E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

বাড়তি নিরাপত্তার জন্য বসুন্ধরা সিটিতে এপিবিএন নিয়োগ

২০১৪ জুলাই ১৮ ১৫:১৯:৪৩
বাড়তি নিরাপত্তার জন্য বসুন্ধরা সিটিতে এপিবিএন নিয়োগ

নিউজ ডেস্ক : ঈদের কেনাকাটায় প্রতিদিন লক্ষাধিক ক্রেতার আগমন ঘটছে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে। আর ক্রেতাদের কেনাকাটার সময় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে কাজ করছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা।

রাজধানীর সার্বিক নিরাপত্তার অংশ হিসেবে দেশের বৃহত্তম এই শপিং মলে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। এপিবিএন বসুন্ধরা সিটির নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

বসুন্ধরা সিটি সূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে দেশের অন্যতম বৃহত্তম শপিং মলটি সকাল ৮টা থেকে মাঝরাত পর্যন্ত ক্রেতাদের পদচারণে মুখর থাকছে। স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটার জন্য নিম্নমধ্যবিত্ত. মধ্যবিত্ত ও ধনিক শ্রেণির ক্রেতারা অভিজাত এই শপিং মলে আসেন। শুধু কেনাকাটা নয়, সময়কে সুন্দরভাবে উপভোগ করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা বসুন্ধরা সিটি। ১৩ বিঘারও বেশি জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত ১৯ তলাবিশিষ্ট ভবনের সাততলা অবধি বিপণি বিতান। আটতলায় ফুড কোর্ট, সিনেমা হল ও থিমপার্ক। ঈদ উপলক্ষে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে উৎসবের আমেজ। এ সময় ক্রেতাসহ বসুন্ধরা সিটির ব্যবসায়ীদের জন্য রয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মেজর (অব.) মো. আবুল কালাম আজাদ (অ্যাডমিন অ্যান্ড সিকিউরিটি) বলেন, বসুন্ধরা সিটির নিরাপত্তার জন্য নিয়মিত বাহিনী হিসেবে গানম্যান ২০ জন, গোয়েন্দা ২০ জন, প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড ছয়টি, আনসার ৪৭ জন, নিজস্ব ট্রাফিক ২৫ জন এবং নারী ও পুরুষ প্রহরীসহ মোট ২৮০ জন সদস্য কাজ করছেন। এ ছাড়া কমিউনিটি পুলিশের ২০ জন্য সদস্য নিয়মিত বসুন্ধরা সিটির ভেতরে ও বাইরে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন। সার্বিক নিরাপত্তা আরো জোরদার করতে সরকারের পক্ষ থেকে ৬০ জন্য এপিবিএন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে তেজগাঁও থানার পক্ষ থেকে বসুন্ধরা সিটিতে পুলিশ সেবাকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। জাল টাকা শনাক্ত করার জন্য শপিং মলটির গ্রাউন্ড ফ্লোরে মেশিন বসানো হয়েছে। থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, ঈদের কেনাকাটা উপলক্ষে বসুন্ধরা সিটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার ক্রেতা আসা-যাওয়া করবেন। তাঁদের সামগ্রিক নিরাপত্তার জন্য শপিং মলটির আশপাশে পুলিশ সদস্যরা দিন-রাত টহল দিচ্ছেন। ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সুবিধার জন্য শপিং মলের ভেতরে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিনও বসানো হয়েছে।

শপিং মলের নিরাপত্তা বহরে এপিবিএন সদস্যদের উপস্থিতি সাধারণ মানুষের মধ্যেও সাড়া ফেলেছে। গুলশান থেকে গতকাল কেনাকাটা করতে আসেন গৃহিণী অনিন্দিতা কামাল বলেন, ঈদের সময় চোর ও ছিনতাইকারীর উৎপাত বাড়ে। এ জন্য অন্যান্য শপিং মলে কেনাকাটা করতে ভয় লাগে। বসুন্ধরা সিটির নিরাপত্তাব্যবস্থা এমনিতেই কঠোর। এর ওপর এপিবিএনের সদস্য যোগ হয়েছে।

নিরাপত্তাব্যবস্থাকে আরো নিশ্ছিদ্র করতে বসুন্ধরা সিটির প্রতিটি লেবেলে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে বলে জানালেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা (কারিগরি) ও বসুন্ধরা সিটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ইনচার্জ টি আই এম লতিফুল হোসেন। তিনি বলেন, 'ঈদে ক্রেতা সাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার বসুন্ধরা সিটিতে এপিবিএন সদস্যদের নিয়োগ দিয়েছে। এটা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো নিশ্ছিদ্র করতে সাহায্য করবে।'

(ওএস/অ/জুলাই ১৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০১ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test