E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লোাহাগড়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষিকাকে উত্ত্যক্তসহ নানা অভিযোগ

২০১৭ অক্টোবর ১২ ১৬:২৯:০২
লোাহাগড়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষিকাকে উত্ত্যক্তসহ নানা অভিযোগ

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম খানের বিরুদ্ধে শিক্ষিকাকে উত্ত্যক্ত করা, অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে অশোভন আচারণ ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষককে তিনি গত ছয়-সাত মাস ধরে কুপ্রস্তাব দিচ্ছেন। তাঁর গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টাসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করেছেন। ওই শিক্ষককে কব্জা করতে না পেরে তিনি বিভিন্ন কথিত অভিযোগ এনে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন ও চাকরিচ্যুত করার চেষ্টা করছেন। এতে ওই শিক্ষকের জীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন।

আরেকজন নারী শিক্ষককে বিভিন্ন সময়ে নির্জনে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিতে একসঙ্গে ছবি তুলতে চেষ্টা করেছেন। বিভিন্ন সময়ে তাঁর কাছে টাকা দাবি করেন। এতে রাজি না হওয়ায় ওই শিক্ষককে বর্তমানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সামনে প্রায়ই অশ্লীল ভাষায় গালাগাল ও অপমান করেন।

সহকারী শিক্ষিকা শান্তি মল্লিকের নিয়োগের পর তাঁর কাছে ৬০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এ টাকা না পাওয়ায় তাঁকে প্রায়ই অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন এবং হয়রানি করতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। এই ঘুষ না পেয়ে বিদ্যালয়ে রক্ষিত তাঁর নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যক্তিগত ফাইল পুড়িয়ে ফেলেছেন। সেজন্য ওই শিক্ষক মন্ত্রণালয়ের অডিটে সমস্যায় পড়েছিলেন।

নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের কাছ থেকে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের নাম করে নয় লাখ টাকা নিয়ে তা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। বিভিন্ন ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে প্রচুর পরিমান টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে বিদ্যালয়ের ২৫ শতাংশ জমি বেদখল হয়ে যাওয়ার পেছনে প্রধান শিক্ষকের সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে।

এছাড়া অফিস সহকারী তপন কুমার বিশ্বাস, নৈশপ্রহরী মোবারক হোসেনসহ অধিকাংশ শিক্ষক ও কর্মচারির কাছে বিভিন্ন সময়ে ঘুষ দাবি করেছেন। তা না দেওয়ায় প্রায়ই তিনি তাঁদের গালাগাল ও অপমান করেন। তাঁদের নানাভাবে হয়রানি করছেন, চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিচ্ছেন ও চেষ্টা করছেন।

বিদ্যালয়ের বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ২০০৯ সালে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয় চত্বর থেকে ওই প্রধান শিক্ষককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তখন অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তিনি সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আসমা খাতুন বলেন, প্রধান শিক্ষকের নিপিড়নে অধিকাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর জীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। তাঁরা চাকরিচ্যুতির আতঙ্কে আছেন। তারপরও অনেকেই ভয়ে মুখ খুলছেন না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা পারভীন এসব বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আগামি ১৬ তারিখে উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে শুনানি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম খানের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ বরেন নাই।

(আরএম/এসপি/অক্টোবর ১২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test