E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

‘দুর্বল স্মৃতিশক্তির বৃদ্ধ’ বলায় বেজায় চটেছেন বাইডেন

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ০৯ ১৮:০৩:৪৫
‘দুর্বল স্মৃতিশক্তির বৃদ্ধ’ বলায় বেজায় চটেছেন বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ঠিকমতো না রাখতে পারা সংক্রান্ত এক তদন্ত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ‘দুর্বল স্মৃতিশক্তির বৃদ্ধ’ বলে দাবি করা হয়েছে। আর তাতেই বেজায় ক্ষেপেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর রীতিমতো সংবাদ সম্মেলন করে জো বাইডেন জানিয়েছেন, তার স্মৃতিশক্তি যথেষ্ট ভালো আছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেন অতি গোপন কিছু ফাইল ভুল জায়গায় রেখেছিলেন। এমনকি, তিনি নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনাও স্মরণ করতে পারছেন না। ৩৮৮ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের স্মৃতিশক্তির উল্লেখযোগ্য সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় হঠাৎ এক প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে ক্ষুব্ধ বাইডেন বলেন, আমার স্মরণশক্তি ঠিক আছে। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমি আমার বড় ছেলে বো বাইডেনের মারা যাওয়ার কথা মনে করতে পারিনি! তারা কীভাবে এমন দাবি করতে পারেন? এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়তেও দেখা যায়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, আমি দয়ালু ও বয়স্ক মানুষ। আমি কখন কী করেছি, তা সবই জানি। আমি প্রেসিডেন্ট এবং আমি আমার দেশকে আবারও শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছি। সত্যি বলতে, যখন আমাকে প্রশ্ন করা হচ্ছিল, তখন আমি ভাবছিলাম যে এগুলো তো তাদের ব্যাপার নয়।

২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বারাক ওবামার আমলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন বাইডেন। জানা গেছে, সেসময়ের বেশকিছু গোপন সরকারি নথি গত বছর বাইডেনের ডেলাওয়ারের বাড়ি ও ওয়াশিংটন ডিসির ব্যক্তিগত একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় থেকে উদ্ধার হয়।

শ্রেণিবদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ নথি সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করার ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব পান ডিস্ট্রিক্ট অব মেরিল্যান্ডের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট হুর। ঘটনা তদন্তে হুরকে বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ দেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড।

তদন্ত প্রতিবেদনে রবার্ট হুর বলেন, বাইডেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় আফগানিস্তানে সামরিক ও পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলো ভুলভাবে রেখেছিলেন। আমি তদন্তের অংশ হিসেবে ৮১ বছর বয়সী বর্তমান প্রেসিডেন্টের পাঁচ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে সাক্ষাৎকার নিয়েছি। সে সময় তিনি কোন মেয়াদে ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন ও ২০১৫ সালে যে তার ছেলে মারা গেছেন, তা মনে করতে পারেননি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র ৯ মাস বাকি। নির্বাচন সামনে রবার্ট হুরের ওই তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জো বাইডেন ৮১ বছর বয়সী দুর্বল স্মৃতিশক্তির সদয় ও বয়স্ক মানুষ। ফলে যথাযথভাবে নথি সংরক্ষণ না করতে পারার ঘটনায় জুরি বোর্ড তাকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারেনি।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test