E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

সোনালী ব্যাংকের এজিএমসহ ৪ কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

২০১৪ নভেম্বর ১১ ১১:০২:৩৫
সোনালী ব্যাংকের এজিএমসহ ৪ কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

স্টাফ রিপোর্টার : সোনালী ব্যাংকের ৯টি শাখা থেকে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপকসহ চার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। দুদকের সিনিয়র উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বাধীন একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পর্যায়ক্রমে এ জিজ্ঞাসাবাদ দুপুর পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে।

যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তারা হলেন— সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. আজাদুল হক, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. মনজুর রহমান, এক্সিকিউটিভ অফিসার বিপ্লব ভূষণ বক্সি ও মো. আনিসুজ্জামান।

দুদক সূত্র জানায়, সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন শাখা, বৈদেশিক বাণিজ্য কর্পোরেট শাখা, গুলশান শাখা, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ করপোরেট শাখা, আগারগাঁও শাখা, সোনালী ব্যাংক লোকাল অফিস, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ করপোরেট শাখা, লালদীঘি করপোরেট অফিস এবং নারায়ণগঞ্জ করপোরেট শাখা থেকে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এই ৯টি শাখায় পরিচালিত ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন পরিদর্শন ও তদন্ত প্রতিবেদন থেকে অর্থ আত্মসাতের এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। বৈদেশিক বাণিজ্যের নামে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে ও অন্যান্য উপায়ে অনিয়ম করা হয়েছে।

এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন শাখা থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা, লোকাল অফিস ৬০০ কোটি, আগারগাঁও শাখা ১৪১ কোটি, গুলশান শাখা ২৮১ কোটি, বৈদেশিক বাণিজ্য করপোরেট শাখা প্রায় তিন কোটি, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কর্পোরেট শাখা ২৫০ কোটি, আগ্রাবাদ কর্পোরেট শাখা প্রায় ৪০০ কোটি, চট্টগ্রামের লালদীঘি করপোরেট শাখা ও নারায়ণগঞ্জ করপোরেট শাখা থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ঋণের নামে লোপাট করা হয়েছে।

(ওএস/এইচআর/নভেম্বর ১১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৭ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test