E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নাগরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

২০১৭ অক্টোবর ১৫ ১৬:২৬:৫৩
নাগরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ৮নং দপ্তিয়র ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান এম এ ফিরোজ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ নানা রকম দুর্নীতির অভিযোগে ৮জন ইউপি সদস্য অনাস্থা জানিয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইউপি সদস্যদের পক্ষে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলী জিন্নাহ। এছাড়া একই ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে নাগরপুর রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলণের আয়োজন করে ইউপি সদস্যরা।

অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলণ সূত্রে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান এম এ ফিরোজ সিদ্দিকি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর পরিষদের ট্যাক্স বাবদ ৬লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে হিসাব বহির্ভূত তিনটি কিস্তিতে স্থানীয় ভাদ্রা কৃষি ব্যাংকে ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা জমা দেন। কিন্তু ব্যাংকে খোজ নিয়ে দেখা গেছে ব্যাংকে মাত্র ১৩ হাজার ৪শত টাকা জামা রয়েছে। ১৩ হাজার ৪শত টাকা বাদে সাকুল্য টাকা ইউপি চেয়ারম্যান আত্মসাত করেছেন।

এছাড়া ১৯৫টি ভি.জি.ডি কার্ডের মাল দেয়ার সময় ইউপি চেয়ারম্যান প্রতি কার্ডধারীর কাছ থেকে বাধ্যতামূল ভাবে ৫০টাকা করে আদায় করে সাকুল্য টাকা একক ভাবে আত্মসাত করেন।
২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের এ.ডি.পির ৮ লাখ টাকা কোন প্রকার কাজ না করে ভূয়া প্রজেক্টের মাধ্যমে চেয়ারম্যান একক ভাবে সব টাকা আতœসাত করেন।

১% পার্সেন্টের ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের ৪ লাখ, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ মোট ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের একই প্রজেক্ট দেখিয়ে সাকুল্য টাকা চেয়ারম্যান এম এ ফিরোজ সিদ্দিকি আত্মসাত করেন।

ইউপি সদস্য পদে নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের এল.জি.এস.পি বরাদ্দ পাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে প্রতি মেম্বরের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা করে নিয়েও এল.জি.এস.পি বরাদ্দ থেকে প্রায়ই ইউপি সদস্যদের বঞ্চিত করে আসছে।

এছাড়া সরকারী নীতি অনুযায়ী একজন চেয়ারম্যানের সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস করার বিধান থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান এম এ ফিরোজ সিদ্দিকি আইনের তোয়াক্কা না করে তার বাহাম ভূক্ত লোকজন নিয়ে গভীর রাত (২টা থেকে রাত ৩টা) পর্যন্ত অফিস খোলা রাখিয়া সরকারী ইউনিয়ন পরিষদে আড্ডায় লিপ্ত থাকে।

এবং চেয়ারম্যান এম এ ফিরোজ সিদ্দিকি আমাদের পরিষদে সরকারী কোন উন্নয়নমূলক কাজে আমাদের সাথে কোন প্রকার মিটিং বা আলাপ আলোচনা না করে বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের স্বাক্ষর নিয়া অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রজেক্টে ব্যবহার করেছেন।

২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলী জিন্নাহ বলেন, আমরা ইউপি সদস্য পদে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আমাদের ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। এছাড়া তার এহেন কার্যকলাপের কারণে বর্তমান উন্নয়ন বান্ধব সরকারের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে।

তাই ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. বক্তার হোসেন, মো. ইউসুব আলী, মো. সানোয়ার হোসেন, মো. ফুলচান হোসেন, মোছা. বিলকিছ আক্তার এবং মো. ছামিনা বেগম মিলে ইউপি চেয়ারম্যান এম এ ফিরোজ সিদ্দিকির অনাস্থা চেয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত ভাবে আবেদন করেছি।

এ ব্যাপারে দপ্তিয়র ইউপি চেয়ারম্যান এম. ফিরোজ সিদ্দিকির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের কয়েকজন ইউপি সদস্যরা আক্রশবশত সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন একটি অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে দায়ের করেছে। ইউপি সদস্যরা পরিষদের যে সকল অর্থ আত্মসাতের বিষয় নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিয়োগ দিয়েছে। এ সমস্ত বিষয়ে টাকা আত্মসাত করার কোন প্রকার সুযোগ নেই। আর আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে। তার সকল প্রকার প্রমান আমার কাছে আছে।

(আরএসআর/এসপি/অক্টোবর ১৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test