E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

মুজাহিদের রিভিউ আবেদন দাখিল

২০১৫ অক্টোবর ১৪ ১০:৪৫:৪২
মুজাহিদের রিভিউ আবেদন দাখিল

স্টাফ রিপোর্টার : মানবতাবিরোধী অপরাধী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুর্নবিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করেছেন।

বুধবার আপিল বিভাগে এ আবেদন দাখিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুজাহিদের আইনজীবী শিশির মনির।

তিনি জানান, মোট ৩৮ পৃষ্ঠার রিভিউ আবেদনে ৩২টি গ্রাউন্ড দেখিয়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ও মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চাওয়া হয়েছে। রিভিউয়ের পেপারবুক দাখিল করা হয়েছে তিন শতাধিক পৃষ্ঠার।

মুজাহিদের প্রধান আইনজীবী হিসেবে সর্বোচ্চ আদালতে রিভিউ আবেদনের শুনানিতে আসামিপক্ষে নেতৃত্ব দেবেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, যিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একজন উপদেষ্টা।

দুপুরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি রিভিউয়ের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে জানান শিশির মনির।

শিশির মনির বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা ২২ মাস ধরে তদন্ত করে আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির কোনো তালিকায় তার (মুজাহিদ) নাম খুঁজে পাননি। কিন্তু এ বিষয়ে আপিল বিভাগ কোনো ব্যাখ্যা না দিয়ে চূড়ান্ত রায়ে মুজাহিদকে আলবদর কমান্ডার বলছেন। এটা স্পষ্ট নয়। রিভিউয়ে এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

এছাড়া আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, একাত্তরের ২৩ বছরের একজন ছাত্র ও বেসামরিক ব্যক্তি কিভাবে সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর প্রধান হন?

তিনি বলেন, এ রকম আরো কিছু বিষয় আছে। সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আশা করি, তিনি অভিযোগ থেকে রেহাই পাবেন।

গত ১৬ জুন আলী একাত্তরের কিলিং স্কোয়ার্ড আলবদর বাহিনীর প্রধান মুজাহিদের আপিল মামলার সংক্ষিপ্তাকারে চূড়ান্ত রায় দেন আপিল বিভাগ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। অন্য বিচারপতিরা হচ্ছেন, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

পরে ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের এই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়। পরদিন ০১ অক্টোবর তাকে আপিল বিভাগের রায় অবহিত করে কারাগার কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে পড়ে শোনানো হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা তার মৃত্যু পরোয়ানা।

নিয়ম অনুসারে সে থেকে মুজাহিদ নির্ধারিত ১৫ দিনের মধ্যেই রিভিউ আবেদন করলেন।

যদি এ আবেদন খারিজ হয়ে যায় এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চাইলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আর কোনো বাধা থাকবে না।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই মুজাহিদকে ফাঁসির রায় দেন ট্রাইব্যুনাল-২। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীন, বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়ার সমন্বয়ে গঠিত ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের ১১ আগস্ট আপিল করেন মুজাহিদ।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেফতার হন মুজাহিদ। পরে ওই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ১৪, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০১ নভেম্বর ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test