E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

কেনাকাটায় ব্যস্ত নগরবাসী

২০১৪ জুলাই ১৯ ১১:২০:৩৯
কেনাকাটায় ব্যস্ত নগরবাসী

স্টাফ রির্পোটার : চলছে ঈদের কেনাকাটার ধুম। রাজধানীর সকল মার্কেটে এখন উপচেপড়া ভিড়। গাউছিয়া, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স, মৌচাক ও বসুন্ধরার মতো জনপ্রিয় মার্কেটগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মার্কেটগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে।

নিম্নআয়ের মানুষ কেনাকাটা করতে ভিড় জমায় ফুটপাথের দোকানগুলো। শেষ বিকেলে নগরী জনসমুদ্রে রূপ নেয়। গভীর রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। ১৫ রোজা পর্যন্ত ক্রেতাদের আনাগোনা কম থাকলেও এখন বিক্রি-বাট্টা অনেক বেড়েছে। শেষ মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটা করতে সবাই মার্কেটে ছুটে আসছেন। সরকারি ছুটির দিনগুলোতে কেউ কেনাকাটার সুযোগ হাতছাড়া করছেন না।
সকাল থেকে শুরু করে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছিল প্রাণচাঞ্চল্য। বাড়ছিল বিপণিবিতানমুখো মানুষের ঢল। দুপুর গড়িয়ে বিকেল ও সন্ধ্যা নামতেই রাজধানীর নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনী চকসহ আশপাশের এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। রাজধানীর মধ্যবিত্তের কেনাকাটার অন্যতম জনপ্রিয় এলাকায় ঈদ সামনে রেখে পা ফেলার জো নেই।
নগরীর বিভিন্ন এলাকার ক্রেতারা নিজ এলাকায় যতই কেনাকাটা করুক না কেন, গাউছিয়া-নিউ মার্কেট এলাকায় এক চক্কর দেবেই। হয়তো এ জন্যই ঈদের সময় নগরীর এই এলাকা থাকে সবেচেয়ে বেশি জমজমাট।
চাঁদনী চক, নিউ মার্কেট ও গাউছিয়া মার্কেট ঘুরে দেখা যায় মানুষের বিপুল উপস্থিতি। তাদের মধ্যে নারীদের উপস্থিতি ছিল বেশি। দেশি-বিদেশি সব ধরনের থান কাপড় ও তৈরি পোশাক, প্রসাধনী, ঘর সাজানোর নানা উপকরণ পাওয়া যাচ্ছে এসব মার্কেটে। যারা একটু ঘুরে ঘুরে, দরদাম করে কিনতে পছন্দ করে, তাদের কাছে এ মার্কেটগুলো আকর্ষণীয়। ঈদ উপলক্ষে এসব মার্কেটে মেয়েদের জন্য শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, আনস্টিচ থ্রিপিস, জুতা-স্যান্ডেল, কসমেটিকস, গয়না, দর্জিবাড়ি সব কিছুই রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখানে কম দামের পোশাকের পাশাপাশি বেশি দামের ‘এক্সক্লুসিভ’ পোশাকও মেলে। এসব সাধারণত ৪৫০ থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে কেনা যায়।
মানুষের বিপুল উপস্থিতি থাকলেও বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না অনেক ব্যবসায়ী। গাউছিয়ার ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষে কাপড়চোপড় এসেছে বিস্তর, তবে দর এত চড়া যে বিক্রি অনেক কম। তবে তিনি আশাবাদী, বিক্রির পাল্লা আরো বাড়বে।
চাঁদনী চকে গজ কাপড়ের দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেল ক্রেতা সমাগম বিপুল। এখন ভারতীয় ও পাকিস্তানি গজ কাপড়ের বিক্রি বেশি। এ ছাড়া দেশি থানের মধ্যে ভয়েল ও পপলিনের চাহিদাও ভালো। গজ কাপড় বিক্রেতারা জানান, ঈদে বেক্সিভয়েলের দাম গজপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়ানো হলেও গরমের কারণে বিদেশি কাপড়ের পাশাপাশি এসব দেশি ভয়েলের কাপড়ও ক্রেতারা আগ্রহ করেই কিনছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, সুতি কাপড় নকশাভেদে কেনা যাচ্ছে গজপ্রতি ২৫০ থেকে ৮০০ টাকায়, জর্জেট ৪৫০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকায়, শিফন ও মসলিন ৫৫০ থেকে এক হাজার ৯০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
(ওএস/এএস/জুলাই ১৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৫ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test