E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

রাষ্ট্রপতি পদ নিয়ে রিটকারীকে জরিমানা, যা বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল

২০২৩ মে ১৯ ১৮:০৩:২১
রাষ্ট্রপতি পদ নিয়ে রিটকারীকে জরিমানা, যা বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল

স্টাফ রিপোর্টার : মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে এটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী রিট করেছিলেন। সেই রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন।

তার বিরুদ্ধে উনি সিভিল রিভিশন ফাইল করেছিলেন। সেটিরও শুনানি শেষে খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এই আইনজীবীর রিট যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়নি। রিটের মূল সারবস্তু নেই। এমন যুক্তিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ নিয়ে কোনো রিট চলে না। রিটটি নন-মেনটেইনেবল। এতে আদালতের সময় নষ্ট করা হয়েছে। আদালতের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করায় রিটকারীকে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

তিনি বলেন, আদালত রিটকারী আইনজীবী এমএ আজিজকে কস্ট (খরচ) হিসেবে এক লাখ টাকা জমা দিতে বলেছেন।তিনি যে গ্রাউন্ডে রিট করেছেন সেটি যুক্তিহীন। আদালতের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করেছেন। রিটকারী রাষ্ট্রপতির নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে যে রেফারেন্স উপস্থাপন করেছেন তা ভুল। ভুল বিষয় আদালতে তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করায় তাকে খরচ হিসেবে লাখ টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদ শূন্য ঘোষণা ও নির্বাচন নিয়ে রিট খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে অযৌক্তিকভাবে রিট করায় আবেদনকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত।

জরিমানার অর্থ কোথায় বা কাকে দিতে হবে, আদেশে তা উল্লেখ করা না হলেও আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, জরিমানার ১ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে লিভ টু আপিলকারীকে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে গত ৭ মার্চ একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান। রিটে নতুন করে নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রপতি পদ খালি রাখা নিশ্চিতের আর্জি জানানো হয়।

রিট আবেদনে আজিজ খান বলেন, ২০০৪-এর ধারা ৯ অনুযায়ী মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োগ করা যাবে না। কারণ, তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন অবসরপ্রাপ্ত কমিশনার এবং রাষ্ট্রপতির পদটি লাভজনক।

মো. সাহাবুদ্দিন ২০০৪ সালের দুদক আইনের ৯ ধারা অনুসারে কর্মাবসানের পর কোনো কমিশনার প্রজাতন্ত্রের কার্যে কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। তবে যাচাই-বাছাই শেষে ইসি রাষ্ট্রপতি পদে তার মনোনয়ন বৈধ বলে গণ্য করে। ইসি বলেছে, ‘নির্বাচিত’, ‘নিয়োগ’ নয়, যা আইনের ভুল ব্যাখ্যা। ‘নিয়োগ’ ও ‘নির্বাচিত’ সমার্থক শব্দ- এ যুক্তিতে রিটটি করা হয়েছিল।

(ওএস/এসপি/মে ১৯, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test