দন্ড কার্যকরের অপেক্ষা

স্টাফ রিপোর্টার : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ফাঁসির দ- পেয়েছেন এক বছরেরও বেশি সময় আগে। কিন্তু দ- কার্যকর হবে কি না তা জানা যায়নি এখনো। কারণ তার আপিল শুনানি শেষ হয়নি।
একইভাবে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, আবদুল আলীমের পরিণতি জানা যায়নি আপিল শুনানি শেষ না হওয়ার কারণে। আপিল বিভাগের রায়ের পর জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার দ- কার্যকর হয়েছে আর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল শুনানি শেষে রায়ের অপেক্ষায় আছে গোটা দেশ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এখন পর্যন্ত মৃত্যুদ- দিয়েছে ছয়জনের এবং একজনের যাবজ্জীবন, একজনের আমৃত্যু কারাদ- ও একজনের নব্বই বছরের কারাদ- দিয়েছে।
সব মামলাতেই আপিল করেছে আসামিপক্ষ। কোনো কোনোটি আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন দ-ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পর দ- বাড়িয়ে ফাঁসির আদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। রায়ের পর গত ১২ ডিসেম্বর তা কার্যকরও হয়।
অন্যদিকে মৃত্যুদ-ের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের আপিল শুনানি শুরু হলেও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়নি এখনো।
একইভাবে গোলাম আযমের ৯০ বছরের এবং আবদুল আলীমের আমৃত্যু কারাদ-ের মামলারও শুনানি শুরু হয়নি। আর ট্রাইব্যুনালের প্রথম রায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত সাবেক জামায়াত নেতা পলাতক আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের পক্ষে কোনো আবেদন হয়নি আপিল বিভাগে।
একইভাবে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক মৃত্যুদ-প্রাপ্ত চৌধুরী মঈনুদ্দীন এবং আশরাফুজ্জামান খানের পক্ষে কেউ আবেদন করেনি আপিল বিভাগে।
শুনানি চলছে যে মামলায়
গত ৫ জুন বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চে কামারুজ্জামানের মামলার শুনানি শুরু হয়। তবে সাঈদীর মামলা রাজ্জাক শুরু করলেও পরে এস এম শাহজাহান নামে অন্য এক আইনজীবীকেও নিয়োগ দেওয়া হয়।
এর মধ্যে গত ডিসেম্বরে দেশের বাইরে গিয়ে আর ফেরেননি রাজ্জাক। এরপর শাহজাহান ও খন্দকার মাহবুব ওই মামলা শেষ করেন।
কামারুজ্জামানের মামলায় ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতাদের আইনজীবী তাজুল ইসলামকে শুনানির অনুমতি দিতে আবেদন করা হলেও আদালত তা খারিজ করে দেয়। হাইকোর্টে অনুমতিপ্রাপ্ত হিসেবে ট্রাইব্যুনালে তিনি শুনানি করলেও আপিল বিভাগে শুনানির অনুমতি নেই।
যুদ্ধাপরাধের মামলার আপিলে এবারই প্রথম প্রধান বিচারপতি থাকছেন না। এই বেঞ্চে বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে রয়েছেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
একাত্তরে ময়মনসিংহ জেলা শাখার আল বদর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী কামারুজ্জামানকে গত বছর ৯ মে মৃত্যুদ- দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৬ জুন আপিল করেন কামারুজ্জামান। তবে সর্বোচ্চ সাজার আদেশ হওয়ায় আপিল করেনি রাষ্ট্রপক্ষ।
ওই বছর সংশোধিত যুদ্ধাপরাধ আইনে আপিল শুনানির জন্য ৬০ দিন বেঁধে দেওয়া হয়। তবে এই সময়সীমা উচ্চ আদালতের জন্য বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছেন আইনজ্ঞরা। তারা বলছেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে উচ্চ আদালত একটি মামলা যতদিন দরকার ততদিন শুনতে পারেন।
২০১০ সালের ২৫ মার্চ গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, যার মাধ্যমে বহু প্রতীক্ষিত যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়। জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবুল কালাম আযাদের মৃত্যুদ-ের মাধ্যমে ২০১৩ সালের ২১ জানুয়ারি যুদ্ধাপরাধ মামলায় রায় শুরু হয়।
জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম, আবদুস সুবহান, মীর কাসেম আলী, বিএনপি নেতা ফরিদপুরের নগরকান্দার আবু জাহিদ, জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক আলীর মামলা চলছে ট্রাইব্যুনালে। এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়ে আসছে যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তুরিন আফরোজ বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপক্ষ থেকে চাইছি যাতে মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে যায়। কিন্তু ট্রাইব্যুনালে অনেক মামলা থাকায় বিষয়টি নিষ্পত্তিতে সময় লাগছে।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়টি আমাদের দেশে প্রথম শুরু হয়েছে, সেজন্য মামলাগুলো পরিচালনায় সময় লাগছে। এটা বাস্তবতার কারণেই হচ্ছে।’
(ওএস/এটিআর/আগস্ট ১৭, ২০১৪)
পাঠকের মতামত:
- সাতক্ষীরায় চেতনানাশকে একই পরিবারের ৬ জন অচেতন
- দাবিকৃত ৪০ লাখ টাকা না পেয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট, গৃহকর্তা বাড়িছাড়া
- ধর্ম কখনো রাজনীতির ভিত্তি হতে পারে না
- প্রাক্তন স্ত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠালেন কুমার শানু
- বিশ্ব প্রাণী দিবস: মানবিক দায়বোধ ও পরিবেশগত দায়িত্বের প্রতীক
- কাপাসিয়ায় নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ৬ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে স্বাস্থ্য সহকারীরা
- ফরিদপুরে বিএনপি দুই গ্রুপের মামামারি, মামলা, আটক ৪
- বিশ্ব বসতি দিবস সোমবার
- ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় চীন’
- ‘পিআর মানে স্থায়ী অস্থিরতা, আওয়ামী লীগের হাতেই বাতাস’
- গোপালগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
- সমান শ্রম-সময় দিয়েও মজুরি-মর্যাদায় পিছিয়ে নারীরা
- রবিবার থেকে সচিবালয়ে একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ
- ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের পাপ-জুলুম দীর্ঘ’
- ক্যাশ অন ডেলিভারিতে অতিরিক্ত ফি নিলে কঠোর ব্যবস্থা
- ‘ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন নয়, ঐক্যবদ্ধ জাতি দেখতে চাই’
- প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী পেতে যাচ্ছে জাপান
- গাজায় যুদ্ধ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সরকার
- ‘ড. ইউনূসকে অসুর বানিয়ে ভারত নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছে’
- রাইখালীতে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত
- আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়
- বেনাপোলে পাকবাহিনীর সহযোগী ২ জন মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে
- ৩০০ টাকা ছাড়াল মরিচ, স্বস্তি নেই মাছ-মুরগি-সবজিতে
- ‘সমঝোতা হলে ১০০ আসনও ছাড়তে পারে জামায়াত’
- পাংশায় অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর আত্মহত্যা
- রাহুল রাজের প্রেমের কবিতা
- বরিশালে ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
- আটলান্টায় ফোবানা সম্মেলন পরিণত হলো পারিবারিক অনুষ্ঠানে
- নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ: নির্বাচন, অভ্যন্তরীণ সংকট ও আঞ্চলিক ভূরাজনীতি
- মজাদার তালের বড়া বানাবেন যেভাবে
- মে দিবসের কবিতা
- বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস : লক্ষণ ও প্রতিরোধে করণীয়
- ভারতে অভিনেতা বিজয়ের জনসভায় পদদলিত হয়ে নিহত ৩১
- বাংলাদেশের এশিয়া কাপ মিশন শুরু আজ
- গোলমরিচ ও তেজপাতার গল্প
- টানা ৮ দিন স্যাটেলাইট সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটার শঙ্কা
- নারী ব্যালন ডি’অরে হ্যাটট্রিক স্পেনের বোনমাতির
- আগুনে পুড়ে গেলে তাৎক্ষণিক যা করবেন
- ‘ক্ষমতা ছেড়ে দিন, এক বছরের মধ্যে পরিবর্তন করে দেবো’
- দিনাজপুরে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষে সাফল্য
- অবশেষে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ ফুটবল দল
- জাতীয় নারী ক্রিকেট দলকে ভারতীয় হাইকমিশনের সংবর্ধনা
- বিসিবি নির্বাচনে পরিচালক প্রার্থী আসিফ
- টাইমস স্কয়ারে দুর্গাপূজা
- ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় চীন’