E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রংপুরে হিন্দু বাড়িত অগ্নিসংযোগ, সাতক্ষীরার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের নিন্দা

২০১৭ নভেম্বর ১২ ১৬:১৯:০৭
রংপুরে হিন্দু বাড়িত অগ্নিসংযোগ, সাতক্ষীরার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের নিন্দা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : রংপুর সদর উপজেলার খলেয়া ইউনিয়নের গঙ্গাচরার ঠাকুরবাড়ি গ্রামে এমডি টিটু  নামে প্রায় অশিক্ষিত টিটু রায়ের ছবি দিয়ে তার নামে ফেইসবুক আইডি খুলে ১৯ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত মহনবিকে কটুক্তি সংক্রান্ত পোষ্ট শেয়ার করার দায়ে গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার অভিযোগে হাজারো তৌহিদ জনতার আটটি হিন্দু বাড়ি আক্রমণ, জ্বালাও, পোড়াও, লুট ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় সাতক্ষীরার সংখ্যালঘুরা যার পর নেই উদ্বিগ্ন।

ধর্মীয় অনুভুতির রামু, নাসিরনগর, সাঁথিয়া, সাতক্ষীরার ফতেপুর চাকদাহ, অভয়নগর ও ২০০১ সালে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পর দেশজুড়ে কয়েকটি নির্যাতন ও সহিংসতার কাল্পনিক ঘটনায় কোন বিচার হয়নি। শিক্ষক শ্যামলকান্তি ভক্ত থেকে উত্তম ও রসরাজের ঘটনায় সত্যতা মেলেনি। এরপরও শুক্রবার রংপুরে আটটি হিন্দু বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ হলো। আর কতো হিন্দু বাড়িঘর পুড়লে আমরা বুঝতে পারবো যে সত্যিই হিন্দুদের কপাল পুড়লো।

এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জেলা মন্দির সমিতি, জয়মহাপ্রভু সেবক সংঘের সভাপতি, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ ঘোষ, জেলা মন্দির সমিতির সাধারণ সম্পাদক রঘুজিৎ গুহ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য গোষ্ট বিহারী মণ্ডল, হেনরী সরদার, নিত্যানন্দ আমিন, অধ্যক্ষ শিবপদ গাইন, প্রাণনাথ দাস, জিতেন্দ্রনাথ ঘোষ প্রমুখ।

তারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, সরকারি অর্থায়নে পুর্নবাসন ও নিরাপত্তা দাবি করেন। রংপুর প্রশাসন এ ধরণের ধর্মান্ধতার ব্যাপারে আরো বেশি সতর্ক হলে এ ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়ানো যেত বলে মনে করেন তারা। তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।



(আরকে/এসপি/নভেম্বর ১২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test