় তাহলে বোমাবাজদের জন্য তার থেকে বড় ট্রাজেডি আর কী হতে পারে?
তারপরও মেলাটি নিয়ে আমার ভেতর একটা দুঃখবোধ আছে। আমার পরিচিত অনেকেই লেখক, কেউ নতুন লেখক, কেউ আবার অনেকদিন থেকে লেখে। বইমেলায় এলে তারা দলবেঁধে বইমেলায় আসে। এবারে তাদের অনেকেই বইমেলা আসতে পারেনি। নিজের বই বের হয়েছে। বইয়ের স্টলে সেই বইটি দেখতে পারেনি। অবশ্য এটা নিয়ে দুঃখ করলে সবাই আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে। যখন এসএসসি পরীক্ষার জন্যে হরতালে ছাড় দেয়া হয় না তখন বইমেলা দেখতে আসার জন্যে ছাড় দেওয়া হবে সেটি আশা করার মত উৎকট রসিকতা আর কী হতে পারে?
দুই
পুরনো লেখালেখি ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখলাম বছরের এই সময়টাতে গতবছর ঠিক একইভাবে আমি বইমেলার ওপর একটা লেখা লিখেছিলাম, লেখার দুটো বিষয় আলাদভাবে চোখে পড়ল। গতবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে আমার খুব আশাভঙ্গ হয়েছিলো, কারণ আমি লিখেছিলাম বইমেলাটিকে মোটেও বইমেলা মনে হয়নি। মনে হয়েছে শুধুমাত্র বই বিক্রি করার জন্য গাদাগাদি করে দাঁড় করানো কিছু বইয়ের স্টল! ঘিঞ্জি স্টলের ভেতর মানুষজন ঘেঁষাঘেঁষি করে হাঁটাহাঁটি করছে। এবারে মেলায় এসে আমার সেই দুঃখ দূর হয়েছে। বিশাল এলাকা নিয়ে বইয়ের মেলা, সুন্দর স্টল, তার চাইতেও সুন্দর প্যাভিলিয়ন এবং তার চাইতেও সুন্দর হচ্ছে ঘুরে বেড়ানোর জন্যে ফাঁকা জায়গা। হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হয়ে গেলে বসার জন্যে বাঁশের তৈরি বেঞ্চ। তার সাথে যদি চা কফি খাওয়ার জন্য একটি দু’টি স্টল থাকতো তাহলে আমার কোনো দুঃখ থাকতো না।
গতবছর আমার আরো একটি খুবই গুরুতর বিষয় নিয়ে দুঃখ ছিলো। সেটি হচ্ছে বাথরুমের অভাব। পরিষ্কার বাথরুমের প্রয়োজনীয়তার ওপর বিশাল একটা বক্তৃতা দিয়ে আমি লিখেছিলাম, ‘বাংলা একাডেমি বইমেলার বাথরুমের মতো কুৎসিত, জঘন্য, অপরিষ্কার অস্বাস্থ্যকর জায়গা পৃথিবীতে আর কোথাও নেই’। শুধু তাই নয়, কোনো একজন বিখ্যাত মানুষের উদ্ধৃতি দিয়ে আমি বলেছিলাম, ‘যে জাতি যত সভ্য তাদের বাথরুমের সংখ্যা তত বেশি এবং তাদের বাথরুম তত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন!’ এবারে বইমেলা গিয়ে আমি আবিষ্কার করলাম, এক বছরে আমার অনেক বেশি সভ্য জাতি হয়ে গেছি, এই বইমেলায় ঝকঝকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন তকতকে বাথরুমের সারি। প্রকৃতির ডাকে যাদের বাথরুমে যেতে হয়েছে তাদের কাছে বইয়ের স্টলে সাজানো বইয়ের সারি থেকে সেই বাথরুমের সারি কম দৃষ্টি নন্দন মনে হয়নি!
