E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আদালত অবমাননার অভিযোগ

হিউম্যান রাইটসের বিরুদ্ধে আদেশ ১৫ জুলাই

২০১৪ মে ২৫ ১৪:৪৪:৫২
হিউম্যান রাইটসের বিরুদ্ধে আদেশ ১৫ জুলাই

স্টাফ রির্পোটার : ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক আমীর গোলাম আযমের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে মন্তব্য করায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৫ জুলাই।

রোববার চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ দিন ধার্য করেন।
হিউম্যান রাইটসের ওপর আনীত অভিযোগের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন- অ্যাডভোকেট ইয়াদ আল মালুম, অ্যাডভোকেট তাপস কান্তি বল এবং বিশদ ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।
অপরদিকে হিউম্যান রাইটসের পক্ষে শুনানি করেন- অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান খান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, ১৬ আগস্ট ২০১৩ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এক বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিচারপ্রক্রিয়াকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ উল্লেখ করে পাঁচটি যুক্তি দেয়। এর মধ্যে দুটি যুক্তি আদালতের জন্য অবমাননাকর মনে হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ আনে। যুক্তি দুটি হলো- গোলাম আযমের রায়ে ট্রাইব্যুনাল নিজে থেকে তদন্ত করেছেন। অপরটি হলো- রাষ্ট্রপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশে ট্রাইব্যুনাল রায় দিয়েছেন।
এছাড়া গোলাম আযমের রায় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন। বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করাও আদালত অবমাননার শামিল বলে জানান ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওই প্রতিবেদনে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিচার প্রক্রিয়ার কঠোর সমালোচনাও করা হয়। নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড এডামস বলেন, ‘গোলাম আযমের বিচার প্রক্রিয়া পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। তার বিচারের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। যারা অপরাধের শিকার হয়েছেন তাদের স্বজনদের অবশ্যই ন্যায়বিচার এবং সঠিক উত্তর পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তা একমাত্র স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই পাওয়া সম্ভব।’
১৬ আগস্ট হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গোলাম আযমের বিচার প্রক্রিয়া ত্রুটিযুক্ত এবং এতে আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করা হয়নি।
গত ১৫ জুলাই বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচ অভিযোগে গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ে এও বলা হয়, অপরাধ অনুযায়ী তার মৃত্যুদণ্ডই প্রাপ্য। বয়স এবং অসুস্থতা বিবেচনায় তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
ব্র্যাড এডামস আরও বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ১৯৭১ সালে সংঘটিত বর্বরতার বিচারে সমর্থন দিয়ে আসছে। এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য বিচারে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের কথা বলে আসছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছিলাম স্বচ্ছ বিচারের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার আমাদের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেছে। সরকার গোলাম আযমের সাজা নিশ্চিত করতে পেরেছে কিন্তু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
(ওএস/এএস/মে ২৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test