E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

‘জেলে চিন্তা ছিল বাথরুম আর ময়লার ঝুড়ি’

২০১৮ এপ্রিল ০৬ ১৮:১৫:৩৩
‘জেলে চিন্তা ছিল বাথরুম আর ময়লার ঝুড়ি’

বিনোদন ডেস্ক : হরিণ মেরে বলিউডের ‘টাইগার’ এখন জেলে। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে বৃহস্পতিবার (০৫ এপ্রিল) রাতটা সাধারণ কয়েদিদের মতোই জেলে কাটালেন সালমান খান। যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ‘ভাইজান’-এর পরিচয় এখন ‘কয়েদি নম্বর ১০৬’।

এবারই প্রথম নয়, এর আগেও তিনবার জেলে গিয়েছিলেন সালমান খান। ২০০৮ সালে ‘অন দ্য কাউচ উইথ কোয়েল’ নামক একটি টক শোতে সেইসব অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন তিনি।

তখন সল্লু বলেছিলেন, ‘আমি শুন্য হয়ে পড়েছিলাম। মনমেজাজ ঠাণ্ডাই ছিলো। চিন্তার কারণ ছিল শুধু বাথরুম আর ময়লার ঝুড়ি। ব্যস, আর কিছু না। তিন-চারবার জেলে গিয়ে এসব অভিজ্ঞতার সামনে পড়তে হয়েছে আমাকে। পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলে কারাগারে যেতে হলে মাথা ঠিক থাকে না কারোরই। যদি জেলে চুপচাপ যাওয়াই ভালো।’

বিস্তারিত জানিয়ে সালমান বলেন, ‘সকালে একজন কয়েদি এসে চা দিয়ে যায়। আবার সেই কয়েদি আসে দুপুরের খাবার দিতে। জেলে থাকলে একটি মগ দেওয়া হয় কয়েদিকে। চা খাওয়ার পর তা ধুয়ে রাখতে হয়। কারণ পরে রান্না করা ডাল-চাল দেওয়া হয় ওই মগেই। আবার একই মগ দিয়ে গোসলও করতে হয়। জেলে প্রতিটি রুমে ৯-১০ জনকে থাকতে দেওয়া হয়। কিন্তু টয়লেট একটাই, বাথরুমও একটাই। অবশ্য জুডিশিয়াল কাস্টডিতে গেলে একা রুম পাওয়া যায়।’

১৯৯৮ সালে হরিণ হত্যা মামলার তদন্ত চলাকালীন ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত জুডিশিয়াল কাস্টডিতে ছিলেন তিনি। ২০০৬ সালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট একই মামলার রায়ে তাকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিলে দ্বিতীয়বারের মতো তিন দিন জেল খাটতে হয়েছে তাকে।

সবশেষ ২০০৭ সালের ২৬ আগস্ট সেশন কোর্ট হরিণ শিকার মামলায় সালমানের আপিল খারিজ করলে তখনও জেলে যেতে হয় সালমানকে। ওই বছরের ৩১ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ছাড়া পান তিনি।

এদিকে এবার জেলে যাওয়ার পর নাকি অনেকটাই ভেঙে পড়েছেন সল্লু। কারাগারে রাতের খাবার হিসেবে তাকে দেওয়া হয়েছিলো ডাল, সবজি ও রুটি।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ০৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test