E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জাতীয় সংবিধান দিবস উদযাপন

২০২২ নভেম্বর ০৫ ১৬:২৯:৩৬
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জাতীয় সংবিধান দিবস উদযাপন

ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক : জাতীয় সংবিধান দিবস উদযাপন করেছে নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন। গত ৩ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রথমবারের মত দিবসটি পালন করা হয় স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ নভেম্বর)। স্থায়ী মিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে শুরুতেই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এরপর উন্মুক্ত আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাপর্বে মূল বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত।

স্থায়ী প্রতিনিধি তাঁর বক্তব্যে সংবিধান প্রণয়ণের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, 'সংবিধান বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন এবং পবিত্র দলিল। এর মর্যাদা সম্মুন্নত রাখা আমাদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব'। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর চুড়ান্ত বিজয় অর্জনের পর কিভাবে মাত্র ১১ মাসের মধ্যে বাঙ্গালি জাতির অধিকারের দলিল-সংবিধান রচিত হলো সেই ইতিহাস।

১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত হওয়ার প্রাক্কালে জাতির পিতা যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন তার গুরুত্ব উল্লেখ করে মান্যবর রাষ্ট্রদূত বলেন, 'জাতির পিতা আমাদের শুধু স্বাধীনতাই এনে দেননি, সেদিন তিনি বাঙালি জাতির জন্য প্রথমবারের মতো একটি শাসনতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে সদ্য স্বাধীন একটি দেশের সংবিধান রচনা করার ঘটনা বিশ্বে বিরল'।

সংবিধান দিবস পালনের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর ফলে সরকারি-বেসরকারি সকল পর্যায়ে বিশেষ করে তরুন প্রজন্মের মাঝে সবিধান পাঠ ও এর চর্চা আরও বৃদ্ধি পাবে। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধ, এবং সংবিধান প্রণয়নের ইতিহাস জানতে আগ্রহী হবে যা বাংলাদেশের সংবিধানের মর্যাদা, তাৎপর্য ও পবিত্রতাকে আরও সমুন্নত রাখবে।

সংবিধানের ২১ (২) অনুচ্ছেদ-'সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য” উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মুহিত দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারির উদ্দেশ্যে বলেন, “আমরা আমাদের কর্ম ও চিন্তায় যেন সর্বদাই সংবিধানকে অনুসরণ করি'।

উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিকত্ব, এবং এর বিভিন্ন ভাগের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন উপস্থায়ী প্রতিনিধি ড. মনোয়ার হোসেন, ইকোনমিক মিনিস্টার মাহমুদুল হাসান, ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার ছাদেকুজ্জামান। ১৯৭২ সালের মুল সংবিধানের নানা দিক উঠে আসে এ উন্মুক্ত আলোচনায়। আলোচকগণ বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান শুধু আমাদের সর্বোচ্চ আইনই নয় এতে দেশের সীমারেখা, প্রশাসনিক ভিত্তি, বিচার বিভাগ, আইন বিভাগসহ রাষ্ট্রপরিচালনার সংশ্লিষ্ট সকল দিকই তুলে ধরা হয়েছে, যা পূর্নাঙ্গ এবং অনন্য বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি রাষ্ট্রীয় দলিল।

স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটিতে মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করে দূতালয় প্রধান ফাহমিদ ফারহান।

(আই/এসপি/নভেম্বর ০৫, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test