তিন
বইমেলায় অনেক স্টল ছিল আমি সেগুলোর ভেতর থেকে শুধু একটা স্টলের কথা আলাদা করে বলি। স্টলটির নাম স্পর্শ এবং সেই স্টলের বইগুলো অন্যরকম। অন্যান্য স্টলের বইয়ের মতো সেগুলো চোখে দেখে পড়া যায় না, সেগুলো স্পর্শ করে পড়তে হয় কারণ বইগুলো ব্রেইলে লেখা। যারা চোখে দেখতে পায় না তাদের জন্যে আলাদাভাবে এই বইগুলো ছাপতে হয়, ছয়টি একটু উঁচু হয়ে থাকা ফুটকি দিয়ে ব্রেইল লেখা হয়। যারা দেখতে পায় না তারা ব্রেইলে লিখতে পড়তে শেখে। একটা বই তাদের পড়ে শোনালে তার বিষয়বস্তুটা শুনতে পারে বুঝতে পারে কিন্তু তাতে তাদের লেখাপড়া শেখা হয় না, বানান শেখা হয় না, বাক্য গঠন শেখা হয় না। তাই যেসব ছেলেমেয়েরা চোখে দেখতে পায় না তাদের লেখাপড়ার জন্যে ব্রেইল বই দরকার। আমাদের দেশের দৃষ্টিহীন ছেলেমেয়েরা একদিক থেকে খুব দুর্ভাগ্যের শিকার। তাদের জন্যে যথেষ্ট দূরে থাকুক প্রয়োজনীয় ব্রেইল বইও নেই।
দুই বছর আগে বইমেলায় আমার একটা কিশোর উপন্যাস একই সাথে ছাপা বই এবং ব্রেইল বই হিসেবে বের হয়েছিল, আমার কাছে সেই ব্রেইল বইয়ের দু’টি কপি রয়ে গিয়েছিল। আমি সেই বই দু’টি সেই স্টলে নিয়ে গিয়েছিলাম। স্টলে গিয়ে দেখি সেখানে বেশ কয়েকজন ছেলেমেয়ে স্কুলের পোশাক পড়ে দাঁড়িয়ে আছে, তারা সবাই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কিন্তু সবাই স্কুলের ছাত্রছাত্রী। আমি বাচ্চা কাচ্চাদের জন্যে লিখি, এই বয়সী ছেলেমেয়েরা অনেকেই আমার লেখা পড়েছে। ব্রেইলে আমার বই একটির বেশি দুটি আছে কী না আমার জানা নেই। তাই এই ছেলেমেয়েগুলো আমার কোনো বই পড়েছে কী না সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত ছিলাম না। কিন্তু আমি খুবই অবাক হয়ে আবিষ্কার করলাম ছেলেমেয়েগুলোর কাছে আমার পরিচয় দেয়া মাত্রই তারা আমাকে চিনতে পারল এবং আমাকে পেয়ে খুব খুশি হয়ে উঠল। বেশ অনেকক্ষণ নানা বিষয় নিয়ে তাদের সাথে কথা হলো, তারা আমাদের খুব সুরেলা গলায় গান গেয়ে শোনালো।
দেখতে দেখতে ছোট স্টলের সামনে বেশ ভিড় জমে গেল, সাংবাদিকেরা নোট বই এবং ক্যামেরা নিয়ে দাঁড়িয়ে গেল। কোথা থেকে জানি একটা টেলিভিশন চ্যানেলও তাদের ক্যামেরা নিয়ে হাজির হলো। আমি তখন অনেকদিন থেকে যে স্বপ্নটা লালন করে এসেছিলাম সেটা ঘোষণা করে এলাম। সবাইকে সাক্ষী রেখে বলে এলাম, এখন থেকে যখনই আমি কিশোর কিশোরী বা ছেলেমেয়েদের জন্যে কিছু লিখব, প্রকাশককে পাণ্ডুলিপি দেওয়ার আগে তাদের জন্যে শর্ত জুড়ে দেব, একই সঙ্গে সেই বইটি ব্রেইলেও বের করতে হবে। অন্য যারা কিশোর কিশোরী বা ছেলে মেয়েদের জন্যে লেখেন তাদের সবাইকেও একই কাজ করতে বলব। তাহলে দেখতে দেখতে আমাদের দেশের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছেলে মেয়েদের জন্যে ব্রেইল বইয়ের বিশাল একটা ভাণ্ডার গড়ে উঠবে। সবাই যদি এগিয়ে আসে তাহলে পরের বছর বই মেলায় হয়তো ‘স্পর্শ’ প্রতিষ্ঠানটি ছোট একটি স্টল নিয়ে কুলাতে পারবে না। ব্রেইল বইয়ের বিশাল ভাণ্ডারের জন্যে মস্ত একটি প্যাভেলিয়ন নিতে হবে!
