E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলায় খালেদাকে ২৪ জুলাই হাজিরের নির্দেশ

২০১৬ জুন ১২ ১৪:০৭:৪১
বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলায় খালেদাকে ২৪ জুলাই হাজিরের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার : বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আসামিদের আগামী ২৪ জুলাই হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ-৯ আমিনুল ইসলামের আদালত রোববার (১২ জুন) এ আদেশ দেন।

রোববার মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানি ও মামলা সচলে হাইকোর্টের আদেশ দাখিলের দিন ধার্য ছিল। হাইকোর্টের আদেশ দাখিলের পর উপস্থিত জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম ও পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাতে সময়ের আবেদন জানান। ১১ জন আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ বাকি নয়জন আদালতে অনুপস্থিত থেকে তাদের আইনজীবীদের মাধ্যমে সময়ের আবেদন জানান।

পরে আগামী ২৪ জুলাই খালেদাসহ সব আসামিকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

খালেদা জিয়া ছাড়া অনুপস্থিত অন্য আট আসামি হলেন- সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও এ কে এম মোশাররফ হোসেন, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম এবং খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।

তবে আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও ব্যারিস্টার আমিনুল হকের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে।

সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ও এম শামসুল ইসলাম মারা যাওয়ায় এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি হওয়ায় তারা আসামি তালিকা থেকে বাদ গেছেন।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ছাড়াও নাইকো ও গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক পৃথক রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া। এসব রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক। পরে গত বছর পৃথক পৃথক শুনানি শেষে মামলা তিনটি সচলের রায় দেন হাইকোর্ট।

পরে উচ্চ আদালতের আদেশে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে এসব মামলায় জামিন নেন খালেদা।

(এসএস/এস/জুন ১২,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test