E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার রায় ১৫ জুন

২০১৬ জুন ০৮ ১৫:৪৮:৫০
আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার রায় ১৫ জুন

স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুরের জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারের খুনের ঘটনায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর ১৫ জুন রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রোনা নাহরীন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মনজু নাজনিন।

আসামিদের পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ কয়েকজন আইনজীবী।

বিচার প্রক্রিয়া
২০০৪ সালের ৭ মে সন্ত্রাসীরা গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করে।

এ ঘটনায় করা মামলায় ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল বিচারিক আদালত বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। দণ্ড প্রাপ্তদের মধ্যে দুই জন মারা গেছেন, ১৭ জন কারাগারে, বাকি ৯ জন পলাতক রয়েছে। পরে বিচারিক আদালতের রায়ের বিষয়ে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল আসে। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি থেকে এ মামলার শুনানি শুরু হয়।

এক নজরে আহসান উল্লাহ মাস্টার
১৯৫০ সালের ৯ নভেম্বর গাজীপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৬৫ সালে এসএসসি পাস করে তৎকালীন কায়েদে আযম কলেজে (বর্তমান শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজ) একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হন আহসানউল্লাহ মাস্টার। ১৯৭০ সালে ডিগ্রি পাস করার পর তিনি টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

এর আগে ছয় দফা ও ১১ দফাসহ বাঙালির মুক্তির আন্দোলনেও সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন তিনি।

১৯৮৩ ও ১৯৮৮ সালে দুইবার পুবাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এছাড়াও জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ২০০৪ সালের ৭ মে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হন আহসানউল্লাহ মাস্টার। এ ঘটনার পরদিন তার ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২০০৪ সালের ১০ জুলাই পুলিশ অভিযোগপত্র দায়ের করেন। ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। খালাস দেন দুই আসামিকে।

(ওএস/এএস/জুন ০৮, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test