আমি যখন ছেলেমেয়েগুলোর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসি তখন তারা বলল, ‘স্যার একটা অটোগ্রাফ!’ আমি ব্রেইলে অটোগ্রাফ দিতে পারি না- তাই সাধারণ কাগজে সাধারণ কলমের অটোগ্রাফ দিয়ে এসেছি- তারা সেটা পেয়েই যথেষ্ট খুশি। এই বয়সটাই মনে হয় অল্পতে খুশি হওয়ার বয়স।
চার
বইমেলায় গেলেই সবারই নানা ধরনের অভিজ্ঞতা হয়, আমার ধারণা আমার অভিজ্ঞতাটা অন্য অনেকের অভিজ্ঞতা থেকে বেশি চমকপ্রদ। যেমন আমি একটি বই না কিনেই বইয়ের বিশাল বোঝা নিয়ে বাসায় ফিরি। নতুন লেখকেরা আমাকে তাদের বই উপহার দিয়ে যান, সব বই আমার পড়া হয় না, কিন্তু বইগুলি আমি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি এবং প্রায় সময়েই আমার নিজের প্রথম বইয়ের কথা মনে পড়ে যায়। আমি আমার প্রথম বইটি হাতে নিয়ে যে উত্তেজনা অনুভব করেছিলাম এই নতুন লেখকেরাও নিশ্চয়ই সেই একই উত্তেজনা অনুভব করেন।
কিছু কিছু বইয়ের পেছনের কাহিনী অবিশ্বাস্য। যেমন একটি মেয়ে ভিড়ের ভেতর আমাকে তার নিজের হাতে লেখা একটি বই দিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেল। বাসায় এসে বইটি খুলে দেখি তার গ্রামে সবাই তাকে ‘খারাপ মেয়ে’ হিসেবে অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেই অপবাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সে তার জীবনের ইতিহাসটুকু লিখে বই হিসেবে ছাপিয়ে প্রকাশ করে ফেলেছে! বই লেখার এই কাহিনী দিয়েই নিশ্চয়ই একটি বই লিখে ফেলা যায়।
বইমেলায় গিয়ে আমি যেসব বই উপহার পাই তার একটা অংশ থাকে আমাকে উৎসর্গ করা বই। এই উৎসর্গটি সেই হিসেবে আমার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই বছরে আমার ঢাকা কলেজের শিক্ষক প্রফেসর আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ থেকে শুরু করে অষ্টম শ্রেণির একটা ছাত্রীর লেখা বই আমাকে উৎসর্গ করা হয়েছে! কতোজনের এতো বড় পরিসরের মানুষজনের কাছ থেকে বই উৎসর্গ পাওয়ার সৌভাগ্য হয়?
পাঁচ
বইমেলাতে সব কিছু যে ভালো তা নয়। কিছু কিছু খুব খারাপ ঘটনা ঘটে, মানিব্যাগ, মোবাইল অদৃশ্য হয়ে যাওয়া তার মধ্যে একটি। আমি অবশ্য সেগুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। পকেট মারা সম্ভবত পৃথিবীর আদিমতম পেশাগুলোর একটি। আমার মা যখন হজে গিয়েছিলেন সেইখানে তার পকেটমার হয়েছিলো।
আমার সাদাসিধা মা লজ্জায় বহুদিন সেই ঘটনার কথা আমাদের বলেননি। শুনেছি হজের সময় প্লেনে ভরে এই দেশের অনেক বিখ্যাত পকেটমার মক্কায় পকেট মারতে যায়। কাজেই বইমেলায় ভিড়ের মধ্যে কিছু পকেটমার উপার্জন করার জন্য আসবে না সেটা তো হতে পারে না। লেখক, প্রকাশক, চিংড়িমাছের মাথা বিক্রেতা, চুড়িওয়ালি, পাইরেটেড বই বিক্রেতা, নতুন লেখকদের ফঁকি দেয়া প্রকাশকরূপী প্রতারক, ককটেল ফোটানোর সাব কন্ট্রাক্ট নেয়া ছিন্নমূল তরুণ সবাই যখন কিছু অর্থ উপার্জন করে নিচ্ছে তখন পকেটমাররা বাকি থাকবে কেন?
