E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

মাদক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংসদে বিল পাস

২০২০ নভেম্বর ২০ ০০:৩৩:৪৩
মাদক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংসদে বিল পাস

স্টাফ রিপোর্টার : মাদক সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) বিল-২০২০’ পাস হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মল হক সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন বিরোধীদলীয় সদস্যরা। তবে তাদের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। তারা সংশোধনী প্রস্তাব দিলেও তা গৃহীত হয়নি।

এসময় মন্ত্রী সংসদকে জানান, শুধু ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে মামলা করতে গেলে দীর্ঘ সময় লাগে। নিষ্পত্তি এবং আপিলের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়, সেজন্য আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে।

আইনে বলা হয়েছে, এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতকে মামলা প্রাপ্তির তারিখ থেকে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে। রায় দেয়ার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে।

পাস হওয়া বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘প্রস্তাবিত আইনের অধীন মাদকদ্রব্য অপরাধসমূহ অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী ‘এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত’ কর্তৃক বিচার্য হবে। সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট উহার এখতিয়ারাধীন এলাকার জন্য কেবল মাদকদ্রব্য অপরাধের বিচারের জন্য প্রয়োজন এক বা একাধিক এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত নির্দিষ্ট করবেন। ফলে মাদক অপরাধের মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।’

আগের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বলা আছে, সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করবে এবং প্রত্যেক ট্রাইব্যুনালে অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বিচারক নিয়োগ করা হবে। কোনো জেলায় অতিরিক্ত জেলা জজ না থাকলে ওই জেলায় দায়রা জজ নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে দায়িত্ব পালন করবেন। ট্রাইব্যুনাল স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে এ মামলা নিষ্পত্তি করবেন।

প্রশাসনিক কারণে অদ্যাবধি মাদকদ্রব্য অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপন বা জেলা বা দায়রা জজকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এই ট্রাইব্যুনালে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অসংখ্য মাদক অপরাধ সংক্রান্ত মামলা হলেও তা বিচারের মাধ্যমে নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত মামলার সংখ্যাও বাড়ছে।

উল্লেখ্য, নেশার বড়ি ইয়াবার উৎপাদন, পরিবহন, বিপণনের জন্য সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ২০১৮ সালের অক্টোবরে জাতীয় সংসদে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিল-২০১৮’ পাস হয়। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর থেকে আইনটি কার্যকর করা হয়।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২০, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৭ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test