E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দুর্নীতির দায়ে নবীনগর পৌর মেয়র বরখাস্ত

২০১৭ অক্টোবর ০৬ ১৪:৫৮:৩৮
দুর্নীতির দায়ে নবীনগর পৌর মেয়র বরখাস্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : দুর্নীতি ও অনিয়মের দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার মেয়র মো. মাঈন উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মেয়র মাঈন উদ্দিনকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

যদিও বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় বরখাস্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন মেয়র মাঈন উদ্দিন। তিনি নবীনগর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি।

নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা (ইউএনও) সালেহীন তানভীর গাজী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মনের অভিযোগ তদন্ত করেই মেয়র মাঈন উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তার স্থলে প্যানেল মেয়র কবির হোসেন দায়িত্ব পালন করবেন।

তবে মেয়র মাঈন উদ্দিন বলেন, আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে শুনেছি, তবে এখনও পর্যন্ত বরখাস্তের চিঠি আমার কাছে আসেনি। আমি বিএনপির মেয়র হওয়ায় সরকারি দলের লোকজন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন।

চলতি বছরের ১১ মে নবীনগর পৌরসভার ১২ কাউন্সিলরের মধ্যে ১০ জন কাউন্সিলর মেয়র মাঈন উদ্দিনের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

ওই লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২০ অক্টোবর নবীনগর পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রায় আড়াই বছরে দুর্নীতির মাধ্যমে মেয়র মাঈন উদ্দিন কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে স্থানীয় সাংসদের ব্যক্তিগত অর্থায়নে বাস্তবায়িত পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মাঝিকাড়া গ্রামের ইদন মিয়ার বাড়ি থেকে আলীয়াবাদ পশ্চিমপাড়া পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পটি পৌর কাউন্সিলরদের না জানিয়েই কথিত টেন্ডার (দরপত্র) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৯ টাকা আত্মসাৎ করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, পৌরসভার নিজস্ব দুটি রোলার মেশিনের ভাড়া বাবদ ৩৬ লাখ টাকা পৌর তহবিলে জমা না দিয়ে মেয়র নিজেই সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। রাজস্ব তহবিল থেকেও বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার ১৩টি প্রকল্পের বিপরীতে ৬২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মেয়রের বিরুদ্ধে।

একইসঙ্গে পৌরসভার ৯টি কসাইখানা থেকে আদায়কৃত রাজস্বের ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং সম্পূর্ণ বে-আইনিভাবে ১৭ কর্মচারীকে মাস্টাররোলে কাল্পনিক নিয়োগ দেখিয়ে তাদের মাসিক বেতন ৯৮ হাজার টাকা পৌর মেয়র আত্মসাৎ করছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ০৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test