তবে বইমেলার (কিংবা অন্য যে কোনো মেলার) যে বিষয়টি আমাকে খুব কষ্ট দেয় সেটি হচ্ছে ভিড়ের সুযোগ নিয়ে কিছু পুরুষ যখন মেয়েদের গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে।
একটা সময় ছিল যখন মেয়েরা দাঁতে দাঁত চেপে এগুলো সহ্য করেছে- আজকাল করে না। ভিড়ের কারণে সবসময় তারা মানুষটিকে ধরতে পারেনা। কিন্তু, যদি ধরতে পারে তবে তার কপালে বড় ধরনের দুঃখ থাকে। এই বইমেলাতেই ‘ঢিশুম’ শব্দ শুনে দেখি একটি অল্পবয়সী মেয়ে একজন তরুণের নাকে ঘুঁষি মেরে দিয়েছে, তারপর ঘুরে অন্য আরেকজনের নাকে! আরেকটি ঢিশুম! (এই বইমেলাতেই আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় ছাত্রীকে একটা বই উৎসর্গ করেছি- আমি ছাত্রীদের কথা দিয়েছিলাম যারা প্রথম ব্ল্যাক বেল্ট পাবে তাদের একটা বই উৎসর্গ করব! আমি আমার কথা রেখেছি। কাজেই মেয়ে দেখলেই যাদের হাত নিশপিশ করে তারা সাবধান- কখন একজন ব্ল্যাক বেল্টের হাতে পড়ে তুলোধুনা হয়ে যাবে কে বলবে?)
যাই হোক মন খারাপ করা একটি বিষয় দিয়ে লেখাটি শেষ করতে চাই না। একটা মজার ঘটনা বলে লেখা শেষ করি। আজকাল পাঠকরা লেখকদের কাছ থেকে অটোগ্রাফ নেয়ার জন্য খুবই আগ্রহী। যারা সত্যিকারের লেখক তাদের সত্যিকারের পাঠক থাকে এবং সেই পাঠকেরা লেখকদের কাছ থেকে মোটামুটি একটা সম্মানজনক প্রক্রিয়ায় অটোগ্রাফ নিয়ে থাকেন। আমি যেহেতু কমবয়সী ছেলে মেয়েদের জন্য লেখালিখি করি, আমার অবস্থাটা একটু ভিন্ন- আমার পাঠকরা কমবয়সী এবং তাদের অটোগ্রাফ নেওয়ার প্রক্রিয়া যথেষ্ট আদিম। তারা অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য ঘিরে ধরে, ঠুকাঠুকি করে, চিৎকার করে এবং প্রয়োজন হলে হুমকি দেয়। মাঝে মাঝে তাদের দেখে অটোগ্রাফ নামের এই অতি বিচিত্র বিষয়টি নিতে না পারলে তাদের জীবন অর্থহীন হয়ে যাবে। তবে অটোগ্রাফ নিয়ে আমার অতি বিচিত্র অভিজ্ঞতাটি হয়েছে একুশে ফেব্রুয়ারির দুপুর বেলা। অনেকেই আমাকে ঘিরে ধরেছে এবং সবাইকে ঠেলে একজন তরুণ এগিয়ে এসে আমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে একটা কাগজ আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল, ‘সাইন করে দেন।’
আমি বললাম, ‘একটু দাঁড়াও।’ কিন্তু তার দাঁড়ানোর সময় নেই, রীতিমত হুমকি দিয়ে বলল, ‘সাইন করেন।‘
অবস্থা বেগতিক দেখে আমি তাড়াতাড়ি তার কাগজে অটোগ্রাফ দিলাম, তরুণটি কাগজটি হাতে নিয়ে মোবাইল বের করল, আজকাল সব মোবাইলেই ক্যামেরা থাকে; সে সেই ক্যামেরায় ছবি নিয়ে ভিড় ঠেলে বের হয়ে যেতে যেতে দাঁড়িয়ে গেল। ঘুরে আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘আপনি কে’ আপনার নাম কী?
