E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নদীর পাড় দখল করে ইট বালুর ব্যবসা

২০১৭ সেপ্টেম্বর ২৮ ১১:৩০:০৭
নদীর পাড় দখল করে ইট বালুর ব্যবসা

চাঁদপুর প্রতিনিধি : চাঁদপুর শহরের বিআইডাব্লিউটিএর মোড় থেকে শুরু করে ট্রাকঘাট হয়ে লন্ডনঘাট পর্যন্ত ডাকাতিয়া নদীর বিশাল এলাকা দখল করে ইট, বালু, কংক্রিট ও সিমেন্টের ব্যবসা করে যাচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। ধুলা-বালির কারণে একদিকে যেমন পথচারী, স্কুল ও কলেজগামী শিশু ও বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে,তেমনি নদী তীরবর্তী শহরবাসী পরিবেশের ভারসাম্য হারাচ্ছে। উড়ন্ত বালুর কারণে ক্ষতি হচ্ছে পাশেই ১৫০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের। এ এলাকায় এ ধরনের ব্যবসা করবেননা মর্মে ব্যবসায়ীরা গত ৩ বছর পূর্বে প্রশাসনের কাছে অঙ্গীকার করে ব্যবসা সরিয়ে নিলেও এখন আবার পূর্বের অবস্থা বিরাজ করছে। ওই এলাকায় গেলে ডাকাতিয়া নদীর পাড় দখল আর ব্যবসায়ীদের স্তুপ করে রাখা ইট, বালু ও কংক্রিটের চিত্র দেখা যাবে।

স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ২০১৪ সালে স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে এবং ১৫০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের যাতে কোনোরুপ ক্ষতি না হয় তার জন্য জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এ এলাকাটি অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়। এরপর বিআইডাব্লিউটিএর প্রকৌশল বিভাগ কাটা তারের প্রাচীর করে। সাধারণ মানুষ নদীর পাড়ে বসার জন্য মাচাও তৈরি করা হয়। কিন্তু ১ বছর না যেতেই আবার এলাকাটি বেদখল হয়ে পড়ে। সে থেকে এখন পর্যন্ত চলছে তাদের ব্যবসা।

ট্রাকঘাট এলাকার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম মিয়াজী জানান, এ এলাকায় দুই শ্রেণীর ইট ও বালুর ব্যবসায়ী রয়েছেন। এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী শুধুমাত্র সড়ক পথে মালামাল বিক্রির ব্যবসা করেন। আবার আরেক শ্রেণী নদী পথে এনে পাড়ে রেখে চলে যান। যারা নৌ-পথে মালামাল আনেন তারা বিআইডাব্লিউটিএর লোকদেরকে মালামাল উঠানোর জন্য টাকা দেন। কিন্তু নদীর পাড় দখল করে মালামাল মওজুদ রাখার জন্য কোন টাকা দেয়া হয় না।

চাঁদপুর নদীবন্দরের বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জান যায়, ৩-৪ বছর পূর্বে স্থানীয় এলাকাবাসী এ এলাকা থেকে পরিবেশ ভারসাম্য নষ্টকারী ব্যবসা স্থানান্তর করার জন্য দাবি জানায়। এ নিয়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় সিদ্বান্তের আলোকে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিআইডাব্লিউটিএ মোড় হতে ডাকাতিয়া নদীর পাড়সহ অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করেন। পরবর্তীতে প্রশাসনের কোনোরুপ তৎপরতা না থাকায় ১ বছরের মধ্যেই আবারও ওই ব্যবসায়ীরা পুনরায় তাদের ব্যবসা শুরু করেন।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর নদীবন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি চাঁদপুরে আসার পুর্বে দখল মুক্ত হয়। আসলে যে সব ব্যবসায়ী মালামাল উঠাচ্ছেন নদী বন্দর এলাকা হিসেবে সরকার একটা নির্দিষ্ট অংকের রাজস্ব তাদের কাছ থেকে পেয়ে থাকে। বন্দর এলাকায় মালামাল উঠাতে না পারলে ব্যবসায়ীরা কোথায় যাবে। ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক কাটা তারের প্রাচীর যে বা যারা ভেঙ্গে দখল করেছে সহসাই তাদের উচ্ছেদ করে পরিষ্কার করা হবে বলে জানান।



(ইউএইচ/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৩ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test