E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

মায়াকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট

২০১৫ জুন ৩০ ১৫:০২:৩৯
মায়াকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার : ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তিনি কীভাবে মন্ত্রী ও সাংসদ পদে রয়েছেন, তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ইউনুস আলী আকন্দ আইনি নোটিশ পাঠানোর তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পর সংবিধান অনুসারে তিনি আর মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদে থাকতে পারেন না। এ জন্য তাঁকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
গত ১৪ জুন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে দুর্নীতি মামলা থেকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। মামলাটি হাইকোর্টে নতুন করে শুনানির আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এই বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মায়াকে ১৩ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫।

একই সঙ্গে মায়াকে পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ওই রায়ে আদালত অবৈধভাবে অর্জিত মায়ার পাঁচ কোটি ৯০ লাখ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন।
ওই রায় ঘোষণার সময় মায়া পলাতক ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মায়া। ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দুর্নীতির মামলা থেকে তাঁকে খালাস দেন। পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় দুদক।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘আপিল বিভাগ আমাদের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেছেন। হাইকোর্টের খালাসের রায় বাতিল করে নতুন করে শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টে মায়ার আপিল বিচারাধীন থাকায় তিনি জামিনে আছেন বলে ধরে নেওয়া হবে।’

সেনাসমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৩ জুন রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় মায়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির এই মামলাটি করে দুদক। ওই বছরের ২৫ অক্টোবর মায়া, তাঁর স্ত্রী পারভীন চৌধুরী, দুই ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী ও রাশেদুল হোসেন চৌধুরী এবং সাজেদুলের স্ত্রী সুবর্ণা চৌধুরীকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দুই কোটি ৯৭ লাখ নয় হাজার টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। পাঁচ কোটি আট লাখ ৬৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে অর্জন করে ছয় কোটি ২৯ লাখ ২৩ হাজার টাকার সম্পদ নিজেদের দখলে রেখেছেন। ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত মায়াকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করলেও মামলার বাকি আসামিদের খালাস দেন।

(ওএস/পিবি/জুন ৩০,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০১ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test