E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

গ্রন্থাগার হলো সমাজ উন্নয়নের বাহন : কৃষিমন্ত্রী

২০২০ ফেব্রুয়ারি ০৫ ১৬:০৯:৫৬
গ্রন্থাগার হলো সমাজ উন্নয়নের বাহন : কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের আলোচনা সভায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘গ্রন্থাগার হলো সমাজ উন্নয়নের বাহন। একটি জাতির মেধা, মনন, ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারণ ও লালন-পালনকারী হিসেবে গ্রন্থাগার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সর্বসাধারণের মধ্যে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রন্থাগারের সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রয়েছে। তাই গ্রন্থাগারকে বলা হয় জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়।’

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গ্রন্থাগার অধিদফতরের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২০’ উপলক্ষে র‌্যালি শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট যে শিক্ষা তা হলো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। আর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সফলতার সহায়ক ও গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হল গ্রন্থাগার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের হৃৎপিন্ড বলা হয়। গ্রন্থাগারে যতো বেশি বই পড়বে ততবেশি ভাল মানুষ তৈরি হবে, আলোকিত মানুষ তৈরি হবে। আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে গ্রন্থাগার বাতিঘর হিসেবে কাজ করে।

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে যে স্বীকৃতি পেয়েছে সেটি একটি নেতৃত্বের কারণে। সেই নেতৃত্বের গুণাবলি শুধু রাজনীতিতে নয়। নেতৃত্বে গুণাবলি শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, নাটক, খেলাধুলা ইত্যাদি ক্ষেত্র থেকে আসে। এই নেতৃত্ব যদি জ্ঞান সমৃদ্ধ না হয়, দূরদর্শীতা, সততা এবং দেশপ্রেম না থাকে, যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা না থাকে তবে তা কোনো কাজে আসবে না। তাই জ্ঞান অর্জনের মধ্যদিয়ে সত্যিকারের মানুষ হতে হবে ‘

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘মানুষের বুদ্ধি ও মননের অনুশীলনের প্রয়োজনে মানুষ জ্ঞান আহরণ করে। এই জ্ঞান আহরণের দুটো উপায়। একটি দেশভ্রমণ, অন্যটি গ্রন্থপাঠ। দেশভ্রমণ ব্যয়সাপেক্ষ তাই সবার জন্য সম্ভব নয়। সে তুলনায় জ্ঞান আহরণের জন্য গ্রন্থপাঠ উৎকৃষ্ট উপায়। কিন্তু জ্ঞান ভান্ডারের বিচিত্র সমারোহ একজীবনে সংগ্রহ করা ও পাঠ করা সম্ভব হয় না। এই অসাধ্য সাধন কিছুটা হলেও সম্ভব হয় গ্রন্থাগারের মাধ্যমে। সরকার ইতোমধ্যে ৭৬টি ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি, ৭১টি স্থানে নতুন করে গ্রন্থাগার স্থাপন করেছে। এবং পর্যায়ক্রমে সব উপজেলায় গ্রন্থাগার স্থাপন করা হবে।

এর আগে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ সকাল ৮.৩০ টায় র‌্যালির উদ্বোধন করবেন। এরপরে র‌্যালিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, শহীদ মিনার ও বাংলা একাডেমি হয়ে গণগ্রন্থাগার অধিদফতর চত্বরে এসে শেষ হয়। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘পড়ব বই, গড়ব দেশ; বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও গ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক আ. মান্নান ইলিয়াস এর সভাপতিত্বে সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জাফর ইকবাল, গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের পরিচালক আবদুল্লাহ হারুন পাশা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৭ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test