বইমেলায় প্রতিদিনই এধনের ঘটনা ঘটে আর আমার মনে হয় আহা বেঁচে থাকাটা কী মজার।
লেখক: অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
পাঠকের মতামত:
- ঝিকরগাছার মিঠুর নামে ব্যাপক প্রতারণার অভিযোগ
- কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক পদে লড়ছেন ৫ নারী
- এমপি পিন্টু ও সাবেক এমপি অসীম ঘনিষ্ঠ ৫ প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ
- আগৈলঝাড়ায় আনারস প্রতীকের নির্বাচনী জনসভায় মানুষের ঢল
- ওয়ালটন ৪২তম জাতীয় মহিলা দাবা প্রতিযোগিতা শুরু
- র্যাব হেফাজতে গৃহবধূর মৃত্যু ভৈরবের ৪ র্যাব সদস্যসহ নান্দাইলের এক এসআই প্রত্যাহার
- ধামরাইয়ে নির্বাচনের যাবতীয় সরঞ্জাম কেন্দ্রে প্রেরণ
- কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আবুল হোসেন লিটন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- ফকিরহাটে প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ায় দুই ওসিকে রেঞ্জ অফিসে প্রত্যাহার
- সংসদ সদ্যস্য আনারের ফেরার অপেক্ষায় পরিবার
- নড়াইলে চালককে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে ইজিবাইক ছিনতাই
- বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক শান্তি পদক ঘোষণা
- টাঙ্গাইলের ৩ উপজেলায় ভোট গ্রহণ কাল
- নড়াইলে মাদক মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
- হাতিয়ায় ৩০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ
- সুষ্ঠু নির্বাচনের শঙ্কায় কাঁদলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী
- ‘কোনো টাউট-বাটপার যেন সংগঠনে ঢুকতে না পারে’
- বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ
- রাত পোহালেই মহম্মদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
- ‘ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জেতার চেয়ে অলিম্পিক পদক জেতা অনেক বড়’
- রাজবাড়ী, গোয়ালন্দ ও বালিয়াকান্দিতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম
- রাজৈরে নবচেতনা পত্রিকার ৩৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
- দিনাজপুরে ‘ঢালাই স্পেশাল সিমেন্ট’র ডিলার উদ্বোধন
- শ্যামনগরে টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘরবাড়ি
- বোয়ালমারীতে বালু ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ
- রাত পোহালেই সাতক্ষীরার তিন উপজেলায় ভোট
- টুঙ্গিপাড়ায় দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মাঝে সনদ বিতরণ
- স্নাতকস্তরে বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ চালুর পরামর্শ ইউজিসির
- ময়মনসিংহে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন মোহাম্মদ খোরশিদ আলম
- বাজেট অধিবেশন শুরু ৫ জুন
- ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শোক
- ‘ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নয়’
- ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- গণমাধ্যমকর্মী সুরক্ষা আইন ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা
- সারাদেশে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্সের বাজেট ফোন স্মার্ট ৮ প্রো
- দু’টি বিতর্কে বাইডেন-ট্রাম্প সম্মত
- নড়াইল সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দ্বিমুখী লড়াইয়ের আভাস
- সালথা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন, মঙ্গলবার ভোট
- সিলেট-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালুর দাবিতে সিলেটবাসীর মানববন্ধন
- আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) কে নিয়ে কিছু কথা
- জমে উঠেছে বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন, বিপাকে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী সাংসদ নাহিদ
- ‘স্বর্গ থেকে আপনাদের বিদায় নিতে হবে’
- 'ফরিদপুরে শ্রীধাম শ্রী অঙ্গনে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে'
- ৫০ দিনের মধ্যে ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
- ইরানের অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন মোহাম্মদ মোখবার
- কোপা থেকেও ছিটকে গেলেন ব্রাজিলের এদেরসন
- শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা
- ২৭ মে সারা দেশে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি অটোরিকশাচালকদের
- কানের লাল গালিচায় বেবিবাম্প নিয়েই হেঁটেছেন প্রিয়তী
- ‘সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতে বিএসটিআই কাজ করে যাচ্ছে’
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !