E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care

For Advertisement

Mobile Version

বাঙ্গালী নারীর ১০ গুণ

২০১৪ আগস্ট ১২ ১৬:০৮:৩৬
বাঙ্গালী নারীর ১০ গুণ

নিউজ ডেস্ক : অনেকেই বলেন বাঙালি নারীরা রান্না, বায়না আর কান্না এই তিনটি কাজ ছাড়া আর কিছুই করতে পারেন না। নারীদের যারা খুব কাছ থেকে দেখেছেন তাদের কাছে কথাটি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। মমতাময়ী বাঙালি নারীরা নিজের আদর, ভালোবাসা দিয়ে খুব সহজে অন্যের কান্নাকে ভুলিয়ে রাখতে পারেন। জেনে নিন বাঙালি নারীর গুণগুলো।

আবেগী ও স্বাধীনচেতা
আবেগ যেমন বাঙালি নারীকে দ্রুত স্পর্শ করতে পারে, তেমনি স্বাধীনতার প্রশ্নে কিন্তু তারা সত্যিকার অর্থে অনড়৷ নিজের অস্তিত্বকে তারা বিকিয়ে না দিয়ে অহংকার নিয়ে বেঁচে থাকতে পছন্দ করেন। এছাড়া বাঙালি নারীর মতো ধৈর্য্য গুণ অন্য কোনো দেশের নারীর মধ্যে নেই৷

শাড়িতে অনন্য নারী
বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে শাড়ি৷ শাড়ি বাঙালি নারীর সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তোলে চমৎকারভাবে৷ শাড়ি পরার ধরণেও রয়েছে নানা বৈচিত্র্য। মার্জিত ও নান্দনিকভাবে বারো হাত শাড়ি পরতে পারার মধ্যে লুকিয়ে থাকে বাঙালি নারীর গুণ।

উৎসব প্রেমী
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন৷ নববর্ষ, ঈদ কিংবা দুর্গা পূজা – সব উৎসবই যেন বাঙালি নারীর জন্য তৈরি৷ প্রতিটি উৎসবের সঙ্গে মানানসই পোশাক পরতে এবং সেই উৎসবের উপযুক্ত রান্নায় পারদর্শী তারা৷ শুধু রান্নায় নয় প্রিয়জনসহ অতিথি আপ্যায়নে বাঙালি নারীর তুলনা হয় না।

‘নো ডায়েট’
বাঙালি নারী ‘ডায়েট’ করছেন, এমনটা খুব বিরল৷ তারা খাওয়াতে যেমন পছন্দ করেন, তেমনি খেতেও পছন্দ করেন। কথায় বলে, মাছে-ভাতে বাঙালি? অবশ্য মাছ-ভাতের পাশাপাশি ফুসকা –চটপটি,ফাস্টফুড জাতীয় খাবার অর্থাৎ টক, ঝাল, নোনতা, মিষ্টি, এমনকি তেতোও পছন্দ করেন বাঙালি নারীরা৷

রান্নার শখ
দেশ সামলানোর মতো কঠিন দায়িত্ব পালন করেও বাঙালি নারীরা প্রিয়জনদের জন্য রান্না করতে রান্না ঘরে যেতে ভোলেন না।এরা রাধতে ভীষণ ভালোবাসেন।

অল্পতেই সন্তুষ্ট
বাঙালি নারীরা অল্পতেই তুষ্ট। তাদের চাওয়া পাওয়ায় দামী গাড়ি, দামি বাড়ি, দামি গহনার তালিকা থাকে না। ভালোবাসার মানুষের দেয়া এক মুঠো লাল কাচের চুড়ি, লাল গোলাপ কিংবা বারো হাত শাড়ির মধ্যে তাদের চাওয়া পাওয়া সীমাবদ্ধ থাকে।

কাজল কালো চোখ
জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ কিংবা রবি ঠাকুরের ‘কৃষ্ণকলি’ – এসব ছাড়াও বাঙালি নারীর কাজল কালো চোখের প্রশংসা পাবেন অনেক কবির কবিতাতেই৷ বাঙালি নারীর কাজল কালো চোখ পুরুষকে টানে সবচেয়ে বেশি৷ একমাত্র বাঙালি নারীরা চোখে সুন্দর করে কাজল দিতে পারে।

বাকপটু
কথায় আছে, একে মাঠ, দুয়ে ঘাট,তিনে হাট। তিনজন নারী যদি একত্রে হয় তাহলে সেখানে কথার ফুল উপচে পরবে। বর্তমানে এরা রান্না থেকে রাজনীতি সব বিষয়ে সমান মতামত দিতে পুরুষের সমান পারদর্শী। কথা দিয়ে বাঙালি নারীরা যে কারো মন জয় করে নিতে পারে, যে কারো কষ্ট ভুলিয়ে রাখতে পারে।

নারীবাদী
বাঙালি মেয়েরা নারীবাদী৷ বিতর্কিত বাঙালি লেখিকা তসলিমা নাসরিন অনেকেরই প্রিয়৷ নাসরিনের ‘আমার মেয়েবেলা’ পড়েননি এমন নারী পাওয়া মুশকিল৷ নিজের সামনে অন্য কোনো নারী সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য কিংবা হেয় করলে খুব কম নারী আছেন প্রতিবাদ করবে না।

ভ্রমণপ্রিয়
বাঙালি নারীরা একা একা না ঘুরলেও পরিবার, বন্ধু-বান্ধুবী নিয়ে এরা ঘুরতে পছন্দ করেন।

(ওএস/অ/আগস্ট ১২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ আগস্ট ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test